বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ক্লাস সোমবার (১১ আগস্ট) থেকে শুরু হচ্ছে।
রবিবার (১০ আগস্ট) ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মুহসিন উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক নোটিশ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ক্লাস কার্যক্রম সোমবার (১১ আগস্ট) শুরু হবে। এ লক্ষ্যে সার্বিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হলো।
আরো পড়ুন:
স্বতন্ত্র শিক্ষা ক্যাডার রক্ষার দাবিতে ঢাবিতে বিক্ষোভ
ঢাবির সভায় শিবিরকে আমন্ত্রণ, ৩ বাম সংগঠনের ওয়াকআউট
এদিকে, নবীন এই ১৪তম ব্যাচকে বরণ করে নিতে বিভাগগুলো নতুন রূপে সাজানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এ আয়োজন করা হচ্ছে।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম বলেন, “ক্যাম্পাসে নবীনদের আগমন এক প্রকার উচ্ছ্বাস এনে দিয়েছে প্রবীনদের মনে। নবীনরা আসবে, তাদের বরণ করে নেবে ইমিডিয়েটরা। তার জন্য নানা প্রস্তুতি চলছে। ক্লাসরুম সাজানো, আলপনা করা, জুনিয়রদের বরণের জন্য সামগ্রী প্রস্তুত থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় শেষের পথে।”
তিনি বলেন, “ফুল, চকলেট, ক্রেস্ট, ওয়েলকাম কার্ড ইত্যাদি দিয়ে বরণ করে নেওয়া হবে নবীনদের। ইমিডিয়েট প্রবীণদের মাঝে এক অন্য রকম উন্মাদনা। আজ যদি সারারাতও কাজ করতে হয়, তাও করবে। কিন্তু জুনিয়রদের বরণে একটুও কমতি রাখবে না। তারা নানা রঙে রাঙিয়ে তুলছে বিভাগ, যেন প্রথম দেখাতেই বিভাগের প্রতি ভালোলাগা কাজ করে নবীনদের।”
লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ জিসান বলেন, “আগামীকাল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ ব্যাচ অর্থাৎ লোকপ্রশাসনের ১৩তম ব্যাচের নবীনবরণ। এজন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি সেরাটা দেওয়ার। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়াটা ওদের জন্য অবশ্যই বিশেষ কিছু।”
তিনি বলেন, “এরা সবাই মেধার ভিত্তিতেই এখানে এসেছে। এদের নতুন এই ধাপে প্রবেশ করাটাকে আমরা সেভাবেই বরণ করে নিতে চাচ্ছি। প্রথমেই তাদের ফুল দিয়ে বরণ করা হবে। আমরা আশা রাখি, লোকপ্রশাসন বিভাগের ইতিহাসে সবচেয়ে আকর্ষণীয় নবীন বরণ আমরা করতে যাচ্ছি।”
ঢাকা/সাইফুল/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বর শ ল র জন য প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া দলও কি স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে পারে
১৫ বছর ধরে অনেক ব্যক্তি, রাজনৈতিক দল আর সংগঠন মিলে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে শেখ হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে আসেন।
এর ফলে হাসিনা সরকারের পতন হয় ও তিনি এবং তাঁর দলের কর্মীরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এ পরিবর্তন শুধু একটা সরকারের পরিবর্তন নয়, বরং দীর্ঘ সময়ের ভয় ও দমনের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের সাহস, আশা ও গণতান্ত্রিক চেতনার একটি বড় জয় ছিল।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায়, কিছু গোষ্ঠী ও রাজনৈতিক দল এই আন্দোলনের সফলতাকে শুধু নিজের নামে দাবি করতে শুরু করে। কেউ কেউ বলতে থাকে, তাদের কারণেই সরকার পতন ঘটেছে। তাই তারাই ভবিষ্যতে ক্ষমতার একমাত্র ভাগীদার।
আবার কিছু ধর্মীয় বা আদর্শিক গোষ্ঠী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নিজেদের শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে, যারা আগে প্রকাশ্যে তেমন সক্রিয় ছিল না। এ ছাড়া কিছু নতুন দল, যারা আগে রাজনীতিতে খুব একটা পরিচিত ছিল না, তারাও হঠাৎ করে সামনে চলে এসেছে। তারা নিজেদের ‘নতুন শক্তি’, ‘ভিন্নধারার দল’ হিসেবে উপস্থাপন করে, কিন্তু তাদের আচরণে কখনো কখনো পুরোনো রাজনীতির কৌশলই দেখা যায়।
আরও পড়ুনশেখ হাসিনা স্বৈরশাসকদের টিকে থাকার দুটি মূলমন্ত্রেই ব্যর্থ২২ আগস্ট ২০২৪এই আন্দোলনের সময় বিভিন্ন গোষ্ঠী একসঙ্গে থাকলেও আন্দোলনের পর তারা নিজেদের অবস্থান ঠিক করতে গিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ কেউ আবার নিজেদের মধ্যে ক্ষমতার হিসাব-নিকাশ করছে। এতে আন্দোলনের মূল চেতনা—জনগণের অধিকার, গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যেন ধীরে ধীরে পেছনের দিকে চলে গেছে।
এ বাস্তবতায় প্রশ্ন ওঠে, যাঁরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিলেন, তাঁরাই কি আবার ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গিয়ে নতুন একধরনের স্বৈরতন্ত্রের জন্ম দেবেন?
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। ৫ আগস্ট, ২০২৪