লক্ষ্মীপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে একটি একনলা বন্দুকসহ জেলা যুবদলের সাবেক এক নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল রোববার দিবাগত রাত একটার দিকে সদর উপজেলার পালেরহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম এ কে এম ফরিদ উদ্দিন। তিনি জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক পদে ছিলেন। তাঁর বাড়ি পালেরহাট এলাকাতেই। ফরিদ উদ্দিনের কাছ থেকে বন্দুক ছাড়াও নগদ ১ লাখ ৫ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, এ কে এম ফরিদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ, অস্ত্র আইনসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। অস্ত্রসহ অবস্থানের খবর পেয়ে ঘরে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

লক্ষ্মীপুর সদর থানার কর্মকর্তা মো.

আবদুল মোন্নাফ প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে ফরিদ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় নতুন করে থানায় মামলা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফেনী সীমান্তে ৬ চোরাকারবারি আটক

ফেনীর ফুলগাজীতে ভারতীয় মদসহ ছয় চোরাকারবারিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। 

সোমবার (১১ আগস্ট) সকালে উপজেলার সীমান্তবর্তী বসন্তপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- পরশুরাম উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মো. আবদুল করিম (৩০), একই গ্রামের কবির আহম্মদের ছেলে মো. মমিন (২১), নুর আহাম্মদের ছেলে মো. রোমান (২১), রফিকের ছেলে ইমন (২২), আমির হোসেনের ছেলে মো. হানিফ (২৩) ও ফুলগাজী উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের ছবির আহাম্মদের ছেলে রবিউল হক (২৫)।

আরো পড়ুন:

পিয়াইন নদীতে নিখোঁজ বিজিবি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার

ঢাকার পিলখানায় শুরু হ‌চ্ছে বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন

বিজিবি সূত্র জানায়, ফুলগাজী উপজেলার সীমান্তবর্তী বসন্তপুর এলাকায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় মাদক বিরোধী অভিযান চালানো হয়। এ সময় ভারতীয় তিন বোতল মদসহ ছয় মাদক চোরাকারবারিকে আটক করা হয়। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তাদের ফুলগাজী থানার হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযানের সময় ফুলগাজী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) উপস্থিত ছিলেন। 

বিজিবির ফেনী ব্যাটালিয়ন (৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, ‍“সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা, মাদকের অবৈধ পাচার ও চোরাচালান রোধসহ অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে বিজিবির অভিযান ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর নীতি অব্যাহত থাকবে।” 

ঢাকা/সাহাব/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ