প্রতিবেশীর সেপটিক ট্যাংকে মিলল নিখোঁজ শিশুর লাশ
Published: 26th, September 2025 GMT
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে নিখোঁজের দুই দিন পর প্রতিবেশীর বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে তায়েবা নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার সখিপুর থানার ছৈয়াল কান্দি গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে, গত বুধবার থেকে নিখোঁজ ছিল শিশুটি।
আরো পড়ুন:
সরাইলে মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার
ইতালিতে বাংলাদেশি যুবকের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার
নিহত শিশু তায়েবা স্থানীয় টিটু সরদারের মেয়ে এবং দারুন নাজার মাদ্রাসার নার্সারির ছাত্রী ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার বিকেলে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় তায়েবা। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পাশাপাশি মাইকিং ও পোস্টারিং করেন।
শুক্রবার সকালে স্বজন ও এলাকাবাসী পুনরায় শিশুটির খোঁজ শুরু করেন। এ সময় প্রতিবেশী মেসবাহ উদ্দীন মোল্লার সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা খানিকটা খোলা দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয়। পরে সেখানে শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভেদরগঞ্জ সার্কেল) সৌম্য শেখর পাল বলেন, ‘‘শিশুটি নিখোঁজের পর থেকে আমরাও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছি। শুক্রবার দুপুরে প্রতিবেশীর বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে তার মরদেহ পাওয়া গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ঢাকা/আকাশ/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ ধ র মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
শরীয়তপুরে জমি নিয়ে বিরোধে শিশু তায়েবা খুন: এসপি
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলারয় ছয় বছরের কন্যা শিশু তায়েবাকে জমি নিয়ে বিরোধে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ হত্যা মামলায় চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে শরীয়তপুর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সব তথ্য জানান।
আরো পড়ুন:
কুড়িগ্রামে গৃহবধূকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ, বিচার দাবি
পরকীয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে কথা কাটাকাটি, যুবককে কুপিয়ে হত্যা
নিহত তায়েবা ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখীপুর থানার ছৈয়ালকান্দি গ্রামের টিটু সরদারের মেয়ে। ২৪ সেপ্টেম্বর তায়েবা বাড়ির পাশের মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে সখীপুর থানায় নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি করা হয়। নিখোঁজের দুই দিন পর বাড়ির সেফটিক ট্যাঙ্ক থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, আসামি নাছিমার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অনুযায়ী তিনি নিজে, শাহনাজ বেগম, তায়েবার চাচি আয়েশা বেগম ও আসিফ বেপারী হত্যায় জড়িত রয়েছে। তারা তায়েবাকে গলাটিপে এবং গলায় ব্লাউজ পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর তার লাশ পাশের বাড়ির সেফটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেয়। তায়েবার কানে থাকা বিক্রি করা স্বর্ণের দুল জব্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ সুপার আরো জানান, তায়েবার পরিবারের সঙ্গে আসামি তার চাচি আয়েশা বেগমের পরিবারের জমি সংক্রান্ত ও পারিবারিক বিরোধ ছিল। সে কারণে হত্যার করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আসামি নাছিমা, শাহনাজ বেগম, আয়েশা বেগম ও আসিফ বেপারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঢাকা/আকাশ/বকুল