মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর (ডিআর কঙ্গো) সাবেক প্রেসিডেন্ট জোসেফ কাবিলাকে যুদ্ধাপরাধ ও রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সেনাবাহিনীর একটি আদালত ৫৪ বছর বয়সী কাবিলাকে তার অনুপস্থিতিতেই এই রায় ঘোষণা করে। খবর আলজাজিরার। 

সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে রুয়ান্ডা-সমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। মঙ্গলবার দেওয়া রায়ে কাবিলাকে রাষ্ট্রদ্রোহ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে হত্যা, যৌন সহিংসতা, নির্যাতন এবং বিদ্রোহে উসকানি দেওয়ার মতো গুরুতর বিষয় রয়েছে।

জোসেফ কাবিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তিনি পূর্ব কঙ্গোতে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম২৩-কে সাহায্য করেছেন। তবে কাবিলা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং আদালতে হাজির হননি। উল্টো তিনি আদালতকে দমননীতির হাতিয়ার বলে আখ্যা দিয়েছেন। বর্তমানে তার অবস্থান অজানা।

কঙ্গোর বর্তমান প্রেসিডেন্ট সিসেকেদি অভিযোগ করেন, কাবিলাই এম২৩ বিদ্রোহীদের মূল পরিকল্পনাকারী। এরপর সিনেট তার সাংবিধানিক দায়মুক্তি প্রত্যাহার করে নেয়, যার ফলে তার বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার পথ খুলে যায়।

এই বছর এম২৩ বিদ্রোহীরা দেশের খনিজসমূদ্ধ পূর্বাঞ্চলের একটি বড় অংশ দখল করে নেয়। দখলকৃত এলাকার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ গোমা ও বুকাভু শহর এবং দুটি বিমানবন্দরও রয়েছে।

জাতিসংঘসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ অভিযোগ করেছে যে, প্রতিবেশী দেশ রুয়ান্ডা এম২৩-কে সমর্থন দিচ্ছে এবং কঙ্গোতে হাজার হাজার সেনা পাঠিয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে কঙ্গোর সাবেক প্রেসিডেন্ট কাবিলার মৃত্যুদণ্ড

মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর (ডিআর কঙ্গো) সাবেক প্রেসিডেন্ট জোসেফ কাবিলাকে যুদ্ধাপরাধ ও রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সেনাবাহিনীর একটি আদালত ৫৪ বছর বয়সী কাবিলাকে তার অনুপস্থিতিতেই এই রায় ঘোষণা করে। খবর আলজাজিরার। 

সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে রুয়ান্ডা-সমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। মঙ্গলবার দেওয়া রায়ে কাবিলাকে রাষ্ট্রদ্রোহ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে হত্যা, যৌন সহিংসতা, নির্যাতন এবং বিদ্রোহে উসকানি দেওয়ার মতো গুরুতর বিষয় রয়েছে।

জোসেফ কাবিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তিনি পূর্ব কঙ্গোতে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম২৩-কে সাহায্য করেছেন। তবে কাবিলা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং আদালতে হাজির হননি। উল্টো তিনি আদালতকে দমননীতির হাতিয়ার বলে আখ্যা দিয়েছেন। বর্তমানে তার অবস্থান অজানা।

কঙ্গোর বর্তমান প্রেসিডেন্ট সিসেকেদি অভিযোগ করেন, কাবিলাই এম২৩ বিদ্রোহীদের মূল পরিকল্পনাকারী। এরপর সিনেট তার সাংবিধানিক দায়মুক্তি প্রত্যাহার করে নেয়, যার ফলে তার বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার পথ খুলে যায়।

এই বছর এম২৩ বিদ্রোহীরা দেশের খনিজসমূদ্ধ পূর্বাঞ্চলের একটি বড় অংশ দখল করে নেয়। দখলকৃত এলাকার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ গোমা ও বুকাভু শহর এবং দুটি বিমানবন্দরও রয়েছে।

জাতিসংঘসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ অভিযোগ করেছে যে, প্রতিবেশী দেশ রুয়ান্ডা এম২৩-কে সমর্থন দিচ্ছে এবং কঙ্গোতে হাজার হাজার সেনা পাঠিয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ