বর্ষার আর্দ্র পরিবেশ নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে ত্বকে। বিশেষ করে যাঁদের ত্বক এমনিতেই তেলতেলে, সমস্যাটা তাঁদেরই বেশি। এ সময় অনেকেরই মুখে দেখা দেয় অতিরিক্ত তেল, যা শুধু দেখতে খারাপ লাগে, তা-ই নয়, ব্রণ বা র‍্যাশের ঝুঁকিও বাড়ায়। কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললে অবশ্য এ সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

১. দিনে দুই থেকে তিনবার মুখ ধুয়ে নিন

ত্বকে ধুলাবালু ও অতিরিক্ত তেল জমে ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। দিনে অন্তত দুবার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। যাঁদের ত্বক খুব তেলতেলে, তাঁরা জেলভিত্তিক ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। তবে অতিরিক্ত ধোয়ার দরকার নেই, এতে ত্বক আরও বেশি তেল উৎপাদন করতে পারে।

২.

টোনার ব্যবহার করুন

মুখ ধোয়ার পর ত্বকের ছিদ্রগুলো সংকুচিত করতে অ্যালকোহলমুক্ত হালকা টোনার ব্যবহার করুন। এটি ত্বকে থাকা অবশিষ্ট তেল ও ময়লা দূর করতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুনমেকআপ ছাড়াই সুন্দর দেখানোর ৮ উপায়০১ আগস্ট ২০২৪৩. ময়েশ্চারাইজার বাদ দেবেন না

অনেকেই ভাবেন, ত্বক তেলতেলে হলে ময়েশ্চারাইজার লাগানোর দরকার নেই। এটি ভুল ধারণা। তেলতেলে ত্বকের জন্য হালকা, ওয়াটার-বেজড ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। এতে ত্বক আর্দ্র থাকবে, কিন্তু অতিরিক্ত তেল জমবে না।

৪. সানস্ক্রিন মাখতে ভুলবেন না

বর্ষার দিন মানেই যে সূর্যের ক্ষতি নেই, তা নয়। বাইরে বের হলে অবশ্যই অয়েল-ফ্রি সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

আরও পড়ুনত্বকের এই সমস্যাগুলো যে কারণে হয়০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪৫. মেকআপ কমান

বর্ষায় ভারী মেকআপ করলে তা ঘামে গলে গিয়ে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। হালকা মেকআপ ব্যবহার করুন এবং মেকআপ করার আগে ভালো করে প্রাইমার লাগান।

৬. খাবারে নজর দিন

ভাজাপোড়া, অতিরিক্ত তেল-ঝাল খাবার বর্ষায় এড়ানোই ভালো। পর্যাপ্ত পানি এবং বেশি করে ফলমূল ও শাকসবজি খান।

শেষ কথা

ত্বকের যত্ন শুধু বাইরের পরিচর্যায় সীমাবদ্ধ নয়। শরীরের ভেতরের যত্ন, খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত পরিচর্যাই রাখতে পারে ত্বককে সুস্থ ও পরিষ্কার—এমনকি বর্ষার আর্দ্র দিনগুলোতেও।

আরও পড়ুনত্বকের বয়স কমাতে পাঁচ অভ্যাস১৫ অক্টোবর ২০২৪

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর ন ত বক র ম কআপ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রথম ভারতীয় হিসেবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পা রাখলেন শুভাংশু শুক্লা

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) পা রেখে ইতিহাস গড়েছেন ভারতীয় মহাকাশচারী গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা। তিনিই প্রথম ভারতীয়, যিনি কক্ষপথে অবস্থিত এই মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রে প্রবেশ করলেন।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি মহাকাশ সংস্থা অ্যাক্সিয়ম স্পেস পরিচালিত অভিযান অ্যাক্সিয়ম-৪ সফলভাবে মহাকাশ স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার ভোরে চার সদস্যের ক্রু সেখানে প্রবেশ করেন। সম্প্রচারে সেই দৃশ্য সরাসরি দেখা যায়।

এর আগে বুধবার অ্যাক্স-৪ মিশনটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন নাসার সাবেক অভিজ্ঞ মহাকাশচারী পেগি হুইটসন। পাইলটের দায়িত্ব পালন করেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুক্লা। বাকি দুই সদস্য হলেন পোল্যান্ডের স্লাভোস উজনানস্কি-ভিসনেভস্কি এবং হাঙ্গেরির তিবোর কাপু। তাঁরা সবাই আগামী দুই সপ্তাহ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গবেষণা ও বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক কার্যক্রমে অংশ নেবেন।

শুভাংশু শুক্লা ভারতীয় বিমানবাহিনীর একজন অভিজ্ঞ কর্মকর্তা। তাঁর এই মহাকাশযাত্রা ভারতের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। কারণ, এর আগে ১৯৮৪ সালে মাত্র একবার কোনো ভারতীয় মহাকাশে গিয়েছিলেন। সেবার রাকেশ শর্মা সোভিয়েত ইউনিয়নের সয়ুজ ক্যাপসুলে চড়ে মহাকাশ পাড়ি দিয়েছিলেন। দীর্ঘ ৪১ বছর পর আবার এক ভারতীয়ের মহাকাশযাত্রা নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিল।

অভিযানটি নাসা, ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো, ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ইসা) এবং স্পেসএক্সের যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এতে আরও অংশ নেবেন ইউরোপের দুই মহাকাশচারী। চার দশকের বেশি সময় পর নিজ নিজ দেশের পক্ষ থেকে তাঁরা মহাকাশ অভিযানে অংশ নিচ্ছেন।

দুই সপ্তাহের এই অভিযানে চার সদস্যের ক্রু দলটি মোট ৬০টি বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালনা করবেন। এর মধ্যে সাতটি গবেষণার পরিকল্পনা করেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)।

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) অ্যাক্স-৪ মিশনে গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লার জন্য একটি আসন ও প্রশিক্ষণের খরচ বাবদ প্রায় ৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার ব্যয় করেছে। সংস্থাটি বলছে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) এই সফরের মাধ্যমে শুক্লা যে হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন, তা ভারতের ভবিষ্যৎ মানব মহাকাশ অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ইসরো জানিয়েছে, ২০২৭ সালের মধ্যে তারা প্রথমবারের মতো মহাকাশে মানুষসহ অভিযান সম্পন্ন করতে চায়। পাশাপাশি ২০৩৫ সালের মধ্যে নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন স্থাপন এবং ২০৪০ সালের মধ্যে কোনো ভারতীয়কে চাঁদের মাটিতে নামানোর পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ