Samakal:
2025-08-15@06:32:24 GMT

বৃষ্টির দিনে কেমন মেকাপ করবেন

Published: 30th, June 2025 GMT

বৃষ্টির দিনে কেমন মেকাপ করবেন

আকাশে মেঘ, একটু পরেই রোদ। কখনো কখনো সারাদিন এভাবেই চলে মেঘ-রোত্রের খেলা। বর্ষাকালের আবহাওয়াটাই এমন । তার সঙ্গে থাকে আর্দ্রতা। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় শরীর থেকে ঘাম ঝরে । এই সময়ে মেকআপ গলে পানি হওয়ার সমস্যায় ভোগেন অনেকে। তবে রূপ বিশেষজ্ঞদের মতে, বৃষ্টির দিনে মেকাপ করলে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। তাহলে সমস্যা অনেকটা এড়ানো যাবে। 

১.

দিনের বেলায় বেশি ভারী মেকআপ করবেন না।
২. মুখ যাতে তৈলাক্ত না হয় তেমন মেকআপ সামগ্রী ব্যবহার করুন। তাহলে ঘামের সমস্যা কমবে।
৩. অবশ্যই সানস্ক্রিন বেসড ক্রিম ব্যবহার করবেন।
৪. প্রাইমার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। বিশেষ করে ওয়াটারপ্রুফ এবং ঘামরোধী প্রাইমার ব্যবহার করুন। তাহলে মেকআপ বেশিক্ষণ থাকবে।
৫. মুখের টি-জোন (কপাল থেকে নাক বরাবর অংশ), থুতনি এবং গলায় অবশ্যই মেকআপের পর ফেস পাউডার ব্যবহার করুন। ফোলা ধরনের ব্রাশ দিয়ে পাউডার ব্যবহার করতে পারেন।

বৃষ্টিতে ভিজে কাজল, আইলাইনার, মাসকারা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই এই সময়ে ওয়াটারপ্রুফ প্রসাধনী দিয়ে চোখের মেকআপ করার চেষ্টা করুন। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ব যবহ র কর ম কআপ

এছাড়াও পড়ুন:

‘বাইরের’ অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখলেন স্থানীয় চালকেরা, ধস্তাধস্তির মধ্যেই নবজাতকের মৃত্যু

শরীয়তপুরে একটি রোগী বহন করা অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা যাওয়ার পথে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন চালকের বিরুদ্ধে। এ কারণে চিকিৎসা না পেয়ে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা এক নবজাতক মারা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে একটি ক্লিনিকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া নবজাতক ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর এলাকার নূর হোসেন সরদার ও রুমা বেগম দম্পতির সন্তান। গতকাল দুপুরে শহরের একটি ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশুটির জন্ম হয়। জন্মের পরই শ্বাসকষ্টসহ শারীরিক জটিলতা দেখা দিলে চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন।

শিশুর স্বজনেরা জানান, গতকাল রাত আটটার দিকে তাঁরা ঢাকাগামী একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে রওনা হন। কিন্তু পথিমধ্যে চৌরঙ্গী মোড়ে স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্সচালক সবুজ দেওয়ান তাঁদের অ্যাম্বুলেন্স আটকে দেন। স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার না করার কারণ দেখিয়ে তিনি চালককে মারধর করেন ও চাবি নিয়ে নেন। আরও কয়েকজন স্থানীয় চালক এ ঘটনায় অংশ নেন। দীর্ঘক্ষণ তর্কাতর্কি ও ধস্তাধস্তির মধ্যে চিকিৎসা না পেয়ে নবজাতক মারা যায়।

শিশুটির নানি সেফালী বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। অল্প খরচে ঢাকায় যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করি। কিন্তু স্থানীয় আরেক চালক বাধা দেয়। তারা দাবি করে, বেশি টাকা ভাড়া দিয়ে তাদের অ্যাম্বুলেন্সে যেতে হবে। আমার নাতি চিকিৎসা পায়নি, মারা গেছে। সন্তান জন্মের পর আমার মেয়ে অচেতন হয়ে আছে। তার জ্ঞান ফিরলে কীভাবে খবরটি দেব?’

ঢাকাগামী অ্যাম্বুলেন্সের চালক মোশারফ মিয়া বলেন, ‘আমি ঢাকা থেকে রোগী নিয়ে শরীয়তপুরে এসেছিলাম। ফেরার পথে হাসপাতালের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। শিশুর স্বজনেরা আমার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেন। রওনা হওয়ার পর সবুজ বাধা দেয়, আমাকে মারধর করে চাবি নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স আটকে দেয়।’

ঘটনার পর সবুজ দেওয়ান ও তাঁর সহযোগীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। তাঁর মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি। শরীয়তপুর অ্যাম্বুলেন্স মালিক ও চালক সমিতির সভাপতি আবদুল হাই বলেন, ‘চৌরঙ্গীতে অ্যাম্বুলেন্স আটকে দেওয়ার কথা শুনে তাদের বলেছিলাম রোগীসহ ছেড়ে দিতে। কিন্তু তারা শোনেনি। এই কাজটি সঠিক হয়নি।’

শিশু বিশেষজ্ঞ খাজা হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বিকেলে যখন নবজাতককে দেখেছিলাম, তখনই বেশ কিছু সমস্যা ধরা পড়ে। ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অপরাধ।’

জানতে চাইলে সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জেনেছি। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ