সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি জানাল জামায়াত
Published: 25th, June 2025 GMT
সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। একই সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের আগেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব করে দলটি বলেছে, ‘সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কালো টাকার দৌরাত্ম্য দূর হবে। মনোনয়ন বাণিজ্য থাকবে না। ভবিষ্যতেও নির্দলীয় সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিরাই নির্বাচিত হবেন।’
আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। সিইসির সঙ্গে বৈঠকে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি তুলে ধরা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশেও এই পদ্ধতিতে নির্বাচন চাইছে। সেক্ষেত্রে কোনো দলের প্রাপ্ত ১ শতাংশ ভোটের ভিত্তিতে আসন বণ্টনের প্রস্তাব করেছে জামায়াত।’
বৈঠকে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানান হামিদুর রহমান আযাদ। তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা পুনর্বহালের মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়েছে। জামায়াত পুনর্গঠন চাওয়ার বদলে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখতে চাইছে।’
এর আগে হামিদুর রহমান আযাদের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামির ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন। নির্বাচন ভবনের সিইসির সভাকক্ষে সকাল ১১টা থেকে সোয়া এক ঘণ্টা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জোবায়ের ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম ইসল ম র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
এক এনামুল সবাইকে ‘বোকা’ বানাচ্ছেন
ম্যাচের আগের দিন সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দিয়ে উইকেট দেখা বাংলাদেশের ক্রিকেটারটি কে জানেন? এনামুল হক।
কোচ, অধিনায়কেরাও উইকেট দেখেন। কিন্তু এনামুল দেখেন অখণ্ড মনোযোগে, কখনো কখনো উইকেটের পাশে বসে আঙুল দিয়ে মাটি চেপে চেপে। বাংলাদেশের ফটোসাংবাদিকদের সংগ্রহে এ রকম অনেক ছবি পাবেন, অধিনায়ক উইকেট দেখছেন, পাশে আছেন এনামুল।
কেন এনামুল এত মনোযোগ দিয়ে উইকেট দেখেন? ভাববেন না ছবির ফ্রেমে থাকার জন্য। উইকেট দেখে-বুঝে আসলে পুরো ম্যাচটাকে তিনি আগ থেকেই চোখের সামনে ফুটিয়ে তুলতে চান। অগ্রিম বুঝে নিতে চান, এই উইকেটে কী কী ঘটনা ঘটতে পারে। ঘরোয়া ক্রিকেটের ড্রেসিংরুমে এনামুলের ক্রিকেটপ্রজ্ঞা ও অনুমানশক্তি তো এমনি এমনি তৈরি হয়নি। এটি অনেক দিনের পরিশ্রমের ফসল।
এনামুল আরেকটা কাজ খুব ভালো পারেন—মানুষকে ‘বোকা’ বানাতে। চলতি শ্রীলঙ্কা সফরে গলের পর কলম্বো টেস্টেও সেটি তিনি দেখিয়ে যাচ্ছেন, যা দলের বেশ কাজেও লাগছে।
খেয়াল করে দেখেছেন নিশ্চয়ই, এনামুলের ব্যাটিং দেখাটা এখন বড়ই টেনশনের। প্রতি বলেই মনে হয়, এই বুঝি তিনি আউট হয়ে যাচ্ছেন! টেস্ট ম্যাচের শুরু থেকেই এমন ব্যাটিং দেখে ড্রেসিংরুমে দলের অন্য ব্যাটসম্যানদেরও ভড়কে যাওয়ার কথা। খুব কি ভালো বোলিং করছেন বোলাররা? নাকি উইকেট ‘আনপ্লেয়েবল’!
তবে এভাবে না ভেবে একটু উল্টো করে ভাবলে দেখবেন, এনামুল আসলে বোকা বানাচ্ছেন শ্রীলঙ্কার বোলার-ফিল্ডারদের। সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে আজই যেমন মুখোমুখি হওয়া দশম বলে আউট হওয়ার আগে স্লিপে দুবার ক্যাচের মতো তুলে ফিল্ডাররা জায়গামতো দাঁড়িয়েছেন কি না, দেখে নিলেন।
আরও পড়ুনএনামুল মুক্তি নিলেন, মুক্তি দিলেন৪ ঘণ্টা আগেএনামুলের যে ব্যাটিং দেখে দৃশ্যত আপনার ‘সংগ্রামী’ মনে হচ্ছে, সেটি কিন্তু গোপনে দলের উপকারই করছে। শ্রীলঙ্কান বোলারদের মিছে আত্মবিশ্বাসে ভুগিয়ে সহজ করছে সতীর্থ ব্যাটসম্যানদের কাজ। সঙ্গে দর্শকেরাও বলে বলে পাচ্ছেন অনিশ্চিত ক্রিকেটের ভরপুর রোমাঞ্চ। টেস্ট ক্রিকেটে যখন এনামুলের ব্যাটিংয়ের মতো প্রতি বলের নাটকীয়তা চলে আসে, এর চেয়ে বিনোদন আর কী হতে পারে!
বিশ্বাস না হলে গল টেস্টের কথা মনে করে দেখুন। সেখানেও কি শ্রীলঙ্কান বোলার-ফিল্ডারদের কম ভুগিয়েছেন তিনি!
এনামুলকে দ্রুত আউট করে লঙ্কানদের মধ্যে যেন মেকি আত্মবিশ্বাস জন্মে