রূপগঞ্জের পূর্বাচলে জবাইকৃত ৫টি ঘোড়ার মাংস উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার পূর্বাচল উপ শহরের ১০ নং সেক্টর এলাকা থেকে পাঁচটি ঘোড়ার মাংস উদ্ধার করা হয়৷

পরে সহকারি কমিশনার ভূমি ও  ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ফয়েজ মিয়া (১৫) নামে এক যুবককে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ফয়েজ মিয়া কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানার বরমপাড়া এলাকার হাফিজ মিয়ার ছেলে। 

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে পূর্বাচল উপ-শহরের  শহরের ১০ নম্বর সেক্টর এলাকায় আনসার বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছিলেন৷ এ সময় তারা একটি সিএনজি পূর্বাচলের একটি প্লটের ভেতরে প্রবেশ করতে  দেখে তাদের সন্দেহ হয়।

পরে তারা সিএনজিকে থামার সিগনাল দিলে সিএনজি থামিয়ে কয়েকজন ব্যক্তি সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে তারা প্লটের ভেতর প্রবেশ করে আনসার সদস্যরা দেখতে পান পাঁচটি ঘোড়া জবাই করে তাদের মাংস আলাদা করা হচ্ছে।

আনসার সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে খবর দেন এবং আটককৃত ফয়েজ মিয়াকে পুলিশের কাছে সোপর্দ্য করেন। পরে ঘটনাস্থলে সহকারী কমিশনার ভূমি ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ফয়েজ মিয়াকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম  কারাদন্ড প্রদান করেন। 

স্থানীয়রা জানান, একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে ঘোড়ার মাংসকে গরুর মাংস বলে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকায় ও বিভিন্ন হোটেলে বিক্রি করে আসছে। পূর্বাচল শুনশান এলাকা হওয়ার কারণে এখানেই তারা ঘোড়ার মাংস জবাই করে তা গরুর মাংস হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে বিক্রি করত।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ