নিজের কাজ ফেলে রোগীদের ট্রলি ঠেলে বেড়ান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীরা বলে অভিযোগ উঠেছে। এর বিনিময়ে তারা রোগীদের স্বজনদের কাছ থেকে আদায় করেন টাকা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও তাদেরকে মজুরি দিয়ে থাকে।

বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রাজশাহীর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি দল এনফোর্সমেন্ট অভিযানে গিয়ে এ চিত্র দেখেছে। বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালকদের ভাড়া নিয়ে দৈরাত্মও দুদকের নজরে এসেছে। এ দুটি ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা।

সম্প্রতি রামেক হাসপাতালের আউটডোর ডিসপেনসারির ফার্মাসিস্ট ইনচার্জ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে পাওয়া এক লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক একটি এনফোর্সমেন্ট টিম গঠন করে। 

আরো পড়ুন:

দে‌শে এসে মোকাবিলা কর‌তে হ‌বে
সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলা: দুদক চেয়ারম্যান

শরীয়তপুরে সদর হাসপাতালে দুদকের অভিযান

দুদকে করা অভিযোগে বলা হয়, রফিকুল ইসলামের শর্ট স্লিপে সব প্রকার ওষুধের গড়মিল আছে। মন্টিলুকাস, ফেকসু, মেটফরমিন, ওরস্যালাইন, মেট্রো, ডায়াগন টু, জিটিএন ও প্যারাসিটামল খরচের সঙ্গে স্লিপের মিল থাকে না বলেও এতে উল্লেখ করা হয়। মেইন স্টোরের ফার্মাসিস্ট মীর শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগ যাচাইয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইনকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি টিম গঠন করে দেয়া হয়। টিমের সদস্যরা আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে অভিযান চালান। তারা বেশকিছু নথিপত্রও নিয়ে যান।

অভিযান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন বলেন, “অভিযানে আমরা স্টোর রুমের খাতা দেখেছি। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে আমরা কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দেব।”

অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীরা ট্রলি পরিচালনা করে। তাদের দৈরাত্ম লক্ষ্য করেছি। এছাড়া হাসপাতালের বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া নিয়েও দৈরাত্ম দেখেছি। প্রাথমিকভাবে এ দুটি ক্ষেত্রে অনিয়ম দেখেছি। আমরা এ ব্যাপারে প্রতিবেদন দাখিল করব। তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা.

হাসানুল হাসিব বলেন, “যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দুদক পেয়েছে, যারা যারা কনসার্ন আজই তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের নিজেদের কাজ করতে হবে, সেটা বলা হয়েছে।” 

ওষুধ সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এ রকম ভৌতিক কমপ্লেইন থাকেই। এটা নিয়ে আমরা ভাবছি না।”

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ

এছাড়াও পড়ুন:

তিস্তা পাড়ের ২০ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি

উজানে লাগাতার বৃষ্টি এবং ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের জলকপাট খুলে দেওয়ায় লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তা তীরবর্তী এই জেলার ২০টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। 

নদীর পানিতে গ্রামীণ কাঁচা-পাকা সড়ক, ফসলের মাঠ এবং সবজির ক্ষেত তলিয়ে গেছে। অনেক পুকুরের মাছও ভেসে গেছে। পানিবন্দি এলাকার মানুষ গবাদি পশু নিয়ে উঁচু স্থান, বাঁধ ও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন।

বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল থেকেই তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে। রাত পানি আরো বৃদ্ধি পায়। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৬টায় পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। 

আরো পড়ুন:

কুষ্টিয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ১৩ স্কুল বন্ধ ঘোষণা

তিস্তা পাড়ের ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পানিতে তলিয়ে গেছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, ডাউয়াবাড়ী, পাটিকাপাড়া, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা এবং সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ও রাজপুর ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল। এসব এলাকার ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে কর্তৃপক্ষ তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে। 

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনিল কুমার জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টায় নদীর পানি আরো বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কর্তৃপক্ষ সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ঢাকা/সিপন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ