টানা ১২ দিন পাল্টাপাল্টি হামলার পর যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইরান ও ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তৎপরতায় শেষ পর্যন্ত হামলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় মধ্যপ্রাচ্যের এই দুই দেশ। যুদ্ধাবস্থায় যেসব বাংলাদেশি দেশে ফেরত আসতে চেয়েছিলেন, তারা এখন মত পাল্টেছেন। আগ্রহীদের অনেকে এখন আর ফেরত আসতে চাইছেন না।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ফেরত আসতে আড়াইশ জন নিবন্ধন করেছিলেন। পাকিস্তান হয়ে ফেরত আনতে প্রায় ৯০ জনের তালিকা ইসলাবাদকে দেওয়া হয়। এর মধ্যে গতকাল বুধবার পর্যন্ত প্রথমে ৪০ জন ফেরত আসতে রাজি হন। শেষ মুহূর্তে সেই সংখ্যা ৩০ জনে নেমে আসে। পরিস্থিতি বুঝে বাকিরা থেকে যেতে চাইছেন। বাংলাদেশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখছে। আর ফেরত আসতে আগ্রহীদের জন্য সুযোগ খোলা রাখছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশি প্রথম দলকে তেহরান থেকে সড়ক পথে পাকিস্তান নেওয়া হবে। এরপর তাদের ফ্লাইটে করাচি থেকে ঢাকায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, প্রথম ধাপে প্রায় ৯০ জনকে পাকিস্তান স্থল সীমান্ত দিয়ে ফেরত আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ইরান থেকে পাকিস্তান সীমান্তে প্রবেশ সহজ করতে এদের তথ্য ইসলামাবাদের কাছে দিয়েছে ঢাকা। এরই মধ্যে ৩০ জনের একটি দল তেহরান থেকে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের তাফতান সীমান্তের দিকে রওনা দিয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যে দলটি পাকিস্তান পৌঁছবে। এ দলটি বাংলাদেশে ফেরত আসছে।

ইরানে বর্তমানে প্রায় ২ হাজার বাংলাদেশি অবস্থান করছেন। এর মধ্যে তেহরানে রয়েছেন প্রায় ৪০০ জন। দেশটিতে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশির সংখ্যা ৬৭২ জন। দেশে ফিরতে আগ্রহীদে নাম-ঠিকানা ও প্রয়োজনীয় তথ্যসহ বাংলাদেশ দূতাবাসে নিবন্ধনের আহ্বান জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যে কোনো তথ্য ও সহায়তার জন্য হটলাইন নম্বরগুলোয় যোগাযোগ করতে বলা হয়।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ