শেরপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তিনদিন বয়সী নবজাতক চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। পুলিশ জানায়, শিশুটিকে উদ্ধারে তারা অভিযান শুরু করেছে।

শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে জেলা শহরের বটতলা এলাকায় ইউনাইটেড (প্রাঃ) হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ হয়।

স্বজনরা জানান, জেলা শহরের চাপাতলি মহল্লার ফিরোজ মিয়ার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আবেদা বেগম সিজারের জন্য গত বুধবার (২৫ জুন) রাতে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে সিজারের মাধ্যমে কন্যা সন্তান জন্ম দেন তিনি। আজ সকালে হাসপাতাল থেকে নবজাতকটি চুরি হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে দুপুরে চাপাতলি এলাকা থেকে শতাধিক নারী-পুরুষ হাসপাতালে সামনে এসে বিক্ষোভ করেন। তারা নবজাতকটিকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান।

আরো পড়ুন:

ডাক্তারকে রোগীর থাপ্পড়

চট্টগ্রামে করোনা মোকাবিলায় আইসোলেশন সেন্টার চালু 

নবজাতকের বাবা ফিরোজ মিয়া বলেন, “কোথা থেকে আমার সন্তান এনে দিবে সেটা আমি জানি না। আমি আমার সন্তান ফিরে চাই, আমি অন্য কিছু চাই না। হাসপাতাল থেকে আমার সন্তান চুরি হয়েছে।”

ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিদারুল ইসলাম বলেন, ‍‍“ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” চুরি হওয়া নবজাতক উদ্ধারে পুলিশের সহযোগিতা চান তিনি।

শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। এখনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চুরি হওয়া নবজাতক উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।”

ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মধ্যরাতে বাংলাদেশের আকাশে দেখা যাবে লিওনিড উল্কাবৃষ্টি

রাতের আকাশ মানেই বিস্ময়। সেই বিস্ময় বাড়াতে আজ বাংলাদেশে রাতের আকাশে চোখ রাখলে লিওনিড উল্কাবৃষ্টি দেখা যাবে। আকাশপ্রেমীরা আজ মধ্যরাতে এক মহাজাগতিক দৃশ্য দেখার সুযোগ পাবেন। টাইম অ্যান্ড ডেট ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, আজ ঢাকার আকাশে রাত ১১.৩৬ মিনিট থেকে রাত ১টা ০২ মিনিট পর্যন্ত এই উল্কাবৃষ্টি দেখা যাবে।

আমেরিকান মেটিওর সোসাইটির ফায়ারবল রিপোর্ট সমন্বয়কারী রবার্ট লান্সফোর্ড বলেন, অন্যান্য উল্কাবৃষ্টির তুলনায় লিওনিড ভালোভাবে দেখা যাবে। ভালোভাবে দেখার সময় এখনই। লিওনিড উল্কাবৃষ্টির মূল ধূমকেতুর নাম ৫৫পি/টেমপেল-টাটল। এই ধূমকেতুর জন্যই উল্কাবৃষ্টির সময়কাল হয় খুব সংক্ষিপ্ত। ধূমকেতুর ধ্বংসাবশেষের পথটি আকারে ছোট হওয়ায় পৃথিবী খুব অল্প সময়ের জন্য তার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে।

আমেরিকান মেটিওর সোসাইটির রবার্ট লান্সফোর্ড জানান, আজ যে উল্কা দেখা যাবে, তাকে আর্থ গ্রেজার বলা হয়। এর অর্থ হলো, উল্কাবৃষ্টি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় ধরে স্থায়ী হবে। আকাশের একটি বড় অংশজুড়ে এটি দৃশ্যমান হবে। যদিও খুব বেশি সময় দেখা যাবে না। লিওনিড উল্কাবৃষ্টির সব কার্যকলাপ বেশির ভাগই দিগন্তের নিচে থাকে। আবহাওয়া পরিষ্কার থাকলে, প্রতি ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫টি উল্কা দেখার আশা করা যেতে পারে।

লিওনিড উল্কাবৃষ্টি কখনো কখনো বিশাল উল্কাঝড় তৈরি করার জন্য সুপরিচিত। উল্কাঝড়ের সময় প্রতি ঘণ্টায় অন্তত এক হাজার উল্কা দেখা যায়। সর্বশেষ লিওনিড উল্কাঝড় হয়েছিল ২০০২ সালে। সবচেয়ে স্মরণীয় ঝড় দেখা যায় ১৯৬৬ সালে। সে সময় পৃথিবী লিওনিড স্রোতের ঠিক কেন্দ্র দিয়ে অতিক্রম করেছিল। তখন প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৪০টি উল্কাপাত হয়। সেই ঝড়ের সময় আকাশে এত বেশি উল্কার কার্যকলাপ দেখা যায়, তখন মনে হচ্ছিল যেন আকাশ থেকে বৃষ্টি নামছে।

রবার্ট লান্সফোর্ড জানান, পরবর্তী উল্কাবৃষ্টি ধূমকেতুর কক্ষপথের চক্রের সঙ্গে মিলে যাবে। সেটা ঘটবে ২০৩৩ সালে। ধূমকেতু ৫৫পি যখন কক্ষপথে সূর্যের নিকটতম বিন্দুতে বা পেরিহিলিয়নে পৌঁছায়, তখন উল্কার কার্যকলাপ অনেক বেড়ে যায়। ধূমকেতু একবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে ৩৩ বছর সময় নেয়। এ কারণে বড় লিওনিড উল্কাবৃষ্টি বা উল্কাঝড় প্রায় ৩৩ বছর অন্তর ঘটে। ঝড় হওয়ার জন্য পৃথিবীকে পেরিহিলিয়নের সময় ধূমকেতুর ধ্বংসাবশেষের ঘন অংশের মধ্য দিয়ে যেতে হয়।

সূত্র: সিএনএন

সম্পর্কিত নিবন্ধ