সুগারমিলের অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া পরিশোধের দাবি
Published: 19th, October 2025 GMT
দেশের বিভিন্ন চিনিকলের অবসরপ্রাপ্ত তিন হাজার শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তার ২১২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা বকেয়া গ্রাচুইটিসহ বিভিন্ন পাওনাদি পরিশোধের দাবিতে নাটোরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। পরে শিল্প উপদেষ্টা বরাবর নাটোর সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আখলাছুর রহমানের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা কল্যাণ পরিষদ।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ১১টার দিকে নাটোর সুগার মিলের ফটকে বিক্ষোভ করেন পরিষদের সদস্যরা।
আরো পড়ুন:
বাসায় ফেরার পথে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার সামনে বিক্ষোভ
বক্তারা বলেন, নাটোরের ৪০৭ জন শ্রমিকের বকেয়া প্রায় ৩৩ কোটি টাকা। দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া অর্থ হাতে না পাওয়ায় অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ অবস্থায় দ্রুত বকেয়া পরিশোধের পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় দুইটি উৎসব ভাতা, বৈশাখী ভাতা ও চিকিৎসা ভাতা নিশ্চিতের আহ্বান জানান তারা।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- নাটোর সুগার মিলস অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারী, কর্মকর্তা কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আলাউদ্দিন প্রাং, সাধারণ সম্পাদক মো.
ঢাকা/আরিফুল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন তারেক রহমান
অবসরপ্রাপ্ত শতাধিক সামরিক বাহিনীর সদস্যের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ মঙ্গলবার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে ওই সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তারেক রহমান। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে মেজর জেনারেল (অব.) সাদিক হাসান রুমির কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা কর্মকর্তা প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক ছিলেন।
পূর্বনির্ধারিত এই বৈঠকে ১০১ জন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক বাহিনীর সদস্য উপস্থিত ছিলেন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সভা পরিচালনা করেন মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর।
অবসরপ্রাপ্ত সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের সামনে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়ার পর তারেক রহমান বলেন, ‘স্ক্রিনে এখানে আমি একজনকে দেখতে চাচ্ছি। এটা একান্ত একটু পার্সোনাল ব্যাপার, তারপরেও আমি, সবাই আছেন, একান্ত পার্সোনাল ব্যাপার, তারপরে আমি একটু এখানে উল্লেখ করতে চাচ্ছি। আমাদের সামনে এখানে আম্মার (খালেদা জিয়া) সময় ছিলেন উনি ডিজিএফআইয়ে ছিলেন রুমি সাহেব ছিলেন। রুমি সাহেব উপস্থিত আছেন।’ তখন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের সারিতে থাকা সাদিক হাসান রুমি জবাব দেন, ‘জি আছি।’
এরপর তারেক রহমান বলেন, ‘রুমি সাহেব আপনার নিশ্চয় মনে আছে যে একটা মিছিল হয়েছিল একবার, সেই পুরান ঢাকা থেকে আমিন বাজারে এবং পুরা মিছিলটা আমি হেঁটে এসেছিলাম, আম্মাও (খালেদা জিয়া) ছিলেন সেই মিছিলে। তো সেই মিছিলে অনেক ভিড় হট্টগোল। আপনি আমাকে একটা কোনো কিছু বলেছিলেন। আই অ্যাম ভেরি সরি, আমি সেদিন আপনার সাথে একটু রূঢ় ব্যবহার করেছিলাম। সবকিছু মিলে আই অ্যাম ভেরি সরি ফর দ্যাট। আমি অনেক দিন চেষ্টা করেছি আপনাকে রিচ করার জন্য। আই রিকোয়েস্ট মাই অ্যাপোলজি। আমি সুযোগ পাইনি। আজকে সুযোগ পেয়েছি। আই অ্যাম রিয়েলি সরি ফর দ্যাট।’
এ সময় জবাবে মেজর জেনারেল (অব.) সাদিক হাসান রুমি বলেন, ‘আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। যেটা বলেছেন থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ, আই উইল রিমেম্বার ইট।’
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী। অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে বক্তব্য দেন মেজর জেনারেল (অব.) জামিল ডি আহসান, মেজর (অব.) রেজা করিম, মেজর (অব.) সামসুজ্জোহা, মেজর (অব.) জামাল হায়দার, মেজর (অব.) আজিজুল হক, কর্নেল (অব.) হারুনুর রশিদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শামসুজ্জোহা, এয়ার কমোডর (অব.) শফিক আহমেদ, রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মোস্তাফিজ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) জয়নাল আবেদীন, কর্নেল (অব.) জগলুল, লেফটেন্যান্ট (অব.) ইমরান কাজল, মেজর (অব.) গোলাম মান্নান চৌধুরী, ক্যাপ্টেন (অব.) রেজাউর রহমান ও কর্নেল (অব.) হান্নান মৃধা।