ভারতীয় উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। এই শিল্পীর সারাদিন কীভাবে কাটে জানেন?

রুনা লায়লা একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘সংসার, কাজ দেখা তারপর নিজের কিছু কাজ থাকলে সেগুলো করা-এভাবেই দিন কাটে। সকালে বারান্দায় বসি। তারপর কাজের লোকেরা এসে বলে এটা লাগবে, ওটা লাগবে- সেগুলো সব সর্ট আউট করে সমাধান করি। সকালে শাওয়ার করার আগে এক ঘণ্টা হাঁটি। প্রায় দুই আড়াই কিলোমিটার হাঁটি। কাজ থাকলে বাইরে যাই, নাহলে রেস্ট করি। গান শুনি, বই পড়ি, ছবি দেখি।’’

রুনা লায়লাকে পর্দায় সব সময় ঝলমলে দেখায়। অথচ তিনি নাকি আধুনিক কসমেটিক্স এড়িয়ে চলেন। ত্বকের যত্নে এখনও সাবানেই নির্ভরতা তার।

আরো পড়ুন:

আমি আফরান নিশোর ফ্যান: স্বস্তিকা

তাহসান কেন বিয়ে করলো, দরকার তো ছিল না: মন্দিরা

রুনা লায়লা বলেন, ‘‘কোনো ফেসওয়াশ ব্যবহার করি না আমি। লোশনও ব্যবহার করি না। অনেকে বলে যে সাবান ব্যবহার করলে স্কিন নষ্ট হয়ে যায়, আমি সারাজীবন সাবান ইউজ করে আসছি। বাইরে যখন কোনো অনুষ্ঠানে যাই তখন মেকআপ করি, বাড়িতে ফিরে গিয়ে ভালোভাবে মেকআপ পরিষ্কার করি।’’

রুনা লায়লার পছন্দ হালকা খাবার। দুপুরের খাবারে বিশেষ গুরুত্ব দেন তিনি। রুনা লায়লা বলেন, ‘‘আমি খুব লাইট খাবার পছন্দ করি। হেলদি খাবার রাখার চেষ্টা করি। লাঞ্চটা নরমাল করি। দুপুরে লাল আটার রুটি খাই, সবজি আর চিকেন খাই। রাতে খুবই কম খাই।’’ 

উল্লেখ্য, ভারতের জনপ্রিয় ডিজাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায় রুনা লায়লার  চান্দবালির অনুপ্রেরণায় গয়না বানিয়েছেন। স্বয়ং ঋতুপর্ণ ঘোষ রুনা লায়লাকে বলেছিলেন ‘স্টাইল আইকন’। রুনা লায়লা মনে করেন ‘‘প্রত্যেকে যদি নিজস্ব স্টাইল করে, সেটাই ভালো।’’ 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পাকুন্দিয়ায় নৌকা ডুবি, নিহত ১ নিখোঁজ ২

মাদরাসায় যাওয়ার পথে ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকা ডুবে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার তিন মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নিখোঁজের পর একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীদল। অপর দুজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ময়মনসিংহের পাগলা থানার দত্তের বাজার এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নবম শ্রেণির ছাত্রী শাপলা (১৫) কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চর আলগী গ্রামের মাইনুদ্দিনের মেয়ে। নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থী একই গ্রামের হাবিব মিয়ার ছেলে আবির (৭) ও মুমতাজ উদ্দিনের ছেলে জুবায়েদ (৬)। তারা সবাই ময়মনসিংহের পাগলা থানা এলাকার বিরুই নদীর পাড় দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থী।

পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বিল্লাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আজ সকালে ৯ জন শিক্ষার্থী একটি ছোট নৌকায় করে পাকুন্দিয়ার চর আলগী থেকে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে মাদরাসায় যাচ্ছিল। পাগলা থানার দত্তের বাজার সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ করে নৌকাটি ডুবে যায়। এর মধ্যে ৬ জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও তিনজন নিখোঁজ হয়। 

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীদল বেলা এগারোটার দিকে শাপলা নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে। বাকি নিখোঁজদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।

ঢাকা/রুমন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ