পরের মিসাইলটি হয়তো আমার মা-ভাইকে আঘাত করবে: মান্দানা করিমি
Published: 23rd, June 2025 GMT
ইসরায়েলের বর্বর হামলার পর পাল্টা হামলা চালাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান। গতকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও দেশটিতে হামলা চালিয়েছে। ফলে ভয়ংকর এক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ইরান।
বলিউড অভিনেত্রী মান্দানা করিমি ইরানের নাগরিক। তার পরিবার এখন ইরানে অবস্থান করছেন। নিজ মাতৃভূমির দুঃখ-দুর্দশা তাকে ভীষণ ভাবিয়ে তুলেছে। মানসিকভাবে ভালো নেই বলেও জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে বেশ কিছু পোস্ট দিয়েছেন মান্দানা। তাতে এ অভিনেত্রী বলেন, “আমি ভালো নেই। আমি জানি আমাকে দেখে হয়তো মনে হচ্ছে, আমি সব কাজই করছি। কিন্তু সত্যিকার অর্থে আমি ভালো নেই। আমি ঠিক থাকার ভাণ করছি, নিজের জন্য, পরিবারের জন্য।”
আরো পড়ুন:
‘আমার বয়স ৫৯, জীবনে গার্লফ্রেন্ড এসেছে ৪ জন’
বিরতি ভেঙে ফিরলেন আমির: কত টাকা আয় করল ‘সিতারে জমিন পার’?
বিশ্ববাসীর সমালোচনা করে মান্দানা করিমি বলেন, “শিশুদের মৃত্যু দেখেও কীভাবে একজন মানুষ ভালো থাকতে পারে। শুধু প্যালেস্টাইন বা ইরানে নয়; মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন এলাকায় আমেরিকার আর্থিক সহায়তায় বোমা ফেলা হচ্ছে। ইজরায়েল হামলা করছে। আর সারা বিশ্ব নীরবে দেখছে!”
বর্তমানে ইরানে নেই মান্দানা। তবে ইরানের বাড়িতে রয়েছে এ অভিনেত্রীর মা-ভাই। তা জানিয়ে মান্দানা বলেন, “আমি এখন ইউরোপে অবস্থান করছি। এখানকার শান্ত একটি রাস্তায় হাঁটছি। কিন্তু নিজেকে ভূত মনে হচ্ছে! আমার জীবনের একটা অংশ এখন ইরানের বাড়িতে রয়েছে। আমার একটি অংশ আমার মা, ভাই, ভাতিজা-ভাতিজিদের সঙ্গে রয়েছে। প্রতিটি মুহূর্ত আতঙ্কে কাটছে। পরের মিসাইলটি হয়তো ওদের আঘাত করবে।”
নিজের দেশকে পুড়তে দেখে অসহায় বোধ করছেন মান্দানা করিমি। এ অভিনেত্রীর ভাষায়, “ইরান বলতে সরকার, প্রশাসন নয়। ইরান বলতে সেই দেশের মানুষকেই বুঝি। আমার মায়ের হাতকে বুঝি। সেই ইরানের মৃত্যু হচ্ছে, আমি ভালো নেই।”
২০১৫ সালে বলিউডে পা রাখেন মডেল-অভিনেত্রী মান্দানা করিমি। ‘রায়’ সিনেমায় আনিতা চরিত্রে অভিনয় করেন। পরবর্তীতে ‘কেয়া কুল হ্যায় হাম ৩’, ‘থর’ সিনেমায় দেখা যায় তাকে। এর আগে ‘বিগ বস ৯’-এ অংশ নিয়ে আলোচনায় ছিলেন।
চলতি বছরের শুরুতে অভিনয়কে বিদায় জানানোর ঘোষণা দেন মান্দানা করিমি। ইন্টেরিয়র ডিজাইনিংকেই পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ৩৭ বছরের মান্দানা বলেন, “অভিনয় এমন একটি কাজ ছিল যা কখনো পছন্দ করিনি, এমনকি এই শিল্পও না। আমি সেখানে যে সময় কাটিয়েছি, তার জন্য কৃতজ্ঞ। তবে এটি এমন কিছু ছিল না যার জন্য আমি ক্ষুধার্ত ছিলাম।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীতে আগুনে পুড়ল ১১টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার সেবারহাটে একটি আসবাবপত্র তৈরির কারখানা, গোডাউনসহ ১১টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়ে গেছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সেনবাগ, চৌমুহনী ও মাইজদীর পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেবারহাট বাজারে ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের পাশের একটি কাঠের আসবাবপত্র তৈরির কারখানা থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এরপর আশপাশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
শুরুতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও আশপাশের এলাকার হাজারো মানুষ আগুন নেভাতে এগিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে রাত পৌনে একটার দিকে সেনবাগ ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভাতে শুরু করে। কিন্তু তখন আগুনের ভয়াবহতা বাড়ায় বেগমগঞ্জের চৌমুহনী ও জেলা শহর মাইজদী ফায়ার স্টেশন থেকে আরও তিনটি ইউনিট এসে কাজে যুক্ত হয়। সকাল সাতটায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।
সেবারহাট বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি বাহার উল্যাহ আজ রোববার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, আগুনে আসবাবপত্র তৈরির কারখানা, মেশিনারিজ সামগ্রী, থাই অ্যালুমিনিয়াম পণ্য বিক্রির দোকানসহ কমপক্ষে ১১টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। আগুনে ব্যবসায়ীদের ৩০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের সেনবাগ স্টেশনের পরিদর্শক বিল্লাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আসবাবপত্র তৈরির কারখানার বয়লার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে তদন্ত ছাড়া প্রকৃত কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।