ইপিজেডের পক্ষে-বিপক্ষে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি
Published: 10th, July 2025 GMT
গোবিন্দগঞ্জে ইপিজেড বাস্তবায়ন নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে চারা বটগাছ এলাকায় গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর সড়ক অবরোধ করে ইপিজেডের বিপক্ষে বিক্ষোভ করে সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর লোকজনসহ একটি পক্ষ।
অন্যদিকে ইপিজেডের পক্ষে দুই ঘণ্টা উপজেলা সদরের চারমাথা এলাকায় ঢাকা-রংপুর জাতীয় মহাসড়ক অবরোধ করে স্থানীয় ছাত্র-জনতা। এতে উভয় সড়কের তিন-চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইপিজেড বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
এর আগে সকালে উপজেলার কাটামোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি। এতে দুই শতাধিক সাঁওতাল, বাঙালি নারী-পুরুষ অংশ নেন। পরে চারা বটগাছ এলাকায় সমাবেশ করেন তারা। সমাবেশ শেষে গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর সড়ক অবরোধ করেন। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সেনাবাহিনীর আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন তারা।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক ফিলিমন বাস্কে। বক্তব্য দেন সাঁওতাল নেতা বার্নাবাস টুডু, রাফায়েল হাঁসদা, প্রিসিলা মুর্মু, ব্রিটিস সরেন, রিপন বেসরা, সুফল হেমব্রম, স্বপন শেখ, সাহেব মুর্মু, মইনুল মিয়া, আতাউর রহমান, সোবান মুর্মু, রসেন টুডু, আন্দ্রিয়াস মুর্মু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সরকার সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্মের ফসলি জমিতে ইপিজেড স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়ে সাঁওতাল জাতিগোষ্ঠীকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। প্রকল্প গ্রহণের আগে পরিবেশগত ও সামাজিক প্রভাব সমীক্ষা করার আইনি বাধ্যবাধকতা উপেক্ষা করা হয়েছে।
এদিকে ইপিজেড বাস্তবায়নের দাবিতে বক্তব্য দেন গোবিন্দগঞ্জ নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক এমএ মতিন মোল্লা, সংগঠক রফিকুল ইসলাম, মোকছেদ ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আবু রায়হান, আসলাম মিয়া, সাঁওতাল নেতা মেখায়েল বেসরা প্রমুখ।
বক্তারা চিনিকলের জমিতে ইপিজেড বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে বলেন, ইপিজেড স্থাপন হলে দুই লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। সেখানে সাঁওতালরা অগ্রাধিকার পাবে। একটি মহল এর বিরোধিতা করছে। তারাই চিনিকলের জমি অবৈধভাবে দখল করে আছে।
সাহেবগঞ্জ এলাকায় রংপুর চিনিকলের আওতায় ১ হাজার ৮৪২ একর জমি আছে। চিনিকলে আখ মাড়াই বন্ধ হলে সাঁওতালরা দফায় দফায় এই জমি দখল করে। ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর চিনিকল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ দখলমুক্ত করতে গেলে সংঘর্ষ বাধে। এতে তিন সাঁওতাল নিহত হন। এ পরিস্থিতিতে রংপুর চিনিকলের জমিতে ইপিজেড স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ ব ন দগঞ জ স হ বগঞ জ চ ন কল র এল ক য় অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
১৭১ রানের ইনিংসে এশিয়া কাপে সুর্যবংশীর রেকর্ডের ঝড়
আরেকদিন, আরেক রেকর্ড; ভৈভব সুর্যবংশীর ব্যাটে যেন রোজই নতুন ইতিহাস লেখা হচ্ছে। মাত্র ১৪ বছরের এই প্রতিভাবান ওপেনার শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে খেললেন এক ঝড়ো ইনিংস। ৯৫ বলে ১৭১! তাও আবার চারদিক উড়িয়ে ১৪ ছক্কায় রাঙানো এক মহাকাব্যিক প্রদর্শনী।
৩০ বলে হাফ-সেঞ্চুরি, ৫৬ বলে সেঞ্চুরি; একবার লয় পেলে যেন থামার ক্ষমতাই হারিয়ে ফেলেন ভৈভব। ৮৪ বলে পৌঁছে যান ১৫০-এ। আর শেষ পর্যন্ত ১৭১ রানের সেই ইনিংসেই ভেঙে ফেলেন দু’টি এশিয়া কাপ রেকর্ড। যা অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
আরো পড়ুন:
১২ বছরে ৩০ প্রচেষ্টার পর অস্ট্রেলিয়ায় সেঞ্চুরি পেলেন রুট
ওয়াসিম আকরামের রেকর্ড ভেঙে শীর্ষে স্টার্ক
এর আগে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড ছিল আফগানিস্তানের দারবিশ রাসুলির (২০১৭ সালে ১০টি)। ভৈভব সেটিকে ছাড়িয়ে এখন এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ১৪ ছক্কায় নতুন মালিক। শুধু তাই নয়, পুরো টুর্নামেন্ট মিলিয়ে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডও নিজের করে নিয়েছেন তিনি। রাসুলির আগের ২২ ছক্কাকে টপকে ভৈভবের সংখ্যা এখন ২৬।
এই ১৭১ রান অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডেতে ভারতের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস। তালিকার এক নম্বরে আছেন আম্বাতি রাইডু। ২০০২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার অপরাজিত ১৭৭ রানের ইনিংস এখনো শীর্ষে।
দলে আছেন মুম্বাই ও সিএসকে ওপেনার মাটরের মতো উদ্যমী নেতা। তার নেতৃত্বে ভারত অনূর্ধ্ব–১৯ দল শুক্রবার ইউএই’কে হারিয়ে অভিযান শুরু করার রসদ পেয়ে গেছে। তবে পুরো এশিয়া কাপের সবচেয়ে আলোচিত ম্যাচটি হবে রোববারের ভারত-পাকিস্তান লড়াই। আগামী বছরের বিশ্বকাপ প্রস্তুতির আগাম পরীক্ষা হিসেবেও দেখা হচ্ছে এটিকে।
এদিকে সাম্প্রতিক পুরুষ এশিয়া কাপ, নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও রাইজিং স্টারস টি–টোয়েন্টি এশিয়া কাপে ভারতীয় খেলোয়াড়রা পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে করমর্দন এড়িয়ে গিয়েছেন। পাহালগাম সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ভারতীয় সেনা ও নিহতদের প্রতি সংহতির বার্তা হিসেবেই এমন সিদ্ধান্ত।
তবে জুনিয়র স্তরে চিত্রটা ভিন্ন। আইসিসি চায় রাজনীতি থেকে দূরে থাকুক অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট, এবং বজায় থাকুক স্বাভাবিক খেলোয়াড়সুলভ সৌজন্য আচরণ।
এক বিসিসিআই কর্মকর্তা পিটিআইকে জানান, “ছেলেদের আলাদা করে কিছু বলা হয়নি। তবে ম্যানেজার আনন্দ দাতারকে বিসিসিআই নির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে। ভারতের ছেলেরা যদি পাকিস্তান দলের সঙ্গে করমর্দন না করে, তাহলে আগে থেকেই ম্যাচ রেফারিকে জানাতে হবে।
ঢাকা/আমিনুল