নদী মরে যাওয়া ভাবনার অতলে গভীর ডুব
Published: 23rd, June 2025 GMT
খাদ্য
কত দিন ধরে তাকিয়ে আছি
সময় দেবে না সাক্ষ্য
যোগ্যতাহীন, রচিতে পারি না
ক্ষত লুকোবার বাক্য
হাত মনে করে যে হাত ধরেছি
চুল মনে করে চুল
ধরেছি আঙুল
তা হয়তো দীর্ঘশ্বাসের মতো ব্যাকুল
ভালোবাসা
সে কি অপচয়?
এই মনে হওয়া মেনে নিচ্ছি
নিষ্ঠুরতার যে শিকার
নিতান্ত তারই ভুল!
ভুল লুকানোর
জায়গা কোথায়
পালাবার নেই সুড়ঙ্গ
চোখ মনে করে
যে চোখ দেখেছি
অঙ্গ ভেবে অঙ্গ
কত নির্মম কর্কট-রাত
শোনাচ্ছে গান, নিদ্রার
অবজ্ঞাকে কীভাবে ঠেকাব
জানা নেই সেই বিদ্যা
কীভাবে রচিব নতমুখ আমি
নেই আর যথাসাধ্য
মানছি তো আজ আমার জন্যে
গৃহদাহ দেখা বাধ্য
কেননা এমন করেছি কেন যে
অভুক্ত আমি ভালোবাসাকেই
মনে করেছিলাম খাদ্য
টুডু সাঁওতালআমার দেহকে তুমি দেখেছ কখনো?
কালো মাটি, চোখ দুটো রক্তজবা, লাল
বাংলা কবিতা, মনোযোগ দিয়ে শোনো
আমার লুণ্ঠিত নাম—টুডু সাঁওতাল
মাটির দেয়ালে গড়া আমাদের ঘর
ঘরে যে আগুন দিল, তারা কারা তবে?
ঘরপোড়া মানুষের পায়ে চরাচর
লেগে যায়
আমাদের ভবিষ্যতের কী হবে?
আরও পড়ুনআয়নাঘরে রচিত কবিতা২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪মানুষের রক্তের স্যুপচুপ চুপ চুপ!
যিনি ছিলেন, চেয়ারে
যিনি এলেন, চেয়ারে
এবং এরও পরে যিনি এসে বসবেন, চেয়ারে—
তাদের পছন্দ খুব
মানুষের রক্তের স্যুপ
শীতরাতে ফুটপাতে ঘুমোচ্ছে উলঙ্গ পাগলি
মাননীয়দের গাড়িতে পতাকা—
পত পত করে উড়ছে
গানটান, দেশপ্রেম-মাখা
এভাবেই আমাদের বেঁচেটেচে থাকা
নদী মরে যাওয়া ভাবনার অতলে গভীর ডুব
দিতে দিতে দেখি—
রাজার পছন্দ খুব
আমাদের রক্তের স্যুপ.
পোড়া কপাল—জন্মদাগ
জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ
রক্ত দিয়ে স্বপ্ন কিনি
সেই স্বপ্ন চলছে ভাগ
কপাল পোড়া—জন্ম পাপ
খাটের নিচে ঘুমায় সাপ
মন্তাজের বাপ বলতে পারে—
মিলে যাচ্ছে খাপে খাপ
এ অবস্থায় কী করা যায়?
এই যে আপা, এই যে ভাই..
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
শাবিপ্রবিতে নারীদের নিরাপত্তার দাবিতে ছাত্রশিবিরের স্মারকলিপি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং ধর্ষণে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে শাখা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
সোমবার (২৩ জুন) শাবিপ্রবি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাজেদুল করিমের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন শাখা শিবিরের সভাপতি তারেক মনোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিনের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। নির্মাণ সামগ্রীর মান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হওয়া এবং প্রকল্প ব্যয়ের স্বচ্ছতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। এসব উন্নয়ন প্রকল্প যেন শিক্ষার্থীদের বাস্তব কল্যাণে প্রতিফলিত হয় এবং টেকসই হয়, সে বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।
আরো পড়ুন:
উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে ওবিই কারিকুলাম অপরিহার্য: বেরোবি উপাচার্য
শাবিপ্রবি প্রশাসনের গাফিলতিতে ঝুঁকিতে ৯৫ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ করে সন্ধ্যার পর, অনেক জায়গায় নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। নারী শিক্ষার্থীদের চলাচলে নিরাপত্তা নিশ্চিতে পর্যাপ্ত আলোকসজ্জা, নিয়মিত টহল ও জরুরি হেল্পলাইন চালুর প্রস্তাবও স্মারকলিপিতে দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে এক নারী সহপাঠীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করা হয় স্মারকলিপিতে। এই জঘন্য ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত তদন্ত করে প্রশাসনিক ও আইনানুগভাবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করার সাহস না পায়।
স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে ছাত্র হল পর্যন্ত সড়কের অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে দুরবস্থার মাত্রা আরো বেড়েছে। রাস্তায় খানাখন্দ ও বর্ষাকালে কাদায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে ওই রাস্তার সংস্কার প্রয়োজন।
শিবির নেতারা জানান, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১৫টি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে, যা প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো, গবেষণা ও শিক্ষার পরিবেশের উন্নতি হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে এসব উন্নয়নের পাশাপাশি নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার দিকেও সমান গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী