গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩৩
Published: 20th, November 2025 GMT
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৩ জন নিহত এবং আরো অনেকে আহত হয়েছেন। গত মাসে মার্কিন-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। চিকিৎসা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে।
খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়কেন্দ্রে চারটি ইসরায়েলি বিমান হামলার পর তারা পাঁচ নারী এবং পাঁচ শিশুসহ ১৭ জনের মৃতদেহ পেয়েছেন।
গাজা সিটিতে, চিকিৎসা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুটি বিমান হামলায় সাতজন শিশু এবং তিনজন নারীসহ ১৬ জন নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েল জানিয়েছে, বুধবার খান ইউনিসে তাদের সেনাদের লক্ষ্য গুলি করার পর তারা এই হামলা শুরু করেছে।
হামাস ইসরায়েলি হামলাকে ‘মর্মান্তিক গণহত্যা’ বলে নিন্দা জানিয়েছে এবং ইসরায়েলি সেনাদের উপর গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করেছে।
গাজার ফিলিস্তিনিরা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
দুই বছরের যুদ্ধের সময় প্রধান মধ্যস্থতাকারী কাতার ‘নৃশংস’ ইসরায়েলি বিমান হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি ‘একটি বিপজ্জনক বৃদ্ধি যা যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে দুর্বল করার হুমকি।’
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত ইসর য
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান নাম নিয়ে যারা ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বদদ্বীনি, কুফরি ও ভ্রান্ততার বিরুদ্ধে উলামায়ে কেরামকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে যারা মুসলমান নাম নিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে হেফাজত আমির এ কথা বলেন। জাতীয় উলামা কাউন্সিল বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে ‘জাতীয় উলামা সম্মেলন-২০২৫’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।
জাতীয় উলামা কাউন্সিলের সভাপতি ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ‘অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে অনেক আলেম-উলামা অংশ নেবেন। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আগামী জাতীয় নির্বাচনে উলামায়ে কেরামের পরস্পরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কাম্য নয়।’
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘ইসলামি রাজনীতিতে সব সময় প্রতিপক্ষের মুখোমুখি দাঁড়ানো যায় না। সঠিক সময়ের অপেক্ষা করে লক্ষ্য অর্জনের জন্য ভূমিকা রাখতে হয়। আজ ইসলামি রাজনীতির সোনালি সময় চলছে। আমরা যদি সুযোগ কাজে না লাগাই, তাহলে সামনে বড় ধরনের ভোগান্তি তৈরি হবে।’
মুন্সিগঞ্জের জামি’আ ইসলামিয়া হালীমিয়া মাদ্রাসার প্রধান ও মধুপুরের পীর মাওলানা আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমরা প্রয়োজনে বাতিলের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়তে লড়তে মরব, কিন্তু বিভক্ত হব না ইনশা আল্লাহ।’ তিনি বলেন, ১৬ নভেম্বরের কাদিয়ানিবিরোধী আন্দোলন শেষ হয়নি, শুরু হয়েছে মাত্র। সরকারকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, পরেরবার আর সুযোগ দেওয়া হবে না।
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। যারা কাজ করতে চায়, তাদের বাধা দেব না। আমরা নিজেরা নিজেদের শত্রু হব না, ইনশা আল্লাহ।’
সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমাদ, জাতীয় উলামা কাউন্সিলের মহাসচিব মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাওলানা সালাহুদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা মুশতাক আহমদ প্রমুখ।