খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় অবৈধভাবে সার মজুদ ও ন্যায্য মূল্যে কৃষকদের মাঝে বিক্রি না করার দায়ে দুই খুচরা বিক্রেতাকে জরিমানা করা হয়েছে। আজ রবিবার (১০ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার চুকনগর বাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়। 

ডুমুরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অপ্রতিম কুমার চক্রবর্তী আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় অবৈধভাবে মজুদ করা বিভিন্ন ধরনের ৩৭৫ বস্তা সার জব্দ করা হয়। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চুকনগর বাজারের যতিন কাশেম রোডের বাদামতলা মোড় এলাকায় মেসার্স জালাল ট্রেডার্সে অবৈধভাবে সার মজুদ রাখার অপরাধে প্রতিষ্ঠানের মালিক জাহিদুল ইসলাম মোড়লকে নগদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় তার দোকান থেকে ২৮০ বস্তা ইউরিয়া, ৪৬ বস্তা টিএসপি, ২০ বস্তা ডিএপি ও ২৯ বস্তা এমওপি মজুদকৃত সার জব্দ করা হয়। 

আরো পড়ুন:

শ্রীবরদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ৫ জনের কারাদণ্ড

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে টিকটক, যুবকের কারাদণ্ড

এছাড়া কৃষকের মাঝে ন্যায্য মূল্যে সার বিক্রি না করা ও স্টক রেজিস্ট্রার ব্যবহার না করায় মালতিলা এলাকায় মেসার্স সুকর্ণ ট্রেডার্সের মালিক সুকর্ণ কুমার ঘোষকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অপ্রতিম কুমার চক্রবর্তী জানান, সার মজুদ করে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করায় সার ব্যবস্থাপনা আইনে জাহিদুল ইসলামকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৩৭৫ বস্তা বিভিন্ন মজুদ করা সার জব্দ করা হয়।

তিনি আরো জানান, কৃষকদের মাঝে ন্যায্য মূল্যে সার বিক্রি না করার অপরাধে ব্যবসায়ী সুকর্ণ কুমারকে ভোক্তা সংরক্ষণ আইনে ২০ হাজার জরিমানা করা হয়। 

জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান সহকারী কমিশনার। তিনি জানান, জব্দকৃত সার চুকনগর বাজার কমিটি ও ইউনিয়ন পরিষদের জিম্মায় রাখা হয়েছে।

অভিযানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইনসাদ ইবনে আমিন, আটলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দিন, চুকনগর বাজার কমিটির সভাপতি শাহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সরদার বিল্লাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন। 

ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জব দ চ কনগর ব জ র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়

চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।

এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।

গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।

ব্রহ্মপুত্র নদের চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা

সম্পর্কিত নিবন্ধ