Samakal:
2025-08-15@13:01:48 GMT

বাদল দিনের বন্দনা

Published: 30th, June 2025 GMT

বাদল দিনের বন্দনা

‘এমন দিনে তারে বলা যায়/এমন ঘনঘোর বরিষায়।/এমন দিনে মন খোলা যায়–/এমন মেঘস্বরে বাদল-ঝরোঝরে/তপনহীন ঘন তমসায়।।’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান, কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। সাংগঠনিক আলোচনার ফাঁকে চলে বর্ষাবন্দনা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৬ জুন মার্কেটিং বিভাগের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.

তাজাম্মুল হক। সুহৃদদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘সমকাল সুহৃদ সমাবেশ জবি নতুন কমিটির সবাইকে অভিনন্দন। সুহৃদরা ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক সৃজনশীলতা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ভালো কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করবেন এবং তাদের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কাজ আরও বেশি বেগবান করবেন– এটিই আমরা প্রত্যাশা করি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সমকাল বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি যে সামাজিক ও মানবিক কাজ করে যাচ্ছে এটি জরুরি। আমরা সব সময় ভালো কাজ ও উদ্যোগের সঙ্গে আছি।’
অনুষ্ঠানে বর্ষার গান, আবৃত্তি ও বাঁশির সুরে মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ছিল সুহৃদদের। জবি সুহৃদ সভাপতি রাকিবের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাফা খাতুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে যুক্ত হন সুহৃদ বিভাগীয় সম্পাদক আসাদুজ্জামান, জবি সমকাল প্রতিনিধি ও সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরান হুসাইন, কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য শাহীন আলম শাওনসহ অর্ধশত সুহৃদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আত্মোন্নয়ন এবং সৃজনশীলতার জন্য সামাজিক সংগঠনে সক্রিয় যুক্ততা জরুরি। সাংগঠনিক চর্চার মাধ্যমে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবিক কাজ আমাদের নিজেকে আবিষ্কার করতে সহায়তা করে। মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে উদ্বুদ্ধ করে।’ 
সুহৃদ সভাপতি রাকিব বলেন, ‘আমরা সমকাল সুহৃদ জবি পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ ও ভালোবাসার সম্পর্কের মধ্য দিয়ে ব্যক্তিগত মানোন্নয়ন করতে চাই।’ v
সুহৃদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ সমক ল

এছাড়াও পড়ুন:

এআই নিয়ে টার্মিনেটর সিনেমার পরিচালক জেমস ক্যামেরনের সতর্কবার্তা

১৯৮৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দ্য টার্মিনেটর’ সিনেমা দেখেছেন অনেকেই। জেমস ক্যামেরনের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় সেই সিনেমায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির স্কাইনেট নামের একটি কাল্পনিক এআইয়ের সন্ধান পাওয়া যায়, যেটি পুরো মানবজাতির অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিল। কাল্পনিক সেই এআইয়ের স্রষ্টা জেমস ক্যামেরন এবার বাস্তবের আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র, বিশেষ করে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের ঝুঁকি নিয়ে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তার আশঙ্কা, এআই প্রযুক্তি লাগামহীনভাবে সামরিক প্রযুক্তিতে যুক্ত হলে মানবসভ্যতা টার্মিনেটরের মতো সর্বনাশের মুখে পড়তে পারে।

রোলিং স্টোন সাময়িকীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্যামেরন জানান, সামরিক ক্ষেত্রে এআইয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের গতি মানুষের সক্ষমতাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের নিয়ন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও বিপর্যয় ঠেকানো সম্ভব নাও হতে পারে। মানবজাতি এখন একসঙ্গে তিনটি বড় সংকটের মুখে। এগুলো হলো জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ ধ্বংস, পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার এবং অতিবুদ্ধিমান এআই। এই তিনটি সংকট একই সময়ে তীব্র আকার ধারণ করছে, যা মানব ইতিহাসে আগে কখনো ঘটেনি।

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরিপে দেখা গেছে, এআই পারমাণবিক বিপর্যয়ের সমতুল্য দুর্যোগ ঘটাতে পারে বলে মনে করেন ৩৬ শতাংশ এআই গবেষক। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সম্মেলনে বিশেষজ্ঞেরা সতর্ক করে বলেছেন, খুব শিগগির এআই ও পারমাণবিক অস্ত্রের সমন্বয় প্রায় অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে।

যুদ্ধাস্ত্রে এআই ব্যবহারের বিরোধিতা করলেও চলচ্চিত্র নির্মাণে এর সীমিত ও পরিকল্পিত ব্যবহারকে সমর্থন করেন ক্যামেরন। তার মতে, ভিজ্যুয়াল ইফেক্টের ক্ষেত্রে এআই ব্যয় প্রায় অর্ধেক কমিয়ে দিতে পারে। এআই সৃজনশীল প্রক্রিয়ার গতি বাড়ালেও চিত্রনাট্যকার বা অভিনেতার জায়গা নিতে পারবে না।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ