নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ দুই মাদ্রাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের নওপাড়া এলাকা সংলগ্ন পদ্মা নদী থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিখোঁজ হয় তারা।

নিহতরা হলো- উপজেলার নওপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম ছেলে ফরিদ ইসলাম ও ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার দড়িল্লা গ্রামের রবিনের ছেলে গোলাম রাব্বানী।

আরো পড়ুন:

কুমিল্লায় মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার

দিনাজপুরে নিখোঁজের ৩ দিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার, আটক ৬

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদ্রাসার ২০ শিক্ষার্থী একসঙ্গে নদীতে গোসলে নামেন। এ সময় তীব্র স্রোতে দুই জন তলিয়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূর থেকে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

লালপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.

মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা/আরিফুর/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

৫০ পেরিয়েও ‘জ্বলছে’ ‘শোলে’, কেন এখনো নতুন

তখনো ডিজিটাল জমানা আসেনি। গ্রামগঞ্জে ভিসিআর চালিয়ে চলচ্চিত্র দেখানোর চল; টিকিট পাঁচ টাকা। নব্বইয়ের দশকে স্কুল পালিয়ে সিরাজগঞ্জের জামতৈল বাজারে ‘নুন শো’তে দেখা ‘শোলে’ কিশোর মনে যতটা আঁচড় কেটেছিল, আজ এত বছর পরেও তা খুব একটা ফিকে হয়নি।
৫০ বছর। কোনো চলচ্চিত্রের জনপ্রিয়তা পরিমাপে সময়ের এই হিসাবের চেয়ে জুতসই মাপকাঠি আর কীই–বা হতে পারে! এখনো দর্শককে যেভাবে আবিষ্ট করে রেখেছে ‘শোলে’—আবেগে, মুগ্ধতায় তার তুলনা কেউ কেউ ক্ল্যাসিক সাহিত্য বা শিল্পের সঙ্গে টানতে পারেন। এককথায় একে বলিউডের ‘আলটিমেট ফিল্ম’ বললে এতটুকু অত্যুক্তি হবে না। ‘শোলে’ শুধু চলচ্চিত্রই নয়, এটি ভারতীয় সিনেমার মিথ।
রমেশ সিপ্পি পরিচালিত চলচ্চিত্রটিকে শুরুতে সাধারণ অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চার বলেই মনে করা হয়েছিল। তবে কালের চাকায় সমানতালে দৌড়ে এসে এটি এখন ভারতীয় চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম প্রভাবশালী এক নির্মাণ। এর সঙ্গে জুড়ে গেছে ‘কালজয়ী’র তকমা। বহুবার দেখেও তাই পুরোনো হয় না।

কেন এখনো ‘নতুন’? কেননা ‘শোলে’ একটি বৃহৎ সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা। এটিকে বলা চলে একটি পূর্ণাঙ্গ ‘মাসালা ফিল্ম’; যেখানে রোমাঞ্চ, কমেডি, অ্যাকশন, ট্র্যাজেডি, প্রেম, প্রতিশোধ, সর্বোপরি সুর-অসুরের দ্বন্দ্ব—কী নেই!  ‘স্প্যাগেটি ওয়েস্টার্ন’ ঘরানার প্রভাব স্পষ্ট, বিশেষ করে এই ঘরানার জনক সার্জো লেওনের চলচ্চিত্র থেকে যে অনুপ্রাণিত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে আলাদা করে বলার কথাটি হলো ইতালীয় সেই ঘরানাকে পুরোপুরি ভারতীয় বাস্তবতায় রূপান্তরের দুর্দান্ত এক উদাহরণ ‘শোলে’। সেলিম–জাভেদ জুটির চমৎকার চিত্রনাট্যে মহাভারতীয় নৈতিক দ্বন্দ্বের প্রতীকী উপস্থাপন সমসাময়িক ভারতীয় সমাজবাস্তবতার দারুণ এক প্রতিরূপ।

‘শোলো’ সিনেমার পরিবর্ধিত সংস্করণের দৃশ্য। কোলাজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ