সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। একই সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের আগেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব করে দলটি বলেছে, ‘সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কালো টাকার দৌরাত্ম্য দূর হবে। মনোনয়ন বাণিজ্য থাকবে না। ভবিষ্যতেও নির্দলীয় সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিরাই নির্বাচিত হবেন।’

আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। সিইসির সঙ্গে বৈঠকে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি তুলে ধরা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশেও এই পদ্ধতিতে নির্বাচন চাইছে। সেক্ষেত্রে কোনো দলের প্রাপ্ত ১ শতাংশ ভোটের ভিত্তিতে আসন বণ্টনের প্রস্তাব করেছে জামায়াত।’

বৈঠকে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানান হামিদুর রহমান আযাদ। তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা পুনর্বহালের মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়েছে। জামায়াত  পুনর্গঠন চাওয়ার বদলে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখতে চাইছে।’

এর আগে হামিদুর রহমান আযাদের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামির ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন। নির্বাচন ভবনের সিইসির সভাকক্ষে সকাল ১১টা থেকে সোয়া এক ঘণ্টা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জোবায়ের ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম ইসল ম র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ