চোটের কারণে লম্বা সময় ধরে মাঠে বাইরে আছেন বার্সেলোনার গোলরক্ষক মার্ক–আন্দ্রে টের স্টেগেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে গত মৌসুমে বার্সার পোস্ট সামলেছেন অবসর ভেঙে ফেরা পোলিশ গোলরক্ষক ভয়চেক সেজনি। এর মধ্যে চোট কাটিয়ে ফেরার অপেক্ষায় থাকা টের স্টেগেনের বিপদ আরও বেড়েছে ক্লাবের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ায়।

বার্সেলোনার ইচ্ছা ছিল, লা লিগার চোট–বদলি নিয়মের অধীন নতুন গোলকিপার হোয়ান গার্সিয়াকে নিবন্ধন করাতে। কিন্তু টের স্টেগেন জানিয়ে দেন, নিজের চিকিৎসা–সংক্রান্ত কোনো তথ্য তিনি লা লিগার কাছে দেবেন না। এতে গত জুনে এস্পানিওল থেকে আনা গোলকিপার হোয়ান গার্সিয়াকে নিয়ে বার্সার পরিকল্পনা আর এগোয়নি।

এ বিতর্কের জেরে বার্সার অধিনায়কত্ব হারান টের স্টেগেন। তাঁর বদলে নেতৃত্ব দেওয়া হয় রোনালদ আরাউহোকে। এমনকি এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্যোগও গ্রহণ করেছিল বার্সা। তবে এক দিনের ব্যবধানে সমস্যা মিটিয়ে আবারও নেতৃত্বে ফিরেছেন টের স্টেগেন।

আরও পড়ুনটের স্টেগেনের অধিনায়কত্ব কেড়ে নিল বার্সা, নতুন অধিনায়ক কে১৭ ঘণ্টা আগে

গতকাল বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন তাঁর চিকিৎসা–সংক্রান্ত প্রতিবেদন লা লিগার কাছে পাঠানোর অনুমতি দেওয়ায় তাঁকে আবারও ক্লাবের অধিনায়ক হিসেবে পুনর্বহাল করা হয়েছে।

লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ‘ক্লাব ঘোষণা করছে যে খেলোয়াড় মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন তাঁর অস্ত্রোপচার–সংক্রান্ত চিকিৎসা প্রতিবেদন লা লিগায় পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদনে স্বাক্ষর করেছেন। শৃঙ্খলাভঙ্গ–সংক্রান্ত মামলা বন্ধ করা হয়েছে এবং তাঁকে অবিলম্বে প্রথম দলের অধিনায়ক হিসেবে পুনর্বহাল করা হয়েছে।’

এ ঘোষণা সামনে আসার আগে একটি বিবৃতি দেন টের স্টেগেনও। যেখানে তিনি লেখেন, ‘বিষয়টির সমাধানে ক্লাবকে পূর্ণ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় অনুমোদন দিতেও সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’

আরও পড়ুনবার্সেলোনায় গোলকিপার–সংকট: অধিনায়ক টের স্টেগেন এখন ক্লাবের ‘শত্রু’০৬ আগস্ট ২০২৫

লা লিগার নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনো খেলোয়াড় অন্তত চার মাস মাঠের বাইরে থাকেন, তাহলে তাঁর বেতনের অন্তত ৫০ শতাংশ ক্লাব নতুন খেলোয়াড় নিবন্ধনের জন্য ব্যবহার করতে পারে। বার্সেলোনার ধারণা, টের স্টেগেন অন্তত চার মাস খেলতে পারবেন না। তবে জার্মান এই গোলরক্ষক তাঁর বিবৃতিতে বলেছেন, তিন মাসের মধ্যেই মাঠে ফেরার আশা করছেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব  প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি  এখন সারানো  হয়েছে।

ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।  

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।

ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।  পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’

ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’

ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।

আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ