সিলেটে ২ মাসের এক শিশুকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। পাশেই অর্ধ গলাকাটা অবস্থায় পড়ে ছিলেন শিশুটির বাবা। বুধবার বিকেল ৫টার দিকে নগরীর মেজরটিলা বাজার সংলগ্ন ইসলামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশুটির নাম ইনায়া রহমান। সে ইসলামপুর এলাকার সিএনজি অটোরিকশা চালক আতিকুর রহমানের মেয়ে। আতিকুর রহমান সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

স্থানীয়রা জানান, ইসলামপুর এলাকার আনসার মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন আতিকুর। দুপুরে খাবার শেষে স্ত্রীসহ ঘুমিয়ে পড়েন আতিকুর রহমান। বিকেল ৫টার দিকে পরিবারের লোকজন চিৎকার শুনে এগিয়ে এসে দেখতে পান ২ মাসের শিশু ইনায়া রহমানের গলাকাটা এবং পাশেই সিএনজি অটোরিকশা চালক আতিকুর রহমান অর্ধেক গলাকাটা অবস্থায় শুয়ে আছেন। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু ইনায়াকে মৃত ঘোষণা করেন। আর রাত পৌনে ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আতিকুর রহমান হাসপাতালের পঞ্চম তলায় ওপারেশন থিয়েটারে চিকিৎসাধীন। তার অস্তোপচারও হয়েছে। তার জ্ঞান ফিরে আসার অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ। 

এসএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাইফুল ইসলাম সমকালকে বলেন, আমরা পুরো ঘটনার তদন্ত করছি। কি হয়েছে সেটি জানার চেষ্টায় আছি। এখনো সঠিকভাবে কিছু বলা যাবে না। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পারবিারিক কোনো কলহের কারণে এমনটি হয়ে থাকতে পারে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গল ক ট ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি

পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।

মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।

এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।

মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।

পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।

ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ