মতলব দক্ষিণে গৃহবধূকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশ উদ্ধার
Published: 12th, July 2025 GMT
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে রূপালী বেগম (৪০) নামের এক গৃহবধূ ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার উপাদী দক্ষিণ ইউনিয়নের ঘোড়াধারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাতেই পুলিশ ওই বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে পলাতক আছেন ওই নারীর স্বামী জামাল মিয়া।
নিহত রূপালী বেগমের বাবার নাম কালু পাটোয়ারী। তাঁর স্বামী জামাল মিয়ার বাড়ি বরিশালে। জামাল রূপালীর দ্বিতীয় স্বামী। রূপালীর প্রথম স্বামী কয়েক বছর আগে মারা যান। দুই ছেলে ও তিন মেয়েকে নিয়ে তিনি মতলব দক্ষিণের ঘোড়াধারী গ্রামে পৈতৃক বাড়িতেই থাকতেন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর টিকটকের মাধ্যমে জামালের সঙ্গে রূপালীর পরিচয় হয়। পরে তাঁরা বিয়ে করেন। জামাল চারটি বিয়ে করেছেন, রূপালী ছিলেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী। বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ লেগে থাকত। প্রায় ১৫ দিন আগে জামাল রূপালীর কাছ থেকে জোর করে স্বর্ণালংকার নিয়ে নারায়ণগঞ্জে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় রূপালী চাঁদপুরের একটি আদালতে জামালের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এর পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ আরও বেড়ে যায়। জামাল একাধিকবার রূপালীকে হত্যার হুমকি দেন বলেও পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
রূপালীর বড় ভাই আলিম উদ্দিন বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে আমার বোনকে হত্যা করে স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে গেছে জামাল। আমি তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
স্থানীয় লোকজন জানান, গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে পৈতৃক বাড়িতে রূপালী ও জামালের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ সময় পরিবারের অন্য সদস্যরা ঘুমিয়ে ছিলেন। একপর্যায়ে জামাল রূপালীর বুকে ও পিঠে ছুরিকাঘাত করেন। পরে লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে তিনি পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় ঘর থেকে প্রায় ২২ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ও একটি মুঠোফোন সেটও নিয়ে যান।
ঘটনার কিছুক্ষণ পর রূপালীকে ঘরে না পেয়ে স্বজনেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে সেপটিক ট্যাংকে তাঁর লাশ দেখতে পান তাঁরা। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। রাতেই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এ ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
‘খালেদা জিয়াকে ফুড পয়জনিং করে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল’
চাঁদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হুদা বলেছেন, ‘‘২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেনের সময় বেগম খালেদা জিয়াকে দেশত্যাগের প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি জনগণের অধিকার রক্ষার সংগ্রাম থেকে সরে আসেননি। মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে বছরের পর বছর কারাবন্দি রাখা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তার ওপর জেলখানায় নির্যাতন চালানো হয়েছে। এমনকি জেলখানায় বেগম খালেদা জিয়াকে ফুড পয়জনিং করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তিনি কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি।’’
বিএনপি চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বাদ মাগরিব চাঁদপুরের মতলবে পাঠান বাজার আবেদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে খতমে কুরআন ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তানভীর হুদা বলেন, ‘‘বেগম খালেদা জিয়া গণমানুষের অধিকার আদায়ের নেত্রী। সাধারণ মানুষের বাঁচার অধিকার, চিকিৎসার অধিকার, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় এবং দেশের সংকটময় মুহূর্তে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই তার রাজনৈতিক দর্শন। আজ তিনি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন। সারাদেশে মসজিদে মসজিদে তার রোগমুক্তির জন্য দোয়া করা হচ্ছে।’’
‘‘বিদেশি ষড়যন্ত্র এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তারেক রহমান দেশে আসতে পারছেন না। তিনি ধৈর্য ধরে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন,’’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দোয়া মাহফিলে বিভিন্ন মাদরাসার হাফেজ শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে খতমে কুরআন শেষে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাবেক ছাত্র নেতা নাজমুল হাসান বাবুর সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন, থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান কবির, মতলব পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ্ গিয়াস প্রমুখ। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা ফারুক আহাম্মদ।
এ সময় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী, সমর্থক এবং সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/অমরেশ//