অটোরিকশা বিক্রি নিয়ে দ্বন্দ্ব, স্ত্রী-সন্তানের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ
Published: 10th, August 2025 GMT
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে স্ত্রী ও তিন সন্তানের নির্যাতন থেকে মনোয়ার হোসেন (৬০) নামের এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ও এলাকাবাসী। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে পৌরসভার পূর্ব বড়ালী গ্রামে (পালের বাড়ি) এ ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেশী ইমাম হোসেন নান্টু বলেন, একটি অটোরিকশা কেনাবেচা নিয়ে মনোয়ারের স্ত্রী তাসলিমা বেগম, মেজ ছেলে জুয়েল, বড় মেয়ে প্রিয়া ও ছোট মেয়ে রিয়া মিলে তাঁকে হাত-পা বেঁধে মারধর করেন। একপর্যায়ে মেয়েরা বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধের চেষ্টা করেন। মনোয়ারের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ও এলাকাবাসী মিলে তাঁকে উদ্ধার করেন।
মনোয়ার হোসেন পুলিশকে জানান, এনজিও থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে তিনি একটি অটোরিকশা কিনেছিলেন। তাঁর অভিযোগ, স্ত্রী-সন্তানেরা অটোরিকশাটি ৫৩ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তাঁকে মারধর ও হত্যার চেষ্টা করা হয়।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, মনোয়ারের পাঁচ সন্তান, এর মধ্যে দুই ছেলে বিদেশে থাকেন। অটোরিকশা কেনাবেচা নিয়ে পারিবারিক বিরোধ থেকে এ ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ছাড়া জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। স্ত্রী ও তিন সন্তানকে আটক করা হয়েছে। আজ রোববার এ বিষয়ে মামলা নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: মন য় র
এছাড়াও পড়ুন:
বাসে প্রবাসীকে অজ্ঞান করে টাকা-মুঠোফোন লুট, লাগেজ নিতে গিয়ে পড়লেন ধরা
দুবাইপ্রবাসী এ আর হোসেন ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। পাশে বসা যাত্রী তাঁর সঙ্গে আলাপচারিতা শুরু করেন। একপর্যায়ে জুস খাওয়ার অনুরোধ করেন। সরল মনে কোনো সন্দেহ না করে ওই জুস পান করেন হোসেন। অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাঁর মানিবাগ, মুঠোফোন, স্বর্ণালংকার চুরি করে নেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে নওগাঁগামী একতা পরিবহনের বাসে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী এ আর হোসেনের বাড়ি বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রামে। দুবাই থেকে ঢাকায় নেমে তিনি গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। বাসে তাঁর পাশের আসনের যাত্রী ছিলেন অজ্ঞান পার্টির সদস্য আরমান হোসেন। তাঁর বাড়ি নরসিংদী জেলায়। পুলিশ আরমানকে আটক করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বাসের স্টাফদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ আর হোসেন দুবাই থেকে গতকাল সকালে ঢাকায় পৌঁছান। বেলা ১১টার দিকে তিনি গ্রামের বাড়ি আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশ্যে উত্তরা থেকে একতা পরিবহনের বাসে ওঠেন। বাসে পাশের আসনে বসা যাত্রী আরমান হোসেনের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। একপর্যায়ে বগুড়ার শেরপুরের আগে আরমান বোতল বের করে তাঁকে জুস খাওয়ার প্রস্তাব দেয়। ওই জুস খাওয়ার পর হোসেন অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
এ আর হোসেন বলেন, ‘আমার নামার কথা ছিল বগুড়া-নওগাঁ সড়কের চৌমুহনী মোড়ে। কিন্তু অচেতন হয়ে থাকায় বাসের সর্বশেষ গন্তব্যস্থল নওগাঁ বাসস্ট্যান্ডে চলে আসি। এখানে আসার পর পাশে বসা ওই যাত্রী ও বাসের সুপারভাইজার আমাকে বাস থেকে নামান এবং মুখ-চোখে পানি দেন। চেতনা ফেরার পরই আমি পাশের সিটের যাত্রীকে ধরে ফেলি। পরে অন্য যাত্রীদের সহযোগিতায় তাঁর কাছ থেকে আমার চুরি হওয়া টাকা, মুঠোফোন ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করি। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল বাসের লকারে থাকা আমার ব্যাগ নেওয়ার। ওই ব্যাগে আরও কিছু মূল্যবান জিনিস ছিল।’
নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, অজ্ঞান পার্টির সদস্য সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।