‘হাজার কোটি টাকা থাকলে বিপিএলে আসা উচিত’
Published: 11th, August 2025 GMT
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়ে ভালো আলোচনা হয়েছে খুব কম সময়ই। যা আলোচনা হয়েছে বেশিরভাগই নেতিবাচক। সেটা খেলার শুরুর আগে, খেলা চলাকালীন এবং এখন খেলা শেষেও। মাঠের আলোচনা পেরিয়ে বিপিএলের সমালোচনা ডানাপালা মেলে বিস্তৃত। যেতে হয় আদালত পর্যন্তও। তবুও বিপিএল প্রতি বছরই মাঠে গড়ায় সমালোচনা নিয়ে।
সম্প্রতি বিপিএল নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে তা হল, বিসিবির দাবি তারা চিটাগং কিংসের থেকে ৪৬ কোটি টাকা পাওণা। কিছুদিন আগে কিংসের বিরুদ্ধে পাওনা ৪৬ কোটি টাকা চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে বিসিবি। পাওনার নোটিশকে ভিত্তিহীন বলেছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি চিটাগং কিংসের মালিক সামির কাদের চৌধুরী।
এই সমস্যার সমাধানে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও বিসিবির সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেননি বলে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তবে সোমবার বিসিবি তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, দ্রুতই তার সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে তারা।
আরো পড়ুন:
বিসিবির বোর্ড সভায় যেসব সিদ্ধান্ত হলো
ঋতুপর্ণাকে বিসিবির বাড়ি উপহার
সোমবার সামির কাদের বলেছেন, ‘‘আমার সাথে আজকে কথা হয়েছে কিছু বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে। ওনারা আমাকে নিশ্চিত করেছেন যে এটা নিয়ে আমার সাথে খুব শিগগিরই বসে সমাধান করবে। এখন যেহেতু তারা আমাকে আজকে দুপুরবেলা বলেছেই যে তারা বসবেন, আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, এতদিন পর যে নিজ থেকে তারা এখন আমাকে ডাকছে আলোচনায় বসার জন্য।’’
‘‘মজার বিষয় হলো এই ফিগারটা ৪৬ কোটি টাকার। এটা না ওনাদের (বিসিবি) কাছে কোনও জবাব আছে, না আমার কাছেও কোনও জবাব আছে। কিন্তু বাজারে ঘুরছে ৪৬ কোটি টাকার কথা। এই ফিগারটা কোথা থেকে আসছে এটা কারও কাছে কোনও উত্তর নেই। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছেও এটা আপনাদের সামনে হয়তোবা জিজ্ঞেস করা হয়েছে, এটার কোনও উত্তরই নেই। আমার কাছেও নেই।’’
‘‘২০১৮ সালে বিসিবি বকেয়ার বিষয়ে হাইকোর্ট থেকে স্টে-অর্ডার নিয়েছিল, ফারুক আহমেদের (সাবেক বিসিবি সভাপতি) সঙ্গে আমাদের সমঝোতা হয় যে সাড়ে ৩ কোটি টাকা দিতে হবে, এখন সেটা ৪৬ কোটি কীভাবে হলো এটা বিসিবিও জানেনা, আমার সঙ্গে বসতে রাজি হয়েছে তারা।’’ - যোগ করেন তিনি।
এছাড়া চিটাগং কিংসের বিরুদ্ধে খেলোয়াড় ও ম্যানেজমেন্টের পারিশ্রমিক বকেয়া, হোটেলের বিল বকেয়াসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। সেসব বোর্ডের মাধ্যমে সমাধান করার কথা বলেছেন সামির কাদের।
চিটাগং কিংস সর্বশেষ বিপিএলের রানার্স আপ। সামনের আসরে বিপিএলে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক চিটাগং। তবে বেশ কিছু বিষয়ে পরিস্কার হতে চান তিনি, ‘‘এটা আমি এখনো বলতে পারছি না। বিপিএলে অংশ নিতে হাজার কোটি টাকা থাকতে হবে। যাদের ১০০-২০০ কোটি টাকা আছে, ইভেন হাজার কোটি টাকা আছে তাদের আসা উচিত। আমার কাছে এতো টাকা নাই-ও।’’
‘‘আমি যতক্ষণ না বিসিবির সঙ্গে বসছি ততক্ষণ পর্যন্ত আমি বলতে পারছি না। আমরা যতটুকু শুনেছি তারা সবকিছু নতুনভাবে ফরম্যাট তৈরি করবে। ওইগুলো না দেখে আসলে বলা যাচ্ছে না। আত্মবিশ্বাসের ব্যাপারটা হচ্ছে আমাকে বিশ্লেষণ করতে হবে তারপর বলতে পারব। তাদের ফরম্যাটে এখন যদি আসে ফ্র্যাঞ্চাইজি ১০ কোটি টাকা, লভ্যাংশে কী আসবে না আসবে, না দেখে আমি কিছুই বলতে পারি না।’’
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল ৪৬ ক ট ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
লিফলেট বিতরণে যাওয়া বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে হামলার অভিযোগ
মাদারীপুরের শিবচরে তারেক রহমানের ৩১ দফা–সংবলিত লিফলেট বিতরণের সময় বিএনপির নেতা–কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার রাত আটটার দিকে শিবচর উপজেলার চরশ্যামাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লিফলেট নিয়ে বের হন মাদারীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন ওরফে লাবলু সিদ্দিকীর কর্মী-সমর্থকেরা। শিবচর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ করেন তাঁরা। ফেরার পথে উপজেলার চরশ্যামাইল এলাকায় এলে শিবচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান বাবুল ফকিরের লোকজনের সঙ্গে বিএনপির নেতা–কর্মীদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন বিএনপির নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা চালান বলে অভিযোগ।
এ সময় উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে আহত হন উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন। ভাঙচুর করা হয় পাঁচটি মোটরসাইকেল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিবচর থানা–পুলিশ ও জেলার অতিরিক্ত পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া সুমন আহম্মেদ ও রাশেদ মৃধা বলেন, তারেক রহমানের ৩১ দফা লিফলেট নিয়ে তাঁরা চরশ্যামাইল এলাকার কাজীর দোকান নামক স্থানে এলে আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল ফকিরের ছেলে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা সুমন ফকিরের নেতৃত্বে শতাধিক মানুষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তাঁদের অনেক লোকজন আহত হয়েছেন। মোটরসাইকেল রেখে তাঁদের অনেকে সেখান থেকে ফিরেছেন।
বিএনপি নেতা সাজ্জাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, প্রথমে বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কয়েকজন অনুসারীর কথাকাটাকাটি হয়। পরে বিষয়টি মিটমাটও হয়ে গেছে। লিফলেট বিতরণ শেষ করে মোটরসাইকেল নিয়ে ফেরার সময় রাস্তায় গতিরোধ করে দুই দিক থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ করে। কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। হামলায় যারা আহত বেশির ভাগই বিএনপির কর্মী সমর্থক। তিনি হামলার নিন্দা জানিয়ে জড়িতের বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে বাবলু ফকিরের মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমিসহ অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিই। এ ঘটনায় থানায় এখনো অভিযোগ দেয়নি কেউ। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’