Prothomalo:
2025-11-17@12:34:21 GMT

ট্যালেন্ট দাবায়ে রাখা যায় না

Published: 24th, June 2025 GMT

প্রথম আলো :

কিসের শুটিং করছেন?

একটি সিনেমার। এখানে বেশির ভাগ কলাকুশলী বিদেশি। দারুণ একটি টিম। সিনেমাটি মূলত চলচ্চিত্র উৎসবকে টার্গেট করে নির্মাণ করা। চরিত্রটি আমার খুবই পছন্দ হয়েছে। সিনেমাটিতে কাজ করে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি। এর বেশি কিছু সিনেমা নিয়ে বলা বারণ।

প্রথম আলো :

মূলধারার বাণিজ্যিক সিনেমা আর উৎসবকেন্দ্রিক সিনেমার মধ্যে আপনি কোনটায় স্বচ্ছন্দ?

দুই জায়গাতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। আমার চাওয়া, চরিত্র পছন্দ হলেই হলো। দুই জায়গায় কাজটাই হয় ভিন্নভাবে। সব জায়গাতেই পেশাদারত্ব থাকে। বিশেষভাবে বলতে গেলে, উৎসবকে টার্গেট করা সিনেমাগুলো বেশি পরিকল্পিত, গোছানো হয়ে থাকে। এখানে বাইরের দক্ষ টিম রয়েছে। তারা ঠিক সময়ে কাজ শুরু করে। প্রতিটি দৃশ্যের জন্য আলাদা সময় নিয়ে কাজটি হয়। দিন–রাত এক করে শুটিং করলাম, বিষয়টা এমন থাকে না। এখানে শিল্পীদের স্বাচ্ছন্দ্য থাকে। এখানে চরিত্রগুলোতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগ বেশি। এখানেই আমি বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।

সুনেরাহ বিনতে কামাল। ছবি: শিল্পীর সৌজন্যে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নবান্নের পিঠায় সুবাসিত রাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কৃষি অনুষদ প্রাঙ্গণে লেগেছে নবান্নের হাওয়া। ‘হিম হিম শীতের বাতাস, উষ্ণতায় ছড়ায় পিঠা পুলির সুবাস’- প্রতিপাদ্যে প্রাণবন্ত নবান্ন ও ‘পিঠা উৎসব ১৪৩২’ এর আয়োজন করে এগ্রোনমি অ্যান্ড এগ্রিকালচার এক্সটেনশন সমিতি।

রবিবার (১৬ নভেম্বর) দিনের শুরুতে সকাল ৯টায় ধান কেটে উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। নতুন ধান ঘরে তুলেই নবান্ন উদযাপনের যে বৈচিত্র্যময় গ্রামীণ ঐতিহ্য, তারই এক দৃষ্টিনন্দন প্রতিফলন দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ চত্বরে। এরপরই শুরু হয় পিঠার বর্ণিল আয়োজন, যেখানে জড়ো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অসংখ্য মানুষ।

আরো পড়ুন:

রাবিতে শিবিরের নবীনবরণে ডাকসুসহ ৩ ছাত্র সংসদের ভিপি

রাবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আটক

প্রতি বছরের মতো এবারো উৎসবমুখর পরিবেশে পিঠা খাওয়া, নাচ-গান, আনন্দ-উল্লাসে পুরো অনুষদ প্রাঙ্গণ সরগরম হয়ে ওঠে। অনুষদের সামনে থেকে বের হওয়া বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উৎসবকে আরো প্রাণবন্ত করে তোলে।

এবারের পিঠা উৎসবে ছিল শিক্ষার্থীদের তৈরি প্রায় দেড় শতাধিক পদের পিঠা। বিভিন্ন স্টলে সাজানো ছিল দুধপুলি, চন্দ্রপুলি, নারকেল পুলি, তেলপিঠা, নকশী পিঠা, দুধচিতই, শামুক পিঠা, জামাই পিঠা, পাটি সাপটা, গোলাপ ফুল, সুজির বড়া, মালাই বিহার, ডাবের পুডিং, রূপালি পিঠা, বুটের বরফি, মোহনভোগ, ডিম সুন্দরী, মাছের পিঠা, গাজরের হালুয়া, খিরপুলি, এভাবে দীর্ঘ তালিকা।

এত বৈচিত্র্যময় পিঠার সমাহার যেন একদিনের জন্য কৃষি অনুষদকে পরিণত করেছিল শীতের গ্রামীণ স্বাদবাজারে।

১০ টাকা থেকে শুরু হওয়া বিভিন্ন দামের এসব পিঠা কিনতে উৎসবে আসা শিক্ষার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। পিঠার স্বাদ যেমন আনন্দ দিয়েছে, তেমনি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল আয়োজন মুগ্ধ করেছে সবাইকে।

এগ্রোনোমি অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের শিক্ষার্থী জেরিন জেবা বলেন, “নবান্ন উৎসব আমাদের বিভাগের একটি ঐতিহ্য। নতুন ধান উঠলে ঘরে পিঠা তৈরি করার যে সংস্কৃতি, আমরা সেটাকেই ধারণ করি। এই উৎসব আমাদের সাংস্কৃতিক শেকড়ের সঙ্গে যুক্ত রাখে।”

আরেক শিক্ষার্থী ধ্রুব বলেন, “নবান্ন উৎসব আমাদের বিভাগের একটা ঐতিহ্য। ঐতিহ্যকে ধারণ করে আমাদের বিভাগের প্রতি বছর এ আয়োজন করে থাকে। এ আয়োজনের সব থেকে ভালো লাগার জায়গা হলো পিঠা উৎসব। আমরা বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করছি, বিক্রি করছি। এর মাধ্যমে নবান্নের উৎসবকে আরো বেশি আমেজময় করে তুলেছে।”

বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “নবান্ন আমাদের কৃষি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। শিক্ষার্থীদের এমন প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ দেখে আমরা উৎসাহ পাই।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নবান্নের পিঠায় সুবাসিত রাবি