দৌলতপুরে বানভাসী মানুষের মাধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
Published: 17th, August 2025 GMT
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চিলমারী ইউনিয়নের কয়েকটি পয়েন্টে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল হাই সিদ্দিকী খাদ্যসমগ্রী বিতরণ করেন।
বিতরণ করা খাদ্যের মধ্যে ছিল- ১০ কেজি চাল, চিড়া, মুড়ি, চিনি এবং ওষুধ।
মানিকের চরের দুই পাড়, রহিম সিকদারের ঘাট ও বাজুমারা চরের একাংশের বানভাসী নারী ও পুরুষের মধ্যে এই ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
এলাকাবাসী জানান, সাহায্য প্রার্থীর চেয়ে সরবরাহকৃত ত্রাণ সামগ্রী অপ্রতুল হওয়ায় অনেককে নিরাশ হয়ে ফিরে যেতে হয়।
ইউএনও মো.
স্থানীয়দের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “আপনারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করুন। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্য করতে প্রস্তুত। বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”
ত্রাণ বিতরণকালে চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মান্নান, চিলমারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. নুরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক নজরুল মেম্বর, ওয়ার্ড মেম্বার শহিদুল, ইসলাম, মেহের সিকদার, রহিম সিকদার ও মহিলা মেম্বার উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ধামইরহাটের ইউএনওর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ
নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে তার কার্যালয় ঘেরাও করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়েছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন উপজেলার মঙ্গলকোটা গ্রামের বাসিন্দারা।
ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বামীর আব্দুল কুদ্দুস বলেছেন, আজ সকাল ১১টায় ইউএনও মঙ্গলকোটা গ্রামে একটি খাস জায়গা দখলমুক্ত করে সেটিকে ধামইরহাট পৌরসভার বর্জ্য রাখার স্থান নির্ধারণ করেন। স্থানীয়রা ওই জায়গাকে বর্জ্য রাখার স্থান করতে বাধা দিলে ইউএনওর সঙ্গে হট্টগোল হয়। আমি মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে ইউএনওর নির্দেশে আমাকে আটক করার চেষ্টা করেন আনসার সদস্য। এ সময় আমার স্ত্রী এসে আমাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলে ইউএনও নিজে আমার স্ত্রীর বুকে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেন এবং লাল নিশান টাঙানো বাঁশের লাঠি দিয়ে আমার স্ত্রীকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট শুরু করেন। প্রতিবেশী সাবিনা ইয়াসমিন বাধা দিতে গেলে ইউএনও তাকেও মারপিট করেন। এতে গুরুতর আহত হয়ে আমার স্ত্রী ও সাবিনা ইয়াসমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন আছেন।
এ বিষয়ে ধামইরহাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হানজালা বলেছেন, পৌরসভার বর্জ্য রাখার স্থান নির্ধারণ নিয়ে স্থানীয়দের সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ঝামেলা হয়। এর জের ধরে গ্রামবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ঘেরাও করেন। পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি।
এ বিষয়ে ইউএনও শাহারিয়ার রহমান বলেছেন, নারীর গায়ে হাত দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। গ্রামবাসী সরকারি কাজে বাধা দিয়েছে। এ থেকে বাঁচার জন্যই তারা নাটক করছে।
ঢাকা/সাজু/রফিক