রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্রপ্রতিনিধি নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচারণার নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে ১৪ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থীরা।

আজ শনিবার রাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এফ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এ বিষয়ে রাকসুর কোষাধ্যক্ষ ও প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা সেতাউর রহমান বলেন, আগে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত প্রচারণা চালানো যেত। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। শুধু শেষ দিন, অর্থাৎ ১৪ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থীরা।

গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত রাকসু নির্বাচন কমিশনের জরুরি সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ অক্টোবরের নির্বাচন সামনে রেখে ৫ অক্টোবর সকাল ৮টা থেকে ১৪ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত প্রচারণা কার্যক্রমের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগের মতোই আচরণবিধি যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

প্রথমে রাকসু নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল গত ২৫ সেপ্টেম্বর। কিন্তু ১৮ সেপ্টেম্বর প্রশাসন ১০টি শর্তে পোষ্য কোটা ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। ২০ সেপ্টেম্বর জুবেরী ভবনে শিক্ষক–কর্মকর্তাদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম ও কর্মকর্তা–কর্মচারীরা কর্মবিরতিতে যান। ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।

পরিস্থিতি বিবেচনায় ২২ সেপ্টেম্বর জরুরি সভা করে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পিছিয়ে ১৬ অক্টোবর করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২৪ সেপ্টেম্বর কর্মকর্তা–কর্মচারীরা সাত দিনের সময়সীমা দিয়ে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন এবং জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম ও ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব) দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাসে কর্মবিরতি স্থগিত করে।

২৯ সেপ্টেম্বর থেকে শারদীয় দুর্গোৎসবের ছুটি থাকায় বেশির ভাগ শিক্ষার্থী বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। ২ অক্টোবর পর্যন্ত দুর্গাপূজার ছুটি শেষে শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে ক্যাম্পাসে ফিরছেন। আগামীকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস, পরীক্ষা ও দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স প ট ম বর কর মকর ত

এছাড়াও পড়ুন:

ইলিশের আহরণ কমায় জেলেদের হতাশা, ক্রেতার অতৃপ্তি

৪ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর এই ২২ দিন সারাদেশে নদ নদীতে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগে শুক্রবার বিকেলে মাছ ধরার ট্রলারে ৫০০ থেকে ৬০০ কেজি ইলিশ বরিশালের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এসেছে।

ক্রেতাদের অতৃপ্তি আর ব্যবসায়ী–জেলেদের হতাশার মধ্যেই শেষ হচ্ছে এবারের ইলিশের মৌসুম। আহরণ কমায় ইলিশের দাম ছিল চড়া। এ কারণে এবার বেশির ভাগ মানুষের পাতেই ওঠেনি জাতীয় মাছ। কাঙ্ক্ষিত মাছ না পেয়ে হতাশ হয়েছেন জেলে ও ব্যবসায়ীরা।

এরই মধ্যে মা ইলিশ রক্ষায় আজ শনিবার (৪ অক্টোবর) থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। এ সময়ে ইলিশ ধরা, পরিবহন, মজুত, বাজারজাত ও বিক্রি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ। মা ইলিশ রক্ষা করতে বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত বছর নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছিল ১২ অক্টোবর থেকে। তবে এ বছর তা এগিয়ে আনা হয়েছে। এতে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা পুনর্বিবেচনার দাবি তুলেছেন জেলেরা।

মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, প্রতিবছর আশ্বিন মাসের অমাবস্যা ও পূর্ণিমার মধ্যবর্তী সময়কে সামনে রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সময় সমুদ্র থেকে ডিম ছাড়তে মা ইলিশ নদীতে আসে। মা ইলিশ ধরা হলে ভবিষ্যতে উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, এবার কাঙ্ক্ষিত ইলিশ জালে ধরা দেয়নি। তাই জেলে, ব্যবসায়ী ও ট্রলারমালিকেরা লোকসানে আছেন। তার ওপরে এবার আট দিন আগে নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ায় এই লোকসানের বোঝা আরও ভারী হবে। এ জন্য সময়সীমা পুনর্বিবেচনা করা উচিত।

নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগে জমজমাট চাঁদপুর শহরের বড়স্টেশন মাছঘাট। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইলিশের আহরণ কমায় জেলেদের হতাশা, ক্রেতার অতৃপ্তি