সুন্দরবন সংলগ্ন লোকালয় থেকে অজগর উদ্ধার
Published: 24th, June 2025 GMT
বাগেরহাটে সুন্দরবন সংলগ্ন লোকালয় থেকে একটি অজগর সাপ উদ্ধার করেছে ওয়াইল্ডটিম ও ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম (ভিটিআরটি)। মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ তাফালবাড়ি গ্রাম থেকে সাপটি উদ্ধার করা হয়।
ওয়াইল্ডটিমের মাঠ কর্মকর্তা আলম হাওলাদার জানান, স্থানীয় বাসিন্দা সুদেব বাইনের সবজি ক্ষেত ঘিরে রাখা জালে আটকে পড়ে অজগরটি। খবর পেয়ে ওয়াইল্ডটিম ও ভিটিআরটির সদস্যরা স্থানীয়দের সহায়তায় সাপটি উদ্ধার করে। অজগরটি পুরোপুরি সুস্থ ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, খাবারের সন্ধানে বা উপযুক্ত পরিবেশের খোঁজে সাপটি বনাঞ্চল ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব জানান, উদ্ধার হওয়া অজগরটি লম্বায় ৮ ফুট এবং ওজন প্রায় ১০ কেজি। এটি সুন্দরবনের ধাবড়ি খাল এলাকায় বিকেলে অবমুক্ত করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
‘সুন্দরবন রক্ষায় কনক্রিট অ্যাকশন প্ল্যান করা হবে’
খুলনায় উদ্ধারকৃত অজগর সুন্দরবনে অবমুক্ত
ঢাকা/শহিদুল/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ন দরবন স ন দরবন
এছাড়াও পড়ুন:
নতুন ডিজাইনের ১০০ টাকার নোট বাজারে আসছে মঙ্গলবার
বর্তমান গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর স্বাক্ষরিত নতুন ডিজাইন ও সিরিজের ১০০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংক নোট মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বাজারে ছাড়বে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নোটটি প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য অফিস থেকে ইস্যু করা হবে।
রবিবার (১০ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড পাবলিকেশন্স থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ‘বাংলাদেশের ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্য’ শীর্ষক নতুন ডিজাইন ও সিরিজের ১০০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটের ডিজাইন ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- ব্যাংক নোটটির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪০x৬২ বর্গ মিলিমিটার। নোটের সম্মুখভাগে বামপাশে ষাট গম্বুজ মসজিদের ছবি ও মাঝখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে পাতা ও কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলার ছবি এবং নোটের পেছন ভাগে সুন্দরবন, বাংলাদেশের ছবি মুদ্রিত আছে। নোটে জলছাপ হিসেবে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ, এর নিচে উজ্জ্বল ইলেক্ট্রো টাইপ জলছাপে ‘100’ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম রয়েছে। নোটটিতে নীল রঙের আধিক্য রয়েছে।
আরো পড়ুন:
ব্যাংকের বেনামী ঋণ বন্ধ হয়েছে, আমানতকারীদের আস্থা ফিরছে
‘টাকা পে’ এর নামে ভুয়া ওয়েবসাইট, সতর্ক করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
১০০ টাকা মূল্যমান নোটটিতে মোট ১০ ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সংযোজন করা হয়েছে। নোটের সম্মুখভাগে ডানদিকে কোনায় মুদ্রিত মূল্যমান ‘১০০’ রঙ পরিবর্তনশীল উন্নতমানের নিরাপত্তা কালি দ্বারা মুদ্রিত। নোটটি নাড়াচাড়া করলে এর রঙ সোনালি থেকে সবুজ রঙে পরিবর্তিত হয়।
নোটটির সম্মুখভাগে বামপাশে ৪ মিলিমিটার চওড়া লাল রঙ এবং উজ্জ্বল রূপালি বারের সমন্বয়ে পেঁচানো নিরাপত্তা সুতা রয়েছে। নোটটি নাড়াচাড়াকরণে নিরাপত্তা সুতার রঙ লাল হতে সবুজ রঙে পরিবর্তিত হয়, যাতে ‘১০০ টাকা’ খচিত রয়েছে এবং উজ্জ্বল রংধনুর রঙের বারে রূপান্তরিত হয়ে উপর থেকে নীচে চলতে দেখা যাবে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য নোটের সম্মুখভাগে ডানে নীচের দিকে তিনটি ছোট বৃত্ত রয়েছে, যা হাতের স্পর্শে অসমতল অনুভূত হয়।
নোটটিতে ইন্টাগ্লিও কালিতে মুদ্রিত অংশগুলো হাতের স্পর্শে অসমতল অনুভব করা যাবে। ইন্টাগ্লিও কালিতে মুদ্রিত অংশগুলোর মধ্যে রয়েছে- নোটের সম্মুখভাগের ষাট গম্বুজ মসজিদের ছবি, বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রতিশ্রুত বাক্য, বাংলা ও ইংরেজিতে মূল্যমান নোটের ডানদিকে আড়াআড়িভাবে অবস্থিত ছয়টি লাইন এবং নোটের পেছন ভাগে সুন্দরবন, বাংলাদেশের ছবি, সব মূল্যমান (অংকে ও কথায়), বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম, BANGLADESH BANK ইত্যাদি।
নোটের সম্মুখভাগে নিরাপত্তা সুতা সংলগ্ন নকশাগুলো আই অ্যাবজরবেন্ট কালি দ্বারা মুদ্রিত, যা আইআর সনাক্ত যন্ত্র দ্বারা দৃশ্যমান হবে। নোটের সম্মুখভাগে নিরাপত্তা সুতার বামপাশে ও ‘BANGLADESH BANK’ লেখাটির নিচে মাইক্রোপ্রিন্ট হিসেবে উলম্বভাবে ‘BANGLADESH BANK 100 Taka’ পুনরায় মুদ্রিত রয়েছে।
এছাড়া, নোটের পেছন ভাগে বামপাশে নীচে ও ডানপাশে উলম্বভাবে ‘BANGLADESH BANK’ এবং বামপাশে উপরে ‘100 Taka’ মাইক্রোপ্রিন্ট হিসেবে পুনরায় মুদ্রিত রয়েছে, যা শুধু ম্যাগনিফাই গ্লাস দ্বারা দেখা যাবে।
নোটটিতে গভর্নর স্বাক্ষরের ডানপাশে See-Through image হিসেবে ‘১০০’ মুদ্রিত রয়েছে যা আলোর বিপরীতে ধরলে ‘১০০’ লেখা দৃশ্যমান হবে। নোটের সম্মুখভাগে নীচের দিকের বর্ডারের মাঝখানে নীল ডিজাইন অংশে গুপ্তভাবে ‘100’ লেখা আছে, যা নোটটি অনুভূমিকভাবে ধরলে দেখা যাবে। নোটের কাগজে লাল, নীল ও সবুজ রংয়ের অসংখ্য আঁশ রয়েছে, যা আল্ট্রা ভায়োলেট সনাক্ত যন্ত্র দ্বারা দৃশ্যমান হয়।
নোটটির উভয় পৃষ্ঠে ইউভি কিউরিং ভার্নিশ সংযোজন করা হয়েছে। এর ফলে নোটটি চকচকে অনুভূত হবে, নোটের স্থায়ীত্ব বৃদ্ধি পাবে।
নতুন ডিজাইনের ১০০ টাকা মূল্যমানের নোটের পাশাপাশি বর্তমানে প্রচলিত সব কাগুজে নোট এবং ধাতব মুদ্রাও যথারীতি চালু থাকবে। এছাড়া, মুদ্রা সংগ্রাহকদের চাহিদার বিষয়টি বিবেচনা করে নিয়মিত নোটের পাশাপাশি ১০০ টাকা মূল্যমান নমুনা নোট (যা বিনিময়যোগ্য নয়) মুদ্রণ করা হয়েছে, যা মিরপুরের টাকা জাদুঘর থেকে নির্ধারিত মূল্যে সংগ্রহ করা যাবে।
ঢাকা/নাজমুল/মেহেদী