জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মেলে যে যে অনলাইন সেবা
Published: 1st, July 2025 GMT
প্রবেশপত্র, সনদ, নম্বরপত্র, ট্রান্সক্রিপ্ট উত্তোলনের জন৵ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অধিভুক্ত কলেজ ও ইনস্টিটিউটের সব শিক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ড, সনদ, নম্বরপত্র ও ট্রান্সক্রিপ্ট উত্তোলনের আবেদন অনলাইনে (http://103.113.200.68/nu-app) গ্রহণ করা হয় অথবা ওয়েবসাইটে গিয়ে সার্ভিসেস (Services) মেনু থেকে Student Login লিংক ব্যবহার করেও আবেদন গ্রহণ করা হয়।
এ ছাড়া সনদ যাচাই, সত্যয়ন, WES/ICAS/IQAS/CES/CUNY/SPANTRAN/NASBA/IEE Request Form পূরণ, বিভিন্ন এজেন্সি অথবা বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের Request Form পূরণ করে Online/E–mail/Electronically/সিল খামের আবেদনের জন্য ওয়েবসাইটের Service মেনুর Verfication Service/Certificate/Marksheet/WES etc এ ক্লিক করে অথবা http://103.
১.
আবেদন ফরমের কপি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট উত্তোলনের জন্য আবেদনের ম্যানুয়াল https://103.113.200.68/nu-app/studentlogin/manual লিংকে পাওয়া যাবে। ডাউনলোড করে ভালোভাবে বুঝে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
২.
মূল সনদের জন্য ২০০১ সালের আগে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড, প্রবেশপত্র ও সাময়িক সনদের কালার স্ক্যান করা ফাইল (PDF) আবেদনের সঙ্গে যুক্ত (আপলোড) করতে হবে। তবে ২০০১ সাল বা এর পরে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মূল সনদের জন্য শুধু সাময়িক সনদের কালার স্ক্যান করা ফাইল (PDF) যুক্ত (আপলোড) করলেই চলবে। আবেদনকারীকে তাঁর ছবি স্ক্যান করে যুক্ত করতে হবে।
৩.
আবেদনকারীর নিজের মুঠোফোন নম্বর ও ই-মেইল অ্যাড্রেস ব্যবহার করতে হবে।
৪.
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একাধিক ডিগ্রি সম্পন্ন করে থাকলে পৃথক পৃথক প্রোফাইল খুলে পৃথক পৃথক ইউজার ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আবেদন করতে হবে।
৫.
আবেদন ফির পে–স্লিপ ডাউনলোড করে কাছের সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখায় ফির টাকা জমা দেওয়া যাবে। এ ছাড়া সোনালী ব্যাংকের পেমেন্ট গেটওয়ের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং অথবা সোনালী ব্যাংকের অনলাইন পেমেন্ট অপশন ব্যবহার করে ফি জমা দেওয়া যাবে। তবে যেভাবেই পেমেন্ট করুন না কেন, আবেদনের সময় সফটওয়্যারে উল্লিখিত ট্রানজেকশন আইডি অথবা পে-স্লিপ সংরক্ষণ করতে হবে। ডকুমেন্ট সংগ্রহের সময় আগে প্রদান করা অরিজিনাল ডকুমেন্টসহ ট্রানজেকশন আইডি ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে।
আরও পড়ুনইউনেসকোতে ১৪ ক্যাটাগরিতে ইন্টার্নশিপ, বয়স ২০ হলেই আবেদন ১৮ মার্চ ২০২৫৬.
আবেদন করার ১৫ দিনের মধ্যে ফি জমা দিতে হবে, তা নাহলে আবেদনটি বাতিল হয়ে যাবে।
৭.
ফি জমা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবেদনটি সক্রিয় হয়ে যাবে। ডকুমেন্ট প্রস্তুত হলে এসএমএস অথবা ই-মেইল অথবা উভয়ের মাধ্যমে জানানো হবে। আবেদনকারী চাইলে সফটওয়্যারে লগইনের মাধ্যমেও আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারবেন। আবেদনের হার্ডকপি জমা দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কোনো প্রয়োজন নেই।
৮.
মূল সনদ সংগ্রহের সময় সাময়িক সনদের মূল কপি ও ফি জমা দেওয়ার রসিদ (মূল কপি) অবশ্যই জমা দিতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র অবশ্যই প্রদর্শন করতে হবে। সাময়িক সনদের মূল কপি ফেরত না দিলে মূল সনদ দেওয়া হবে না।
৯.
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ান–স্টপ সার্ভিস সেন্টার থেকে প্রার্থীর ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে হবে। নিজের ডকুমেন্ট নিজে সংগ্রহ করতে হবে, একান্ত অপারগ হলে সম্মতিপত্রসহ (Authorization Letter) প্রতিনিধির মাধ্যমেও সংগ্রহ করা যাবে।
১০.
সব ডকুমেন্ট গ্রহণ করার সময় ম্যানুয়ালে উল্লিখিত বা আগে উল্লিখিত ডকুমেন্টের পাশাপাশি অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে।
*বিস্তারিত তথ৵ জানতে ওয়েবসাইট:
আরও পড়ুনলিথুয়ানিয়ায় উচ্চশিক্ষা: ৩৫০টির বেশি প্রোগ্রামে পড়াশোনা, স্কলারশিপের সুবিধা, সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ১৪ নভেম্বর ২০২৪উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর ম ল সনদ র জন য স গ রহ র সময়
এছাড়াও পড়ুন:
মধ্যবিত্তের ভরসা সঞ্চয়পত্র: কোনটিতে কত মুনাফা
বিনিয়োগের জন্য মধ্যবিত্তের অন্যতম পছন্দ সঞ্চয়পত্র। এ বিনিয়োগ নিরাপদ ও মুনাফার হারও বেশি। ব্যাংকে টাকার রাখার চেয়ে সঞ্চয়পত্রে বেশি মুনাফা পাওয়া যায়। এমন চিন্তা থেকে অনেকেই সঞ্চয়পত্র কেনেন। অনেকে সংসার খরচের একটা অংশ সঞ্চয়পত্রের মুনাফা থেকে জোগান দেন। ফলে সঞ্চয়পত্র এখন সামাজিক সুরক্ষার অংশও হয়ে গেছে।
বর্তমানে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের চার ধরনের সঞ্চয় আছে। এগুলো হলো পরিবার সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র ও তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র। এসব সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হারও কাছাকাছি। তবে সঞ্চয়পত্রভেদে ভিন্ন কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। আছে শর্ত। তাই মুনাফার হারের পাশাপাশি অন্যান্য বৈশিষ্ট্য বিবেচনা করে সঞ্চয়পত্র কিনতে হবে। ভাবতে হবে, কোনটি আপনার জন্য বেশি লাভজনক।
মুনাফা কত
এবার দেখা যাক, কোন সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কত। এখানে বলা প্রয়োজন, গত জুলাই মাস থেকে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমিয়েছে সরকার।
দেশে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের যত ধরনের সঞ্চয়পত্র রয়েছে, এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় পরিবার সঞ্চয়পত্র। এ সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে পাঁচ বছরের মেয়াদপূর্তিতে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ। আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ করা হয়েছে।
পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে পঞ্চম বছর শেষে, অর্থাৎ মেয়াদপূর্তিতে মুনাফা ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ। সঞ্চয়পত্রগুলোর মধ্যে এই সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার সবচেয়ে বেশি।
পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে ১১ দশমিক ৮৩ শতাংশ। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ।
এ ছাড়া তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মেয়াদপূর্তিতে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এ মুনাফার হার ১১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
মেয়াদপূর্তির আগে সঞ্চয়পত্র ভাঙলে মুনাফা কমে যায়। তাই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মেয়াদপূর্তির আগে সঞ্চয়পত্র না ভাঙাই ভালো।
কে কত বিনিয়োগ করতে পারবেন
সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকার পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে। শুধু প্রাপ্তবয়স্ক নারীরাই কিনতে পারবেন। তবে যেকোনো বাংলাদেশি শারীরিক প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষ এবং ৬৫ ও তদূর্ধ্ব বয়সের যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিকের পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনার সুযোগ আছে।
একক নামে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত পেনশনার সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে। কিনতে পারবেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য ও মৃত চাকরিজীবীর পারিবারিক পেনশন সুবিধাভোগী স্বামী বা স্ত্রী বা সন্তান।
তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র কেনায় সীমা হলো ব্যক্তির ক্ষেত্রে একক নামে ৩০ লাখ টাকা অথবা যুগ্ম নামে ৬০ লাখ টাকা। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ভবিষ্য তহবিলে মোট স্থিতির ৫০ শতাংশ। তবে সর্বোচ্চ ৫০ কোটি টাকার কেনা যাবে।
পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কেনায় সীমা হলো ব্যক্তির ক্ষেত্রে একক নামে ৩০ লাখ টাকা অথবা যুগ্ম নামে ৬০ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে তা হলো ভবিষ্য তহবিলে মোট স্থিতির ৫০ শতাংশ। তবে তা হবে সর্বোচ্চ ৫০ কোটি টাকা। অন্যদিকে এই সীমা ফার্মের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুই কোটি টাকা এবং অটিস্টিক সহায়ক প্রতিষ্ঠান, দুস্থ ও অনাথ শিশুদের নিবন্ধিত আশ্রয় প্রতিষ্ঠান (অনাথ আশ্রম, শিশু পরিবার, এতিমখানা ইত্যাদি) এবং প্রবীণদের জন্য নিবন্ধিত আশ্রয়কেন্দ্রের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকা।
কোথায় পাওয়া যায়
জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা, বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা ও ডাকঘর থেকে এই সঞ্চয়পত্র কেনা ও ভাঙানো যায়।