‘ভগবান ৫টা সন্তান দিল, তারার মুখে কথা দিল না, কথা শোনার শক্তি দিল না’
Published: 25th, June 2025 GMT
আট সদস্যের পরিবার। মা, বাবা, চার ছেলে আর দুই মেয়ে। ভাই-বোনদের মধ্যে একজন বাদে বাকি সবাই শ্রবণ ও বাক্প্রতিবন্ধী। পাঁচ সন্তানের এমন অবস্থা নিয়ে আক্ষেপ আর দুশ্চিন্তার অন্ত নেই তাদের বাবা রামজনম গড়ের (৭০)। তাঁর স্ত্রী বাসন্তী গড় (৫৫) পক্ষাঘাতগ্রস্ত। রামজনম নিজেও বয়সের ভারে চা-বাগানে কাজে যেতে পারেন না। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বিশাল সদস্যের সংসারটি চলে বড় ছেলে হীরা গড়ের (২২) সামান্য উপার্জনে।
সোমবার বিকেলের দিকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার কালিটি চা-বাগানের ৮ নম্বর লাইনে মাটির দেয়ালঘেরা ঘরের উঠানে বসে কথা হচ্ছিল রামজনমের সঙ্গে। আট সদস্যের পরিবারটি ছোট এ ঘরে গাদাগাদি করে বসবাস করে।
ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করে হঠাৎ দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে রামজনম বলে ওঠেন, ‘শরীরটাতে আগের মতো শক্তি পাই না, বাবু। কামকাজ করতে পারি না। সম্পদ বলতে দুইটা গরু আছে। এইগুলারে নিয়াই দিন চলি যায়, সকালে ঘাস খাওয়াইতে নিয়া যাই; আবার বিকেলে ঘরে নিয়া ফিরি। কাজ বলতে এইটুকুই করি।’
রামজনমের ছয় সন্তানের মধ্যে একমাত্র সুমিত্রা গড় সুস্থ। কয়েক বছর আগে পাশের কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই চা-বাগানে তাঁকে বিয়ে দেন। বাকি পাঁচ সন্তানই জন্মের পর থেকে শ্রবণ ও বাক্প্রতিবন্ধী। এই চার ছেলের মধ্যে হীরা গড় বড়। এরপর কানাইলাল গড় ও কৃষ্ণলাল গড় যমজ এবং সবার ছোট দীপক গড়। মেয়েদের মধ্যে লক্ষ্মী গড়েরও প্রতিবন্ধিতা আছে।
শ্রবণ ও বাক্প্রতিবন্ধী পাঁচজনসহ ছয় সন্তানকে এই মাটির দেয়ালঘেরা ঘরে গাদাগাদি করে থাকেন রামজনম ও বাসন্তী গড় দম্পতি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘ভগবান ৫টা সন্তান দিল, তারার মুখে কথা দিল না, কথা শোনার শক্তি দিল না’
আট সদস্যের পরিবার। মা, বাবা, চার ছেলে আর দুই মেয়ে। ভাই-বোনদের মধ্যে একজন বাদে বাকি সবাই শ্রবণ ও বাক্প্রতিবন্ধী। পাঁচ সন্তানের এমন অবস্থা নিয়ে আক্ষেপ আর দুশ্চিন্তার অন্ত নেই তাদের বাবা রামজনম গড়ের (৭০)। তাঁর স্ত্রী বাসন্তী গড় (৫৫) পক্ষাঘাতগ্রস্ত। রামজনম নিজেও বয়সের ভারে চা-বাগানে কাজে যেতে পারেন না। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বিশাল সদস্যের সংসারটি চলে বড় ছেলে হীরা গড়ের (২২) সামান্য উপার্জনে।
সোমবার বিকেলের দিকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার কালিটি চা-বাগানের ৮ নম্বর লাইনে মাটির দেয়ালঘেরা ঘরের উঠানে বসে কথা হচ্ছিল রামজনমের সঙ্গে। আট সদস্যের পরিবারটি ছোট এ ঘরে গাদাগাদি করে বসবাস করে।
ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করে হঠাৎ দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে রামজনম বলে ওঠেন, ‘শরীরটাতে আগের মতো শক্তি পাই না, বাবু। কামকাজ করতে পারি না। সম্পদ বলতে দুইটা গরু আছে। এইগুলারে নিয়াই দিন চলি যায়, সকালে ঘাস খাওয়াইতে নিয়া যাই; আবার বিকেলে ঘরে নিয়া ফিরি। কাজ বলতে এইটুকুই করি।’
রামজনমের ছয় সন্তানের মধ্যে একমাত্র সুমিত্রা গড় সুস্থ। কয়েক বছর আগে পাশের কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই চা-বাগানে তাঁকে বিয়ে দেন। বাকি পাঁচ সন্তানই জন্মের পর থেকে শ্রবণ ও বাক্প্রতিবন্ধী। এই চার ছেলের মধ্যে হীরা গড় বড়। এরপর কানাইলাল গড় ও কৃষ্ণলাল গড় যমজ এবং সবার ছোট দীপক গড়। মেয়েদের মধ্যে লক্ষ্মী গড়েরও প্রতিবন্ধিতা আছে।
শ্রবণ ও বাক্প্রতিবন্ধী পাঁচজনসহ ছয় সন্তানকে এই মাটির দেয়ালঘেরা ঘরে গাদাগাদি করে থাকেন রামজনম ও বাসন্তী গড় দম্পতি