সিলেটে তুচ্ছ ‌ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারধরের শিকার হওয়ার পর চি‌কিৎসাধীন অবস্থায় এক বিএন‌পি নেতার মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার পীরের বাজার এলাকায় মারধরের এই ঘটনা ঘটে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে চি‌কিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত আবদুর রহমান (৬৫) খাদিমপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পীরের বাজার এলাকার বা‌সিন্দা।

স্থানীয় ও পু‌লিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেলে পীরের বাজার সড়কের পাশে প্রস্রাব করছিলেন সুমন আহমদ নামের এক যুবক। সে সময় আবদুর রহমান ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। সড়কের পাশে প্রস্রাব করার বিষয়টি নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আবদুর রহমানের ছেলে এ ঘটনায় জ‌ড়িয়ে সুমনকে মারধর করেন। এ সময় সুমনও ইট দিয়ে আবদুর রহমানের মাথায় আঘাত করেন। পরে দুজনকেই আহত অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মে‌ডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভ‌র্তি করা হয়। আজ বৃহস্প‌তিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবদুর রহমানের মৃত্যু হয়। দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ প‌রিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে আজ বৃহস্প‌তিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে আবদুর রহমানের মরদেহ দাফন করার পর স্থানীয় বা‌সিন্দারা তাঁর হত‌্যাকারীকে গ্রেপ্তারের দা‌বি জা‌নিয়ে পীরের বাজার এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত সুমন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত মামলা হয়নি। রাতে বিক্ষুব্ধদের সান্ত্বনা দিয়ে প‌রি‌স্থি‌তি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। ঘটনায় জ‌ড়িত ব‌্যক্তিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আবদ র রহম ন র ঘটন য় ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান নাম নিয়ে যারা ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বদদ্বীনি, কুফরি ও ভ্রান্ততার বিরুদ্ধে উলামায়ে কেরামকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে যারা মুসলমান নাম নিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে হেফাজত আমির এ কথা বলেন। জাতীয় উলামা কাউন্সিল বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে ‘জাতীয় উলামা সম্মেলন-২০২৫’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।

জাতীয় উলামা কাউন্সিলের সভাপতি ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ‘অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে অনেক আলেম-উলামা অংশ নেবেন। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আগামী জাতীয় নির্বাচনে উলামায়ে কেরামের পরস্পরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কাম্য নয়।’

সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘ইসলামি রাজনীতিতে সব সময় প্রতিপক্ষের মুখোমুখি দাঁড়ানো যায় না। সঠিক সময়ের অপেক্ষা করে লক্ষ্য অর্জনের জন্য ভূমিকা রাখতে হয়। আজ ইসলামি রাজনীতির সোনালি সময় চলছে। আমরা যদি সুযোগ কাজে না লাগাই, তাহলে সামনে বড় ধরনের ভোগান্তি তৈরি হবে।’

মুন্সিগঞ্জের জামি’আ ইসলামিয়া হালীমিয়া মাদ্রাসার প্রধান ও মধুপুরের পীর মাওলানা আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমরা প্রয়োজনে বাতিলের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়তে লড়তে মরব, কিন্তু বিভক্ত হব না ইনশা আল্লাহ।’ তিনি বলেন, ১৬ নভেম্বরের কাদিয়ানিবিরোধী আন্দোলন শেষ হয়নি, শুরু হয়েছে মাত্র। সরকারকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, পরেরবার আর সুযোগ দেওয়া হবে না।

হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। যারা কাজ করতে চায়, তাদের বাধা দেব না। আমরা নিজেরা নিজেদের শত্রু হব না, ইনশা আল্লাহ।’

সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমাদ, জাতীয় উলামা কাউন্সিলের মহাসচিব মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাওলানা সালাহুদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা মুশতাক আহমদ প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ