ফেনীতে সিগন্যাল অমান্য করে রেললাইনে অটোরিকশা, ট্রেনের ধাক্কায় যাত্রী নিহত
Published: 28th, June 2025 GMT
ফেনী শহরে সিগন্যাল অমান্য করে রেলগেট অতিক্রম করার সময় ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও এক নারী।
আজ শনিবার রাত আটটার দিকে ঢাকা–চট্টগ্রাম পুরোনো মহাসড়কের পাশে গোডাউন কোয়ার্টার রেলগেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম হাফেজুল ইসলাম (৪০)। তিনি ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠাননগর ইউনিয়নের মিয়াজি বাড়ির বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ফেনী রেলস্টেশনের কাছাকাছি পৌঁছালে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা সিগন্যাল অমান্য করে রেললাইনে উঠে পড়ে। ট্রেনটি এসে অটোরিকশাটিকে সজোরে ধাক্কা দিলে সেটি দুমড়েমুচড়ে যায়।
অটোরিকশায় থাকা দুই যাত্রী গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক হাফেজুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত নারী ফাতেমাতুজ জোহরাকে (৬২) উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী দিদারুল ইসলাম বলেন, ‘অটোরিকশাটি হাসপাতালের দিক থেকে ট্রাংক রোডের দিকে যাচ্ছিল। সিগন্যাল অমান্য করে রেললাইনে উঠলে ট্রেন এসে ধাক্কা দেয়।’ তিনি আরও জানান, অটোরিকশায় চালকসহ পাঁচজন ছিলেন। দুর্ঘটনার মুহূর্তে তিনজন নেমে পড়ায় রক্ষা পান।
ফেনী জেনারেল হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোহাম্মদ ইমরান বলেন, আহত ফাতেমাতুজ জোহরা ছাগলনাইয়ার পাঠাননগর গ্রামের বাসিন্দা।
ফেনী রেলস্টেশনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রেলওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন বলেন, ‘নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় লাকসাম জিআরপি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঝিনাইদহে ছেলের সঙ্গে বিরোধের জেরে বাঁশিওয়ালার ওপর হামলা
ঝিনাইদহে ছেলের সঙ্গে বিরোধের জেরে বাঁশিওয়ালা আমির হামজার (৫৫) ওপর হামলা হয়েছে। হাতুড়িপেটায় তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁর স্ত্রীকে মারধর করা হয়েছে। তাঁদের দুজন এখন ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
আমির হামজার বাড়ি সদর উপজেলার ভগবাননগর গ্রামে। প্রায় ৪০ বছর ধরে ফেরি করে বাঁশি বিক্রি করেন। বাঁশি বাজিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করেন তিনি। স্থানীয়ভাবে তিনি বাঁশিওয়ালা হিসেবে পরিচিত। গত সোমবার সকালে ভগবাননগর গ্রামে আমির হামজা ও তাঁর স্ত্রী তারা বানুর ওপর হামলা হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আমির হামজা বলেন, তাঁর বড় ছেলে নয়ন হোসেন স্থানীয় রাজা মিয়ার ট্রাকের চালক হিসেবে কাজ করেন। কয়েক দিন আগে ডাকাতির কবলে পড়ে ট্রাকটি। ডাকাতেরা রাজা ও তাঁর সহকারীর মুঠোফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। তবে ট্রাকমালিক রাজা মিয়া তা মানতে চাননি। তিনি পথখরচ বাবদ দেওয়া টাকা ফেরত চান। এ নিয়ে গত রোববার রাতে রাজা মিয়া ও তাঁর ছেলে রাশেদ লোকজন নিয়ে আমির হামজার বাড়িতে চড়াও হন। এ সময় তিনি ২ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে মাফ চান।
আমির হামজা জানান, গত সোমবার সকালে তিনি বাড়ির পাশে লতিফ মোল্লার চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। এ সময় রাজা মিয়ার ছেলে রাশেদ পেছন থেকে হাতুড়ি দিয়ে তাঁর পিঠে আঘাত করেন। তিনি মাটিতে পড়ে যান এবং রাশেদ তাঁর পায়ে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। খবর পেয়ে তাঁর স্ত্রী ছুটে এলে তাঁকেও মাথায় আঘাত করা হয়। পরে গ্রামের লোকজন তাঁদের দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, আমির হামজা অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। তাঁর বাঁ হাঁটুর হাড় ভেঙে গেছে। তাঁর স্ত্রী তারা বানু মাথায় আঘাত নিয়ে নারী সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমির হামজার ওপর হামলার বিষয়ে আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’