এবারের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের পথচলা শুরু হয়েছিল গ্রুপ পর্বে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। ওই পর্বের বাকি দুটি ম্যাচও তারা খেলেছিল আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। তাদের তখন ঠিকানাও ছিল ওই শহরেরই হোটেলে।

সুপার ফোরে বাংলাদেশ দুবাইয়ে থেকেই তিনটি ম্যাচ খেলবে। তবে বাংলাদেশকে পড়তে হয়েছে ভিন্ন একটি সমস্যায়—সুপার ফোরে টানা দুই দিনে দুটি ম্যাচ খেলতে হচ্ছে তাদের।

টানা দুটি টি-টোয়েন্টি কিংবা ওয়ানডে খেলা খুবই কঠিন। এটা কোনো ভালো বিষয় নয়, তবে আমরা প্রস্তুত আছি। কিন্তু টানা দুই দিনে দুটি টি-টোয়েন্টি খেলা ন্যায্য নয়। মানুষ যেমনটা ভাবে, কাজটা তার চেয়ে অনেক কঠিন।ফিল সিমন্স, প্রধান কোচ, বাংলাদেশ


কাল দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত। আর পরদিনই তারা খেলবে পাকিস্তানের বিপক্ষে। সুপার ফোরের বাকি তিন দলের কারোই টানা দুই দিন ম্যাচ খেলতে হচ্ছে না। আজ ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এমন সূচি নিয়ে অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন কোচ ফিল সিমন্স, ‘টানা দুটি টি-টোয়েন্টি কিংবা ওয়ানডে খেলা খুবই কঠিন। এটা কোনো ভালো বিষয় নয়, তবে আমরা প্রস্তুত আছি। কিন্তু টানা দুই দিনে দুটি টি-টোয়েন্টি খেলা ন্যায্য নয়। মানুষ যেমনটা ভাবে, কাজটা তার চেয়ে অনেক কঠিন।’

সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে বাংলাদেশ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আখতারের ওপর আ.লীগের হামলার নিন্দা জানিয়েছে ডাকসু

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতারের উপর নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডাকসু।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

আখতার হোসেনের ওপর হামলা ঘটনায় ডাকসুর নিন্দা 

চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ডাকসু নেতাদের সাক্ষাৎ 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সফরসঙ্গীদের ওপর জুলাই গণহত্যা পরিচালনাকারী নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক ও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখ আখতার হোসেনের ওপর সংগঠিত এ হামলা শুধু গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মানবাধিকারের ওপর নগ্ন আঘাতই নয়, বরং ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির জন্য সতর্কবার্তাও বটে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিলম্বিত বিচার প্রক্রিয়াসহ সামাজিক প্রতিরোধ সৃষ্টিতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে না পারায় এমন ন্যাক্কারজনক হামলার সাক্ষী হতে হচ্ছে।

 ডাকসু এই ধরনের বর্বরোচিত ঘটনা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে এবং প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে বলে মনে করে বলে জানানো হয় বিবৃতিতে। 

বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, আমরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সরকার ও যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে, তার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) গণতন্ত্রকামী জনগণ ও ভিন্নমতের প্রতি সহনশীলতার লড়াইয়ে সবসময় দৃঢ় অবস্থানে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে বলে জানানো হয় বিবৃতিতে।
 

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ