মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলার দুটি সীমান্ত দিয়ে আরো ২৫ জনকে ঠেলে দিয়েছে (পুশইন) বিএসএফ। বিগত ৩ মাসে এ পযর্ন্ত ৪০৫ জনকে মৌলভীবাজারের বিভিন্ন  সীমান্তে ঠেলে দেয় বিএসএফ।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ঠেলে ওই ২৫ নারী-পুরুষকে আটক করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।

শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, বুধবার রাতে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের কাকমারা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে নারী ও শিশুসহ ১৯ জন। তারা ওই এলাকার একটি বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এলাকাবাসী বিষয়টি দেখে স্থানীয় পুলিশকে খবর দিলে তাদের আটক করে শ্রীমঙ্গল থানায় নিয়ে আসা হয়।

আরো পড়ুন:

সাতক্ষীরা সীমান্তে ৪ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ

পঞ্চগড় সীমান্তে ১৮ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

তিনি আরো জানান, তাদের বাড়ি বাংলাদেশের নড়াইল যশোর, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত। শ্রীমঙ্গলে আটককৃতদের মাঝে ছয়জন পুরুষ, নয়জন মহিলা ও চারজন শিশু রয়েছে। 

অপরদিকে, কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ আরো ছয়জনকে ঠেলে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ৪৬ বিজিবির অধিনায়ক লে, কর্ণেল এএসএম জাকারিয়া।

ঢাকা/আজিজ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ আটক ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

তিন সীমান্ত দিয়ে ৪৬ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ

সুনামগঞ্জ, সিলেট ও লালমনিরহাটের সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ ৪৬ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট এলাকায় দায়িত্বরত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা তাদের আটক করেন। আটক সবাই বাংলাদেশি বলে জানা গেছে।

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়াকোট সীমান্ত দিয়ে আজ ভোরে ২০ জনকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। তারা বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন। 

বিজিবির ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হক জানান, নোয়াকোট বিওপির আওতাধীন বাগানবাড়ি সীমান্ত এলাকা থেকে বিজিবির একটি টহল দল তিন পরিবারের ২০ জনকে আটক করে। তাদের মধ্যে আট নারী, ছয় পুরুষ ও ছয় শিশু রয়েছে। ১৯ জনের বাড়ি কুড়িগ্রামে, আর একজন পাবনার বাসিন্দা।

ছাতক নোয়াকোট বিওপির হাবিলদার কবির আহমদ জানান, আটকদের মঙ্গলবার দুপুরে ছাতক থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই থানার ওসি মোহাম্মদ মুখলেছুর রহমান আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে মঙ্গলবার ভোরে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার মিনাটিলা বিওপির কেন্দ্রী এলাকা দিয়ে ঠেলে পাঠানো ১৯ জনকে আটক করেছে বিজিবি। তারা সবাই কুড়িগ্রামের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে আছে তিন পরিবারের ছয় পুরুষ, ছয় নারী ও সাত শিশু। 

এর আগে গত ১২ জুন জৈন্তাপুরের দুটি সীমান্ত দিয়ে ২৩ জনকে ও ছাতকের নোয়াকোট সীমান্ত দিয়ে ১৭ জনকে পুশইন করেছিল বিএসএফ। গতকাল আটক ১৯ জনকে থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হক বলেন, ঠিকানা যাচাই-বাছাই শেষে ১৯ জনকে জৈন্তাপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ‘পুশইন’ ঠেকাতে সীমান্তে টহল জোরদার করেছে বিজিবি।

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সীমান্ত দিয়ে শিশুসহ সাত জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ। মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার জোংড়া ইউনিয়নের সীমান্ত দিয়ে তাদের পাঠানোর পর হেফাজতে নেয় বিজিবি। পরে তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আটক সবার বাড়ি খুলনার দৌলতপুর উপজেলার খালিশপুর গ্রামে।  

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভোরে ৮৮২ নম্বর মেইন পিলারের ২ নম্বর সাব-পিলার এলাকা দিয়ে সাতজনকে বাংলাদেশে পাঠায় বিএসএফ। পরে বিজিবি সদস্যরা তাদের হেফাজতে নেন। সাতজনের মধ্যে তিন শিশু, দুই পুরুষ ও দুই নারী রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে পাটগ্রাম থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

(তথ্য দিয়েছেন সিলেট ব্যুরো, ছাতক প্রতিনিধি ও পাটগ্রাম সংবাদদাতা)

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কমলগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ৬ জনকে পুশইন করল বিএসএফ
  • মাটিরাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ৯ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • মেহেরপুরের রংমহল সীমান্ত দিয়ে ৮ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • খাগড়াছড়ির শান্তিপুর সীমান্ত দিয়ে ৯ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • ভারত কেবল মুসলিমদের ‘বিদেশি’ বলে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠাচ্ছে
  • খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে আরও ৯ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
  • সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ৪ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ
  • সাতক্ষীরায় ৬ স্বর্ণের বারসহ নারী আটক
  • তিন সীমান্ত দিয়ে ৪৬ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ