ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেতা আবির চ্যাটার্জি। ব্যক্তিগত জীবনে নন্দিনী চ্যাটার্জির সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্তু মিডিয়ার আলো থেকে বরাবরই স্ত্রী-সন্তানকে আড়ালে রাখেন। কারণ স্ত্রীর ছবি প্রকাশ করে কটাক্ষের শিকার হয়েছেন। 

কয়েক মাস আগে একটি সিনেমার প্রিমিয়ারে স্ত্রীকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন আবির। সেখানে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ক্যামেরায় পোজ দেন। সেই মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও অন্তর্জালে ভাইরাল হয়। সোশ্যাল মিডিয়ার এসব পোস্টে নন্দিনীকে নিয়ে নোংরা মন্তব্য করেন নেটিজেনরা। তবে এ নিয়ে তখন টুঁ-শব্দটি করেননি আবির।    

কয়েক দিন আগে ‘স্টেট আপ উইথ শ্রী’-তে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আবির। এ আলাপচারিতায় ট্রলাদের নোংরা মন্তব্য নিয়ে কথা বলেন এই নায়ক। আবির বলেন, “আমার যেটা সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগে, তা হল আমি এটা কখনো বদলাতে পারব না। আমার সান্তনা দেওয়ার জায়গাও নেই। এটা আমার সবচেয়ে খারাপ লাগার জায়গা, আমি কিছু করতে পারি না।” 

আরো পড়ুন:

সন্তানহীন সংসারে পাকা অভিনেত্রী হয়ে ওঠার গল্প বললেন অপরাজিতা

বাথরুমে গিয়ে কেঁদেছি: শুভশ্রী

‘ফাটাফাটি’ সিনেমায় অভিনয় করেন আবির। মূলত, সিনেমাটি বডি পজিটিভিটির গল্প বলেছে। এ বিষয়ে আবির বলেন, “এমনকী ফাটাফাটি সিনেমার সময় বলেছিলাম, একটা সিনেমা কি কিছু বদলাতে পারবে? পারবে না। কিন্তু এটা নিয়ে আলোচনার জায়গাটা অন্তত তৈরি হবে।”  

ট্রলিং প্রসঙ্গে আবির বলেন, “এটা নিয়ে আমাকে সব জায়গাতেই প্রশ্ন করা হয়। তবে আমার মনে হয় যারা এগুলো করে তারা এই সময়টা পাওয়ারও যোগ্য নয়। তাই এটা নিয়ে আলোচনায় না যাওয়াই উচিত। এটাকে এড়িয়ে যাওয়া উচিত। এর চেয়ে বড় অপমান তাদের করা যাবে না।” 

এমবিএ পড়তে গিয়ে নন্দিনীর সঙ্গে পরিচয় হয় আবির চ্যাটার্জির। ২০০৭ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়েন এই যুগল। দাম্পত্য জীবনের প্রায় দেড় যুগ পার করছেন তারা।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

নারীর ভোটাধিকার বাতিল চেয়ে যাজকদের মন্তব্যে হেগসেথের সমর্থন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট

নারীর ভোটাধিকার নিয়ে যাজকদের করা নেতিবাচক মন্তব্যের ভিডিও সমর্থন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। এতে সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।

ভিডিওতে একটি খ্রিষ্টান জাতীয়তাবাদী গির্জার একাধিক যাজক মত দেন, নারীদের আর ভোট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়।

গত বৃহস্পতিবার রাতে এক্সে পুনঃপ্রকাশ করা হেগসেথের পোস্টে দেখা গেছে, তিনি খ্রিষ্টান জাতীয়তাবাদী এক যাজকের সঙ্গে গভীর ও ব্যক্তিগত সম্পর্ক রাখেন, যাঁর ধর্ম ও নারীর ভূমিকা বিষয়ে চরমপন্থী দৃষ্টিভঙ্গি আছে।

হেগসেথ তাঁর পোস্টে সিএনএনের প্রায় সাত মিনিটের এক প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য করেন। কমিউনিয়ন অব রিফর্মড ইভানজেলিক্যাল চার্চেসের (সিআরইসি) সহপ্রতিষ্ঠাতা ডগ উইলসনের কর্মকাণ্ড নিয়ে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সিএনএন। প্রতিবেদনে উইলসনস চার্চের একজন যাজক মার্কিন সংবিধান থেকে নারীর ভোটাধিকার বাতিলের পক্ষে মত দেন। অন্য আরেকজন যাজক বলেন, তাঁর প্রত্যাশিত ‘আদর্শ সমাজে’ মানুষ পরিবারভিত্তিক ভোট দেবে। ভিডিওতে একজন নারী সদস্যকেও বলতে শোনা যায়, তিনি তাঁর স্বামীর প্রতি অনুগত।

ভিডিওটি পোস্ট করে হেগসেথ লিখেছেন, জীবনের সব ক্ষেত্রে খ্রিষ্টধর্মের বিধান প্রভাব বিস্তার করবে। হেগসেথের পোস্টে ১২ হাজারের বেশি লাইক ও ২ হাজারের বেশি শেয়ার হয়। কিছু ব্যবহারকারী ভিডিওতে থাকা যাজকদের মতের সঙ্গে একমত হলেও অনেকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর খ্রিষ্টান জাতীয়তাবাদী ধারণা প্রচারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

তবে প্রগ্রেসিভ ইভানজেলিকাল সংগঠন ‘ভোট কমন গুড’-এর নির্বাহী পরিচালক ও যাজক ডগ পাগিট বলেন, ভিডিওতে প্রচারিত মতামত শুধু ‘খ্রিষ্টানদের এক ক্ষুদ্র প্রান্তিক অংশের’ ধারণা এবং হেগসেথের এগুলো প্রচার করাকে তিনি ‘খুবই বিরক্তিকর’ বলে উল্লেখ করেন।

পেন্টাগনের প্রধান মুখপাত্র শন পারনেল গত শুক্রবার অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন, হেগসেথ এমন ‘একটি চার্চের গর্বিত সদস্য’, যা সিআরইসির সঙ্গে যুক্ত। তিনি উইলসনের অনেক লেখা ও শিক্ষাকে অত্যন্ত মূল্যায়ন করেন।

গত মে মাসে হেগসেথ তাঁর ব্যক্তিগত যাজক ব্রুকস পোটেইগারকে পেন্টাগনে আমন্ত্রণ জানান। সেখানে তিনি সরকারি কর্মঘণ্টায় একাধিক খ্রিষ্টান প্রার্থনাসভার প্রথমটি পরিচালনা করেন। প্রতিরক্ষা দপ্তরের কর্মী ও সামরিক সদস্যরা বলেন, তাঁরা এ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র সরকারি ই–মেইলে পেয়েছিলেন।

সিএনএনের প্রতিবেদনে উইলসন বলেন, ‘আমি এ দেশকে একটি খ্রিষ্টান দেশ হিসেবে দেখতে চাই এবং চাই বিশ্বও খ্রিষ্টান বিশ্ব হোক।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ