রাজবাড়ীতে ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাকে মারধর, বিএনপির ৬ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
Published: 27th, June 2025 GMT
রাজবাড়ীতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও এক কর্মচারীকে মারধর ও লাঞ্ছনার অভিযোগে বিএনপির ছয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী তাঁদের আটক করে এবং পরে সদর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পাংশা উপজেলা বিএনপির সভাপতি চাঁদ আলী খান, কর্মী রুহুল আমিন, বাচ্চু বিশ্বাস, মামুন শিকদার, ফরিদ হোসেন ও শিশির করিম।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি মামলাসংক্রান্ত শুনানির সময় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা কার্যালয়ে অনধিকার প্রবেশ করেন। এরপর সহকারী পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান, অফিস সহকারী সবুজ হোসেনসহ অন্যান্য কর্মচারীর ওপর চড়াও হয়ে মারধর ও লাঞ্ছনা করেন তাঁরা। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ছয়জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
এ বিষয়ে জানতে অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কাজী রকিবুল হাসানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান বলেন, ভোক্তা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সহকারী পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান বাদী হয়ে ওই ছয়জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ