কুমিল্লায় ধর্ষণকাণ্ড: নির্যাতনের আরও একটি ভিডিও ভাইরাল
Published: 30th, June 2025 GMT
কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে তার বাবার বাড়িতে নিপীড়নের আরও একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সোমবার সকালে ‘তোর বাপেরা আইছে’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে ৩ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে।
নতুন ভিডিওতে দেখা যায়, ‘একই বিছানায় পাশাপাশি বসিয়ে নিপীড়নের শিকার নারী ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ফজর আলীকে বিবস্ত্র অবস্থায় নির্যাতন করা হচ্ছে। ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মুহাম্মদ আলী সুমনের নেতৃত্বে রমজান, অনিক, আরিফসহ ১৫-২০ জন ফজর আলীকে ব্যাপকভাবে মারধর করছেন। এ সময় নিপীড়নের শিকার নারী ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ফজর আহাজারি করতে থাকেন। নির্যাতনের একপর্যায়ে ফজর আলীকে বলতে শোনা যায়, আমাকে বাঁচিয়ে দে, মরে যাব। তখন নির্যাতনকারীদের বলতে শোনা যায়, তুই মরে যা, দেশ শান্তি হইব। নির্যাতনের পর ফজরের হাত এবং মাথা থেকে রক্ত ঝরছে।’
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, ‘ছাত্রলীগ নেতা সুমন নিজে ফজরকে মারধর করছেন। অপরদিকে তার সহযোগী অনিক নিপীড়নের শিকার নারীর কাপড় খুলছেন। তখন নারী চিৎকার করলে তার মুখ চেপে ধরা হয়।’
ভুক্তভোগী ওই নারী সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বলে জানা গেছে।
গত শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই নারীকে নিপীড়নের প্রথম ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় গত শুক্রবার ফজর আলী নামে এক ব্যক্তিকে আসামি করে ধর্ষণের মামলা করেন ওই নারী। ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ফজরসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফজর ছাড়া অন্য চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ– তারা ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়েছেন। এ অভিযোগে রোববার কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। ওই মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। ভাইরালকাণ্ডে জড়িত গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন– একই এলাকার আবদুল হান্নানের ছেলে সুমন, জাফর আলীর ছেলে রমজান, মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ফজর
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় বিষাক্ত মদ পানে দুজনের মৃত্যু
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানা এলাকায় বিষাক্ত মদ পানে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার বাখরাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এই দুজন হলেন বাখরাবাদ গ্রামের তপন চন্দ্র সরকার (৫০) ও পলাশ চক্রবর্তী (৩৮)।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা যায়, বুধবার ভোরে তপন ও পলাশ স্পিরিট–জাতীয় বিষাক্ত মদ পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে পরিবারের লোকজন তাঁদের মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক পলাশকে মৃত ঘোষণা করেন। তপনের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাঁকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে বিকেলে বাঙ্গরা বাজার থানা-পুলিশ রামচন্দ্রপুর মহাশ্মশান থেকে পলাশের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তবে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই তপনের মরদেহ সৎকার করা হয়।
বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বুধবার রাতে বলেন, প্রাথমিকভাবে তারা জেনেছেন মদজাতীয় কিছু পান করে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। পলাশের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, তবে তপনের মরদেহ সৎকার হয়ে যাওয়ায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার পলাশের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।