গোপালগঞ্জে ভ্যান চুরিকে কেন্দ্র করে ২ পক্ষের সংঘর্ষ
Published: 29th, June 2025 GMT
গোপালগঞ্জে ভ্যান চুরিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনা আহত ৫৬ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার (২৯ জুন) সকাল ১১টার দিকে সদর উপজেলার ভেন্নাবাড়ী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান সংঘর্ষের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আহতদের মধ্যে বাচ্চু (৫৫), জয় মোল্লা (১৯), রকি মোল্লা (২১), রাকিব শেখ (১৭), তাহের শেখ (৭৫), হেলাল শেখ (৪২), মিশু শেখ (২৪), মো.
আরো পড়ুন:
গাজীপুরে ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষ
জমি নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষ, কৃষক নিহত
ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান জানান, কয়েকদিন আগে ভেন্নাবাড়ী গ্রামের লিটন মেম্বারের সমর্থক সাজিদ একই গ্রামের রেফায়েত ডাক্তারের সমর্থক ইব্রাহিম শেখের ভ্যান চুরি করে নিয়ে যান। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে সালিশ ডাকা হয়।
আজ রবিবার সকালে লিটন মেম্বারের বাড়িতে সালিশ বসে। সালিশ চলাকালে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে নারীসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত ৫৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখনো কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/বাদল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত গ প লগঞ জ স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
সাদাপাথর লুটে মদদদাতাদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন
সিলেটে সাদাপাথর লুটের পেছনে দায়ী ও মদদদাতা রাজনৈতিক দল, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সদস্যদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর শহরের আলফাত স্কয়ারে এ কর্মসূচির আয়োজন করে ‘হাওর ও নদী রক্ষা আন্দোলন’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এতে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার লোকজন অংশ নেন।
বক্তারা জানান, নিরীহ শ্রমিকদের হয়রানি না করে প্রকৃত লুটেরাদের ধরতে হবে। এই সম্পদ রক্ষায় যাঁদের অবহেলা আছে, তাঁদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
দেশের অন্যতম দর্শনীয় একটি স্থান থেকে প্রকাশ্যে পাথর লুটের ঘটনায় মানুষ বিস্মিত জানিয়ে বক্তারা বলেন, লুটেরাদের সঙ্গে প্রশাসনের যোগসাজশ ছিল। রাজনৈতিকভাবে এখন যাঁদের বিরুদ্ধে লোকদেখানো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তাঁরা প্রকৃতপক্ষে চুনোপুঁটি। রাঘববোয়ালদের আইনের আওতায় আনতে হবে। সেখানে রাজনৈতিক সমঝোতা আছে, দায়িত্বশীলদের যোগসাজশ আছে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর সেটি লোকজন দেখতে পেয়েছেন।
এ ছাড়া টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ টাঙ্গুয়ার হাওর এখন অভিভাবকহীন। সেখানেও প্রকাশ্যে মাছ আহরণ ও গাছ কাটা হয়। সেখানেও পরিবেশ, প্রকৃতি ও মানুষের জীবন–জীবিকা সংকটের মুখে। এই হাওর রক্ষায় মুখে মুখে বড় কথা না বলে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ওবায়দুল হকের সভাপতিত্বে মানববন্ধন অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ রাজু আহমেদ। এতে বক্তব্য দেন সামাজিক সংগঠন ‘জনউদ্যোগ’–এর আহ্বায়ক রমেন্দ্র কুমার দে, সুনামগঞ্জ পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি এ কে এম আবু নাছার, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদার, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হাসান আতাহের, জেলা উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, আয়োজক সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক আইনজীবী দীপঙ্কর বনিক, মুজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।