পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নে রাজিউল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। 

রবিবার (১০ আগস্ট) সকালে ভজনপুর ইউনিয়নের কাউরগছ গ্রামে তার নিজ বাড়ির ২০০ থেকে ৩০০ গজ দূর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রাজিউল ইসলাম ওই গ্রামের নাজমুল হকের ছেলে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, রাজিউল রাতে বাজারে যায়। এরপর সেখান থেকে নদীতে মাছ ধরতে যায়। পরে রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। এদিকে, সকালে বাড়ির পাশে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুসা মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “মরদেহ উদ্ধারের সময় শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন বা কোন আলামত পাওয়া যায়নি। নিহতের পরিবার জানিয়েছে, তার বুকের ব্যথা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে বুকের ব্যথা থেকেই তার মৃত্যু হয়েছে। এরপরও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।”

পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি, অভিযোগ দায়ের করলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

ঢাকা/নাঈম/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

সারজিসকে যুবদল নেতা বললেন, ‘আপনার আশপাশের আওয়ামী লীগের লোকদের সরান’

পঞ্চগড়ে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে পাশ থেকে আওয়ামী লীগের লোকজন সরাতে বলেন এক যুবদল নেতা। তাঁর মাধ্যমে যেন আওয়ামী লীগের কোনো লোকের পুনর্বাসন না হয়, সেই দাবিও তোলেন তিনি। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

গতকাল সোমবার বিকেলে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর বাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ওই যুবদল নেতার নাম হাসিনুর রহমান। তিনি ভজনপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে সারজিস আলমকে লক্ষ্য করে হাসিনুর রহমান বলছেন, ‘আপনার আশপাশের আওয়ামী লীগের লোকদের সরান। এই যে দেখেন, আমি দেখায় দিচ্ছি। আসেন, আপনি এগুলোকে সরান, এক্ষুনি সরান।’ জবাবে সারজিস আলম বলেন, ‘আমার জানামতে নাই।’ তখন হাসিনুর বলেন, ‘আছে, আমি দেখায় দিচ্ছি আপনাকে। আপনি তো এখন আমাদেরই লোক। আপনি নওশাদ ভাইয়ের (বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক সম্পাদক নওশাদ জমির) এলাকায় আসছেন, আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি আওয়ামী লীগের লোকগুলোকে সরান।’

কিছুক্ষণ পর সারজিস আলম তাঁকে হাঁটতে হাঁটতে কথা বলার প্রস্তাব দেন। এ সময় হাসিনুর তাঁর কাঁধে হাত রেখে এগোতে থাকেন, আর সারজিস আলমও তাঁর কাঁধে হাত রাখেন। এ সময় হাসিনুর রহমান বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে আপনার ভূমিকা আছে। আমরা চাই, আপনি বড় নেতা হবেন। কিন্তু আপনার ডানে-বাঁয়ে আওয়ামী লীগের লোকজন ঘুরছে।’ উত্তরে সারজিস আলম বলেন, ‘ভাই, আপনি এটা ভালো করে জানেন, যেদিন ওরা ফিরে এসে আপনাকে ধরবে, ওই দিন আমারও গলা কাটবে। এটা তো মানেন।’ পরে হাসিনুর বলেন, ‘ওরা যেন কোনোমতেই আপনার ছত্রচ্ছায়ায় পুনর্বাসন হতে না পারে।’ জবাবে সারজিস আলম বলেন, ‘এটা আমরা একসাথে করব।’ পরে তিনি হাসিনুরের সঙ্গে হাত মেলান এবং বলেন, ‘চলেন, আমরা সবাই একসঙ্গে চা খাব।’

এ বিষয়ে সারজিস আলম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এইটা একদমই তার প্ল্যান। ইনটেনশনালি এ রকম করেছে। সে ওখানকার বিএনপির একটা ছেলে। প্রথমে এসেই ওই কথা বলছে। আরেকজনকে ভিডিও করতে বলছে। মানে একটা লোক ঠিক করছে ভিডিও করতে। আমি বলছি, কে দেখায় দেন। বলে, আছে একজন। ওই যে ছিল, বাইক নিয়ে চলে গেল। আমরা ভজনপুরে গেছি ব্যারিস্টার সাহেবের (বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার) বাসার পাশে। সেখানে তো তাদের কিছু লোকজন আছে, ওরা হয়তো মনে করে যে কাউকে বিব্রত করাটা হইলো পলিটিকস। পরে আবার আমার সঙ্গে দাঁড়িয়ে চা-নাশতা খেয়েছে। সেখানে কিসের আওয়ামী লীগের লোক থাকবে? আমি আমার কমিটির লোকজন নিয়ে সেখানে গেছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সারজিসকে যুবদল নেতা বললেন, ‘আপনার আশপাশের আওয়ামী লীগের লোকদের সরান’