আ.লীগের কাছে প্রচুর অবৈধ টাকা, তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়: রিজভী
Published: 29th, June 2025 GMT
আওয়ামী লীগের কাছে প্রচুর পরিমাণ অবৈধ টাকা, সেই টাকা ব্যয় করে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে স্থিতিশীল রাখতে দিতে চায় না পতিত স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের এক নেতা কুমিল্লায় ধর্ষণ করে বিএনপির ওপর দায় চাপিয়ে দিচ্ছেন। হঠাৎ করে এমন ঘটনা ঘটছে না, ওরা একটা নেটওয়ার্ক তৈরির চেষ্টা করছে। কারণ, ওদের কাছে আছে প্রচুর পরিমাণ অবৈধ টাকা, সেই টাকা ব্যয় করে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। সরকারের উচিত ছিল এদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা। সরকারের ধীর পদক্ষেপের কারণেই এমন ঘটনা ঘটছে।’ এ সময় মুরাদনগরের ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান রিজভী।
তিনি বলেন, ‘ভোট, নির্বাচন এবং ক্ষমতায় আসার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না জুলাই গণঅভ্যুত্থান। আমাদের হয়তো কিছু কিছু বিষয়ে মনোমালিন্য থাকতে পারে। কিন্তু দেশের স্বার্থে সমস্ত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে থাকতে হবে, এক কাতারে থাকতে হবে। ক্ষমতায় এসে শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে।’
রিজভী জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ১ জুলাই থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত বিএনপির কর্মসূচি থাকবে। অংশ নেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার মধ্যরাতে শহীদ মিনারে ছাত্রদল ফুল দেবে।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ড.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ অব ধ ট ক ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই অভ্যুত্থান: জামায়াতের ৩৯ দিনের কর্মসূচি
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে ৩৯ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে মগবাজারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘‘জুলাই অভ্যুত্থানের রক্তাক্ত ঐতিহাসিক স্মৃতিকে ধারণ করে আমরা মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করছি। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের একটি সর্বজনীন আন্দোলনের মাধ্যমে এই রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটেছে। ফ্যাসিবাদী শাসনের কালো যুগ পেরিয়ে আমরা জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যাচ্ছি।’’
৩৯ দিনের কর্মসূচি হলো:
১ জুলাই: জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদ, আহত ও পঙ্গুতবরণকারীদের জন্য দেশব্যাপী শাখায় শাখায় দোয়া অনুষ্ঠান।
আরো পড়ুন:
৫ আগস্টকে নতুন বাংলাদেশ দিবস ঘোষণা করা উচিত: জামায়াতের আমির
ইসলামী দলগুলোর ভোটের বাক্স হবে একটি: রফিকুল ইসলাম
২-৪ জুলাই: দরিদ্র, অসহায়, দুস্থ ও ইয়াতিমদের মধ্যে খাবার বিতরণ।
৮-১৫ জুলাই: শহীদ ও আহত পরিবারের সঙ্গে জামায়াত নেতাদের সাক্ষাৎ, মতবিনিময় ও দোয়া অনুষ্ঠান।
১৬ জুলাই: রংপুরে শহীদ আবু সাঈদ স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান।
১৯ জুলাই: জামায়াত ঘোষিত ৭ দফা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ। একই দিন শহীদ পরিবারের জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে জামায়াত আমিরের অংশগ্রহণ।
২০-২৪ জুলাই: জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মূল উদ্দেশ্য ও গণপ্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম।
২৫-২৮ জুলাই: জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ওপর ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
২৯-৩০ জুলাই: নারী ও ছাত্রীদের উদ্যোগে আলোচনা সভা।
১ আগস্ট: জাতীয় সেমিনার (শহীদ স্মারকের ইংরেজি ও আরবি অনুবাদের মোড়ক উন্মোচন)।
১-৩ আগস্ট: ছাত্রদের উদ্যোগে আলোকচিত্র প্রদর্শনী কর্মসূচি।
৫ আগস্ট: দেশব্যাপী গণমিছিল পালন এবং রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে জাতীয় ও স্থানীয়ভাবে অংশগ্রহণ।
৬-৮ আগস্ট: সাংবাদিক, শিক্ষক, চিকিৎসক, আইনজীবী, প্রকৌশলী ও আলেম-ওলামাদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/বকুল