ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্রে মার্কিন হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের তিন গুরুত্বপূর্ণ দেশ ওমান, কাতার ও ইরাক গভীর উদ্বেগ এবং নিন্দা জানিয়েছে। এ হামলা  আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেছে।

রবিবার (২২ জুন) আলজাজিরা লিখেছে, ওমান সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছিল। যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর এটাকে ‘অবৈধ আগ্রাসন’ হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে ওমান। 

ওমানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, “আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই আগ্রাসন শুধু আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন নয়, বরং অঞ্চলজুড়ে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি করছে।”

আরো পড়ুন:

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকার আহ্বান ইরানের

‘সর্বশক্তি’ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিহতের ঘোষণা ইরানের

কাতার বলেছে, “যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর যে বিপজ্জনক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, তা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।”

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে সামরিক অভিযানের পরিবর্তে কূটনৈতিক ও সংলাপের পথে ফিরে যাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।

ইরাকও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, “এই সামরিক উত্তেজনা আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করছে।”

ঢাকা/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র য ক তর জ য য ক তর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, দগ্ধ স্বামী-স্ত্রী ও ছেলে

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে খেজুরবাগ এলাকায় ভবনের নিচে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। শনিবার গভীর রাতে পাকিজা নামে পাঁচতলা ভবনে এই ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।

আহতরা হলেন– শিশু আল-সামির, তার বাবা ফারুক হোসেন ও মা শিউলি আক্তার। এই পরিবারটি পাঁচতলা ভবনের নিচের একটি কক্ষে বসবাস করে।

আহত ফারুক হোসেন বলেন, ‘শনিবার রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে আমার ঘুম ভেঙে যায়। দেখি আমার স্ত্রী শিউলীর হাত ও ছেলের শরীর আগুনে পুড়ে গেছে। আমার নিজের মুখের একপাশও দগ্ধ হয়। আমরা দ্রুতই চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরি।’ দীর্ঘদিন ধরে তাদের কক্ষের মেঝে অস্বাভাবিক গরম হচ্ছিল। বিষয়টি বাড়িমালিককে জানালে মেরামতের আশ্বাস দিয়েছিলেন বলে জানান ফারুক হোসেন।

ভবনের মালিক সহিদ হোসেন জানান, ঘটনার সময় পাশের কক্ষে ঘুমিয়েছিলেন তিনি। শব্দ শুনে ছুটে গিয়ে দেখেন দেয়াল ধসে গেছে। ভবনটি ইউনিয়ন পরিষদের অনুমোদন নিয়ে নির্মাণ করেছেন এবং ভবনে ১০টি পরিবার বসবাস করছে।

কথা হয় পোস্তগোলা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা আবু মুহাম্মদ সাজেদুল কবির জোয়ার্দারের সঙ্গে। তিনি বলেন, বিস্ফোরণের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। নিচতলার দেয়াল সম্পূর্ণ ধসে পড়ে গেছে। ভবনটি ময়লা-আবর্জনায় ভরাট ডোবার ওপর নির্মিত হওয়ায় বায়োগ্যাসের চাপ কিংবা পাশে থাকা গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকেই বিস্ফোরণটি ঘটে থাকতে পারে। ভবনটি বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বিষয়টি ভবন মালিককে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি অধিকতর তদন্তও চলছে।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল-আমিন বলেন, বিস্ফোরণের পরপরই স্থানীয়ভাবে আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন। ভবনের দেয়াল আংশিক ধসে গেছে এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ