যেসব কারণে এখন আধুনিক রাইডারদের প্রথম পছন্দ ‘সুজুকি’
Published: 22nd, June 2025 GMT
বাইক এখন শুধু একটি বাহন নয়, প্রত্যেকের জীবনে হয়ে উঠেছে নিত্যদিনের সঙ্গী। কর্মজীবীদের রোজকার অফিস, বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজপড়ুয়াদের প্রতিদিন ক্লাস কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে কোথাও যাওয়া—প্রতিদিনের পথচলায় বাইক যেন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে অনেকেরই বাইকের নির্ভরতার নাম হলো ‘সুজুকি’।
সুজুকি এমন একটি ব্র্যান্ড, যেটি বাইক-চালকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে এর অসাধারণ প্রযুক্তি, স্টাইলিশ ফিচার এবং নির্ভরযোগ্যতার জন্য। এটি শুধুই পথচলার সঙ্গী নয়, রাইডারদের একটি আত্মবিশ্বাসের জায়গা, যেখানে মিশে রয়েছে গতি, নিয়ন্ত্রণ ও স্টাইলের একটি অসাধারণ কম্বিনেশন।
বাংলাদেশের বাজারে বর্তমানে সুজুকির একাধিক মডেল রয়েছে। তাই চাইলেই যে কেউ নিজের পছন্দমতো বাইক বেছে নিতে পারেন। যেমন কারও যদি শক্তিশালী এবং স্পোর্টি বাইক ভালো লাগে, তবে তাঁর জন্য ‘জিক্সার এফআই এবিএস’, ‘কার্ব ডিস্ক’ বা ‘জিক্সার মনোটোন’ একেবারেই পারফেক্ট। আবার যাঁরা প্রতিদিনের যাতায়াতকে সহজ, স্টাইলিশ ও ঝামেলাহীন রাখতে চান, তাঁদের জন্য আদর্শ একটি বাইক হলো ‘সুজুকি এক্সেস-১২৫’।
আর জিক্সার মনোটোন-এর মার্জিত লুকের জন্য এ সময়ের তরুণদের কাছে হয়ে উঠছে স্টাইলের নতুন ভাষা। স্পোর্টি ট্যাংক ডিজাইন, ডিজিটাল কনসোল, কমফোর্টেবল সিট এবং উন্নত মাইলেজ—সব মিলিয়ে এটি এমন একটি প্যাকেজ, যেটি শুধু দেখতেই নয়, চালাতেও অসাধারণ। এই বাইকটি মূলত তাঁদের জন্য, যাঁরা রোজকার জীবনে ইউনিক কিছু খোঁজেন।
অন্যদিকে জিক্সার এফআই এবিএস মডেলে রয়েছে উন্নত একক-চ্যানেল অ্যান্টিলক ব্রেকিং সিস্টেম, যা হঠাৎ ব্রেক করার সময় বাড়ায় আত্মবিশ্বাস। আর কার্ব ডিস্ক সংস্করণটি প্রাধান্য দেয় সহজ রক্ষণাবেক্ষণ এবং শক্তিশালী পারফরম্যান্সকে। এক্সেস-১২৫ স্কুটারটির রয়েছে জ্বালানি ইনজেকশন প্রযুক্তি, বড় আসন এবং ইউএসবি চার্জিং-সুবিধা। সবকিছু মিলিয়ে এটি আধুনিক জীবনের এক নির্ভরযোগ্য ও আরামদায়ক সঙ্গী।
সুজুকি বাইক যেমন একজন রাইডারের স্টাইল প্রকাশ করে, তেমনি তাঁর দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় গন্তব্যে পৌঁছানোকে করে তোলে আরও সহজ ও আত্মবিশ্বাসপূর্ণ। বর্তমানে বাইক রাইডাররা শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, বরং দেখেন কার্যক্ষমতা, বৈশিষ্ট্য, নিরাপত্তা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বিশ্বাসযোগ্যতা। আর এ ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে সুজুকিই এগিয়ে।
এই বিশ্বাসযোগ্যতা এসেছে শুধু ব্র্যান্ড থেকে নয়, বাংলাদেশের বাজারে সুজুকির পরিবেশক র্যানকন মোটরবাইকস লিমিটেডের কার্যকর ভূমিকার কারণেও। প্রতিষ্ঠানটি শুধু মোটরসাইকেল সরবরাহ করছে না, বরং দিচ্ছে একটি পূর্ণাঙ্গ অভিজ্ঞতা—যার মধ্যে রয়েছে বিক্রয়োত্তর সেবা, আসল খুচরা যন্ত্রাংশ, প্রশিক্ষিত প্রযুক্তিবিদ এবং সারা দেশে বিস্তৃত ১৩০টিরও বেশি অনুমোদিত সেবাকেন্দ্র।
অনেক রাইডারের মতে, সুজুকি মোটরসাইকেল কিনে তাঁরা শুধু একটি বাহন নয়, বরং পেয়েছেন একধরনের মানসিক নিশ্চয়তা, যা তাঁদের প্রতিদিনের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জিক্সারের স্টাইল হোক, মনোটোনের ভিন্নতা কিংবা এক্সেস-১২৫-এর উপযোগিতা—প্রতিটি সুজুকি মডেল যেন রাইডারের ব্যস্ত জীবনের ছন্দে নিখুঁতভাবে মিশে যায়।
এভাবেই সুজুকি শুধু স্টাইল এবং প্রযুক্তির মিশ্রণ নয়, বরং রাইডারদের অভ্যাস, গতি, নিরাপত্তা ও আত্মপরিচয়ের সঙ্গে এক গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। সব মিলিয়ে সুজুকি মানেই আস্থা, আরাম, আধুনিকতা এবং আন্তর্জাতিক মান। এসব কারণেই সুজুকি হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের আধুনিক রাইডারদের প্রথম পছন্দ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীতে আগুনে পুড়ল ১১টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার সেবারহাটে একটি আসবাবপত্র তৈরির কারখানা, গোডাউনসহ ১১টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়ে গেছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সেনবাগ, চৌমুহনী ও মাইজদীর পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেবারহাট বাজারে ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের পাশের একটি কাঠের আসবাবপত্র তৈরির কারখানা থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এরপর আশপাশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
শুরুতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও আশপাশের এলাকার হাজারো মানুষ আগুন নেভাতে এগিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে রাত পৌনে একটার দিকে সেনবাগ ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভাতে শুরু করে। কিন্তু তখন আগুনের ভয়াবহতা বাড়ায় বেগমগঞ্জের চৌমুহনী ও জেলা শহর মাইজদী ফায়ার স্টেশন থেকে আরও তিনটি ইউনিট এসে কাজে যুক্ত হয়। সকাল সাতটায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।
সেবারহাট বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি বাহার উল্যাহ আজ রোববার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, আগুনে আসবাবপত্র তৈরির কারখানা, মেশিনারিজ সামগ্রী, থাই অ্যালুমিনিয়াম পণ্য বিক্রির দোকানসহ কমপক্ষে ১১টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। আগুনে ব্যবসায়ীদের ৩০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের সেনবাগ স্টেশনের পরিদর্শক বিল্লাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আসবাবপত্র তৈরির কারখানার বয়লার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে তদন্ত ছাড়া প্রকৃত কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।