প্রবেশপত্র, সনদ, নম্বরপত্র, ট্রান্সক্রিপ্ট উত্তোলনের জন৵ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অধিভুক্ত কলেজ ও ইনস্টিটিউটের সব শিক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ড, সনদ, নম্বরপত্র ও ট্রান্সক্রিপ্ট উত্তোলনের আবেদন অনলাইনে (http://103.113.200.68/nu-app) গ্রহণ করা হয় অথবা ওয়েবসাইটে গিয়ে সার্ভিসেস (Services) মেনু থেকে Student Login লিংক ব্যবহার করেও আবেদন গ্রহণ করা হয়।

এ ছাড়া সনদ যাচাই, সত্যয়ন, WES/ICAS/IQAS/CES/CUNY/SPANTRAN/NASBA/IEE Request Form পূরণ, বিভিন্ন এজেন্সি অথবা বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের Request Form পূরণ করে Online/E–mail/Electronically/সিল খামের আবেদনের জন্য ওয়েবসাইটের Service মেনুর Verfication Service/Certificate/Marksheet/WES etc এ ক্লিক করে অথবা http://103.

113.200.36/PAMS/ServiceLogin.asps লিংক থেকে অনলাইনে আবেদন করা যায়।

আরও পড়ুনআইইএলটিএস প্রস্তুতি, ইংরেজির স্পষ্ট উচ্চারণের জন্য প্রতিদিন করণীয়১৩ মার্চ ২০২৫অনলাইনে আবেদনের যে যে নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে—

১.

আবেদন ফরমের কপি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট উত্তোলনের জন্য আবেদনের ম্যানুয়াল https://103.113.200.68/nu-app/studentlogin/manual লিংকে পাওয়া যাবে। ডাউনলোড করে ভালোভাবে বুঝে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।

২.

মূল সনদের জন্য ২০০১ সালের আগে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড, প্রবেশপত্র ও সাময়িক সনদের কালার স্ক্যান করা ফাইল (PDF) আবেদনের সঙ্গে যুক্ত (আপলোড) করতে হবে। তবে ২০০১ সাল বা এর পরে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মূল সনদের জন্য শুধু সাময়িক সনদের কালার স্ক্যান করা ফাইল (PDF) যুক্ত (আপলোড) করলেই চলবে। আবেদনকারীকে তাঁর ছবি স্ক্যান করে যুক্ত করতে হবে।

৩.

আবেদনকারীর নিজের মুঠোফোন নম্বর ও ই-মেইল অ্যাড্রেস ব্যবহার করতে হবে।

৪.

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একাধিক ডিগ্রি সম্পন্ন করে থাকলে পৃথক পৃথক প্রোফাইল খুলে পৃথক পৃথক ইউজার ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আবেদন করতে হবে।

৫.

আবেদন ফির পে–স্লিপ ডাউনলোড করে কাছের সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখায় ফির টাকা জমা দেওয়া যাবে। এ ছাড়া সোনালী ব্যাংকের পেমেন্ট গেটওয়ের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং অথবা সোনালী ব্যাংকের অনলাইন পেমেন্ট অপশন ব্যবহার করে ফি জমা দেওয়া যাবে। তবে যেভাবেই পেমেন্ট করুন না কেন, আবেদনের সময় সফটওয়্যারে উল্লিখিত ট্রানজেকশন আইডি অথবা পে-স্লিপ সংরক্ষণ করতে হবে। ডকুমেন্ট সংগ্রহের সময় আগে প্রদান করা অরিজিনাল ডকুমেন্টসহ ট্রানজেকশন আইডি ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে।

আরও পড়ুনইউনেসকোতে ১৪ ক্যাটাগরিতে ইন্টার্নশিপ, বয়স ২০ হলেই আবেদন ১৮ মার্চ ২০২৫

৬.

আবেদন করার ১৫ দিনের মধ্যে ফি জমা দিতে হবে, তা নাহলে আবেদনটি বাতিল হয়ে যাবে।

৭.

ফি জমা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবেদনটি সক্রিয় হয়ে যাবে। ডকুমেন্ট প্রস্তুত হলে এসএমএস অথবা ই-মেইল অথবা উভয়ের মাধ্যমে জানানো হবে। আবেদনকারী চাইলে সফটওয়্যারে লগইনের মাধ্যমেও আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারবেন। আবেদনের হার্ডকপি জমা দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কোনো প্রয়োজন নেই।

৮.

মূল সনদ সংগ্রহের সময় সাময়িক সনদের মূল কপি ও ফি জমা দেওয়ার রসিদ (মূল কপি) অবশ্যই জমা দিতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র অবশ্যই প্রদর্শন করতে হবে। সাময়িক সনদের মূল কপি ফেরত না দিলে মূল সনদ দেওয়া হবে না।

৯.

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ান–স্টপ সার্ভিস সেন্টার থেকে প্রার্থীর ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে হবে। নিজের ডকুমেন্ট নিজে সংগ্রহ করতে হবে, একান্ত অপারগ হলে সম্মতিপত্রসহ (Authorization Letter) প্রতিনিধির মাধ্যমেও সংগ্রহ করা যাবে।

১০.

সব ডকুমেন্ট গ্রহণ করার সময় ম্যানুয়ালে উল্লিখিত বা আগে উল্লিখিত ডকুমেন্টের পাশাপাশি অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে।

*বিস্তারিত তথ৵ জানতে ওয়েবসাইট:

আরও পড়ুনলিথুয়ানিয়ায় উচ্চশিক্ষা: ৩৫০টির বেশি প্রোগ্রামে পড়াশোনা, স্কলারশিপের সুবিধা, সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ১৪ নভেম্বর ২০২৪

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর ম ল সনদ র জন য স গ রহ র সময়

এছাড়াও পড়ুন:

টিউলিপের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব রয়েছে

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) টিউলিপ সিদ্দিকের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব আছে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে এ তথ্য জানিয়েছেন। যদিও টিউলিপ বলে আসছেন, তাঁর বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নেই। যুক্তরাজ্যের সাবেক ‘সিটি মিনিস্টার’ টিউলিপ এখন বাংলাদেশে বিচারের মুখোমুখি।

বিধিবহির্ভূতভাবে সরকারি প্লট নেওয়ার অভিযোগে চলতি সপ্তাহে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে করা মামলার শুনানির ফাঁকে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির এই এমপি একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও পরিচয়পত্র গ্রহণ করেছেন এবং ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন।

সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘তাঁর (টিউলিপ সিদ্দিকের) ঠিকানা, একাধিক পাসপোর্ট এবং ভোটার তালিকায় তাঁর নাম—সব পাওয়া গেছে। আমরা যথাসময়ে এগুলো দাখিল করব।’

এ ধরনের নথিপত্র থাকে বাংলাদেশের এমন কয়েকটি দপ্তর বা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। তাদের কাছে এসব কাগজপত্রের অনুলিপি আছে বলে তারা নিশ্চিত করেছে।

টিউলিপ এই বিচারকে ‘হয়রানি ও প্রহসন’ আখ্যায়িত করছেন। টিউলিপ অনেক আগে থেকে দাবি করে আসছেন, তিনি বাংলাদেশি নাগরিক নন। ২০১৭ সালে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আপনি কি আমাকে বাংলাদেশি বলছেন? আমি ব্রিটিশ...আমি বাংলাদেশি নই।’

টিউলিপ সিদ্দিকের আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান স্টিফেনসন হারউডের একজন মুখপাত্র এসব নথির অস্তিত্ব অস্বীকার করেছেন এবং সেগুলোকে জাল বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘টিউলিপের কখনো বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি ছিল না এবং তিনি শিশু বয়স থেকে কোনো পাসপোর্ট নেননি।’

আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, টিউলিপের নাগরিকত্বের প্রশ্নটি বাংলাদেশের আইনে তাঁর বিচার হতে পারে কি না, সেটাকে প্রভাবিত করে না। তবে আদালতে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর কয়েক দিন আগে তাঁর সততা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়াটা অস্বস্তিকর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

টিউলিপ সিদ্দিকের খালা শেখ হাসিনা গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হন।

খালা, মা ও দুই ভাই-বোনসহ টিউলিপের বিরুদ্ধে ঢাকার পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে বেআইনিভাবে সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগ আনে দুর্নীতি দমন কমিশন। সংস্থাটির আইনজীবীরা দাবি করেন, প্লট পাওয়ার যোগ্যতার নিয়ম এড়াতে রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক।

শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে কর্তৃত্ববাদ, নির্বাচনে কারসাজি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ রয়েছে। ছাত্রদের নেতৃত্বে দেশব্যাপী বিক্ষোভের মুখে আকস্মিক তাঁর সরকারের পতন হয়। তিনি ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। শেখ হাসিনার বিদায়ের ফলে তাঁর সরকার ও পরিবারের দুর্নীতির ব্যাপকতর তদন্তের সুযোগ আসে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে।

ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের অনুপস্থিতিতে তাঁর বিচারকাজ চলছে। টিউলিপ বলেছেন, মামলার বিষয়ে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ থেকে তাঁর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে গত সোমবার তিনি লিখেন, ‘কোনো যোগাযোগ নেই। কোনো প্রমাণও দেওয়া হয়নি। এমনকি আমার আইনজীবীদের পক্ষ থেকে আইনসিদ্ধভাবে এ বিষয়ে জানতে চাইলেও কোনো সাড়া দেওয়া হয়নি। এটি যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া নয়। এটা হয়রানি ও প্রহসন।’

দুর্নীতি দমন কমিশনের কৌঁসুলি সুলতান মাহমুদ বলেন, টিউলিপের পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার তালিকায় থাকা ঠিকানায় একটি সমন পাঠানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘ভোটার আইডি কার্ডে থাকা ঠিকানাগুলো পরিদর্শন করা হয়েছিল। তাঁর একটি জাতীয় পরিচয়পত্র ও একটি পাসপোর্ট আছে। আমাদের দুদক টিমগুলো, একাধিক টিম তদন্তের জন্য সেসব ঠিকানায় গিয়েছিল এবং যথাসময়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।’

দুদকের ঠিকানায় গত জুনে টিউলিপের আইনজীবীদের পাঠানো একটি চিঠি ফিন্যান্সিয়াল টাইমস দেখতে পেয়েছে। এতে দুদককে তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা চালানোর এবং তাঁর আইনি পরামর্শক দলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে অস্বীকৃতি জানানোর অভিযোগ করা হয়েছে।

বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত করেছে, টিউলিপ সিদ্দিকের একটি জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে, যদিও এটি সরাসরি নাগরিকত্ব নির্দেশ করে না।

টিউলিপ সিদ্দিক গত জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যের সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন সিটি মিনিস্টারের (ইকোনমিক সেক্রেটারি) পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এ পদে দেশটির আর্থিক খাতে দুর্নীতি রোধের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

খালা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দল আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সম্পদ থেকে তিনি সুবিধা নিয়েছেন, ফিন্যান্সিয়াল টাইমস-এ প্রথমবারের মতো এমন প্রতিবেদন প্রকাশের পর রাজনৈতিক চাপের মুখে টিউলিপ পদত্যাগ করেন।

টিউলিপ কোনো ধরনের অনিয়ম করার কথা অস্বীকার করে আসছেন। শেখ হাসিনার ভাগনি বলছেন, অধ্যাপক ইউনূস সরকার ‘বিরোধীদের দমন’ করছে, তার শিকার তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের ৪২ ধরনের আয় করমুক্ত, সেগুলো কী
  • রোহিঙ্গাদের সিম দিতে চায় সরকার
  • টিউলিপের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব রয়েছে