দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ঢাকাগামী মোল্লা স্পেশাল নামের যাত্রীবাহী একটি বাসের সঙ্গে দিনাজপুরগামী কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কাভার্ডভ্যান চালক, তার সহকারীসহ চারজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ভিমলপুর এলাকায় ফুলবাড়ী-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকালে ভিমলপুর এলাকায় গুপ্তা প্লাইউড কারখানার সামনে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী মোল্লা স্পেশাল নামের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষ হয়। কুরিয়ার সার্ভিসের কাভার্ডভ্যানটি দিনাজপুরের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় কাভার্ডভ্যান ও বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে কাভার্ডভ্যানের চালক সজিব হোসেন (৪৫), তার সহকারী আরিফুল ইসলামসহ চারজনকে উদ্ধার করে। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সজিব ও আরিফুলকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে আহত অপর দুজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম খন্দকার মহিব্বুল জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও কাভার্ডভ্যান জব্দ করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

টাকা ও ক্ষমতা ব্যবহার করে দল গড়া মানুষ দেখতে চায় না: জোনায়েদ সাকি

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছে, ‘গণ–অভ্যুত্থানের পর মানুষ লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সত্যিকার নেতৃত্ব দেখতে চায়। টাকা ও ক্ষমতা ব্যবহার করে দল গড়া মানুষ দেখতে চায় না। এমনকি যাঁরা আজকের তুর্কি–তরুণ, তাঁরাও অনেকে এই গড্ডালিকায় গা ভাসাবেন, এমনটা আশা করেনি কেউ। মানুষ ভরসা রাখতে চায়।’

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের জুলাই স্মৃতি হলে শ্রমিকনেতা ‘প্রয়াত মির্জা আবুল বশর স্মরণসভায়’ প্রধান আলোচকের বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি এ কথা বলেন।

সভায় তিনি সংবিধানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সংস্কার বিষয়ে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘কাঙ্ক্ষিত সংস্কার নিয়ে সবাই এখনো ঐকমত্য হতে না পারলেও অগ্রগতির জায়গা রয়েছে। আবার কিছু মতপার্থক্যও আছে। অগ্রগতির দিকটা ছোট করার কিছু নেই। আবার যেসব বিষয়ে পার্থক্য আছে, যেসব বিষয়কে এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জরুরি এবং অপরিহার্য মনে করি, সেসব বিষয় বাস্তবায়নের জন্য লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে। মানুষ সে লড়াই চায়। মানুষ চায়, তাদের রক্তের বিনিময়ে এ দেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হোক।’

গণ–অভ্যুত্থান প্রসঙ্গে জোনায়েদ সাকি বলেন, গণ-অভ্যুত্থান শেষ হয়ে যায়নি। এ দেশে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের সংস্কার হবে, এমনটা কেউ ভাবেনি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে একজীবনে ১০ বছরের বেশি কেউ দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না, সংসদের উচ্চকক্ষের গঠনপ্রকৃতি কী হবে, বিচার বিভাগ স্বাধীন কীভাবে হবে, এমন নানা বিষয়ে ঐকমত্য হচ্ছে।

মির্জা আবুল বশর স্মৃতি পরিষদ এ স্মরণসভার আয়োজন করে। গত বছরের ৭ ডিসেম্বর ৬৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন চট্টগ্রাম জেলা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম জেলার যুগ্ম নির্বাহী সমন্বয়কারী মির্জা আবুল বশর। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতেই এ সভার আয়োজন করা হয়। এতে মির্জা আবুল বশরের রাজনৈতিক দর্শন ও কর্মপ্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেন জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, মির্জা আবুল বশর অত্যন্ত সৎ ও প্রজ্ঞাবান নেতা ছিলেন। মেহনতি মানুষের জন্য আমৃত্যু লড়াই করেছেন তিনি। অনেকে অনেক পেশা নেন, জীবনের ব্রত নেন, কর্তব্য ঠিক করেন। পরিবর্তনের জন্য কাজ করেন। এই কর্তব্য পালনের ডাকে আজকের তরুণেরা সাড়া দেবেন। তাঁরা টাকা কিংবা ক্ষমতার দাপটের কাছে পরাজিত হবেন না, বরং সেটাকে মোকাবিলা করে টিকে থাকবেন।

স্মরণসভায় ছাত্র, পেশাজীবী, শ্রমিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। উপস্থিত ছিলেন মির্জা আবুল বশরের আত্মীয়স্বজন। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় শুরু হওয়া এ সভা শেষ হয় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়। সভার সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রামের আহ্বায়ক হাসান মারুফ রুমি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ