কিশোরগঞ্জে হাওরের পানিতে ডুবে বনান্ত ইসলাম (২২) নামে এক পর্যটক মারা গেছেন। শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে নিকলী উপজেলার ছাতিরচর ইউনিয়নের হাওরে মারা যান তিনি। 

মারা যাওয়া বনান্ত ইসলামের বাড়ি বগুড়ার কান্দারবাজার এলাকায়। তিনি বগুড়ার সৈয়দ আহম্মেদ কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

নিকলী থানার ওসি কাজী আরিফ উদ্দিন জানান, শনিবার সকালে বগুড়া থেকে ৮-৯ জন বন্ধুর সঙ্গে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদ দেখতে আসেন বনান্ত ইসলাম। তারা কিশোরগঞ্জ জেলা শহর থেকে হাওরে বেড়াতে নিকলী যান। বিকেলে নিকলী বেড়িবাঁধ থেকে ট্রলারযোগে দ্বীপগ্রাম ছাতিরচরের পাশে করচবনে গিয়ে গোসল করতে পানিতে নামেন তারা। এসময় বনান্ত পানিতে তলিয়ে যান। 

আরো পড়ুন:

দিনাজপুরে বিষ খেয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও গাজীপুরে পানিতে ডুবে ৪ শিশুর মৃত্যু

বন্ধুদের চিৎকার শুনে পানিতে নেমে স্থানীয় নৌকার মাঝিরা বনান্তকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন। তারা তাকে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক বনান্তকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি কাজী আরিফ উদ্দিন জানান, পুলিশ গিয়ে মরদেহ থানায় আনে। বনান্তরের পরিবারের সদস্যদের জানানোর পর তারা রাতে বগুড়া থেকে আসেন। পরিবারের লোকজন ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ তাদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করেন। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঢাকা/রুমন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর যটক ক শ রগঞ জ বন ন ত

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীতে আগুনে পুড়ল ১১টি দোকান ও একটি কারখানা

নোয়াখালীর সেনবাগে একটি কাঠের আসবাবপত্র তৈরির কারখানা, গোডাউনসহ অন্তত ১১টি দোকান আগুনে পুড়ে গেছে। শনিবার (৯ আগস্ট) রাত ১টার দিকে উপজেলার সেবারহাট বাজারে ঘটনাটি ঘটে। 

ফায়ার সার্ভিসের সেনবাগ, চৌমুহনী ও মাইজদীর পাঁচটি ইউনিট প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে রবিবার (১০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার রাত ১টার দিকে সেবারহাটে একটি আসবাবপত্র তৈরির কারখানা থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর আগুন আশপাশের ১১টি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। 

আরো পড়ুন:

নেত্রকোণার ধলাই নদীতে বাল্কহেড ডুবে ২ শ্রমিক নিখোঁজ

মানিকগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানার আগুন, ৬০ কোটি টাকার ক্ষতি

আগুনে আসবাবপত্র তৈরির কারখানা, মেশিনারিজ সামগ্রী, থাই অ্যালুমিনিয়াম পণ্য বিক্রির দোকানসহ অন্তত ১১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। আগুনে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের ৩৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।  

সেনবাগ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ার ফাইটার মো.সাব্বির হোসেন বলেন, ‍“পাঁচটি ইউনিট প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষয়ক্ষতি ও অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্ত শেষে বলা যাবে।” 

ঢাকা/সুজন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ