খুলনায় গলাকেটে বাবাকে হত্যার অভিযোগ ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে
Published: 3rd, October 2025 GMT
খুলনায় লিটন খান নামে এক মাছ ব্যবসায়ীকে শ্বাসরোধ ও গলাকেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাতে নগরীর সোনাডাঙ্গা বসুপাড়ার বাঁশতলা মোড়ের বরকতিয়া মসজিদ এলাকার নিজ বাড়িতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তিনি। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক। চারদিন আগে তারা ঢাকা থেকে খুলনায় আসেন।
আরো পড়ুন:
শরীয়তপুরে জমি নিয়ে বিরোধে শিশু তায়েবা খুন: এসপি
কুড়িগ্রামে গৃহবধূকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ, বিচার দাবি
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে লিটন খানের স্ত্রী বাইরে যান। এ সময় বাড়িতে লিটন, তার ছেলে আবু বক্কার সিদ্দিক লিমন ও পুত্রবধূ চাঁদনী ছিলেন। রাত ১১টার দিকে বাড়ি ফিরে দরজা বাইরে থেকে তালা লাগানো অবস্থায় পান লিটনের স্ত্রী। তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করলে তিনি মেঝেতে স্বামীর মরদেহ দেখতে পান। এ সময় লিটনের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত এবং গলায় ওড়না প্যাঁচানো দেখতে পান তিনি। পাশে রক্তমাখা বটি পড়ে ছিল।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন জানান, লিটন খান সম্প্রতি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। ওই টাকা থেকে ছেলে লিমন ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। ছেলে নেশাগ্রস্ত হওয়ায় লিটন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান।
তিনি আরো জানান, ধারণা করা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার রাতে লিটনের স্ত্রী বাইরে গেলে সুযোগটি কাজে লাগান ছেলে লিমন ও তার স্ত্রী চাঁদনী। প্রথমে তারা লিটন খানকে গলায় ফাঁস দিয়ে ও পরবর্তীতে মৃত্যু নিশ্চিত করতে ঘরে থাকা বটি দিয়ে গলাকেটে হত্যা করেন। ঘটনার পর থেকেই তারা পলাতক।
ওসি কবির হোসেন জানান, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বটি উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য অভ য গ ল টন খ ন
এছাড়াও পড়ুন:
কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়
চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।
এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।
গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।