চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মাদকবিরোধী অভিযানে যাওয়া এক পুলিশ সদস্যকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী ওই পুলিশ সদস্যের নাম আতাউর রহমান। তিনি নাচোল থানায় এসআই পদে কর্মরত।

আরো পড়ুন:

নোয়াখালীতে মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত নারী গ্রেপ্তার

তামাক নিয়ন্ত্রণে বিনোদন সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার হাকরইল-পূর্বপাড়ায় তাকে আটকে রেখে গ্রামবাসী লাঞ্ছিত করে বলে জানা গেছে।

তবে এ ঘটনা অস্বীকার করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এএনএম ওয়াসিম ফিরোজ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে এসআই আতাউর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল নাচোলের হাকরইল-পূর্বপাড়া এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালায়। অভিযানে একটি বাড়ি থেকে আনুমানিক ৫০ লিটার চোলাইমদ উদ্ধার করা হয়।

এ সময় পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সী মজিবুর রহমানকে পথে দেখতে পেয়ে এসআই আতাউর রহমান তার কাছে এলাকায় চোলাইমদ কারবার করে এমন তথ্য জানতে চান। তিনি এসব বিষয়ে জানেন না বলে জানালেও এসআই তাকে পিকআপে তোলার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করে বলেন, মজিবুরকে পিকআপে তুলতে গেলে স্থানীয় গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে এর তীব্র প্রতিবাদ জানান। এ সময় এসআই আতাউর রহমান গ্রামবাসীদের প্রতি ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। এতে গ্রামবাসী তার ওপর চড়াও হয় এবং তাকে আটকে রেখে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। ওই সময় তার সঙ্গে থাকা অন্য পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।

এ খবর পেয়ে কিছু সময় পর অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অবরুদ্ধ এসআই আতাউর রহমানকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

এদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এএনএম ওয়াসিম ফিরোজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনাটি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।

তিনি বলেন, “নাচোল থানা পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করতে যায়। অভিযানে একজনকে গ্রেপ্তারের পর স্থানীয়রা ওই ব্যক্তিকে নির্দোষ দাবি করে। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”

“কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি, পুলিশও ঘটনাস্থল থেকে ব্যাক চলে আসে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে,” বলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

ঢাকা/মেহেদী/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ প ইনব বগঞ জ গ র মব স

এছাড়াও পড়ুন:

সিরাজদিখানে পুলিশের সামনে ছাত্রলীগ-যুবলীগের মিছিল, এসআই প্রত্যাহার

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় শেখ হাসিনার রায়ের প্রতিবাদে পুলিশের টহল দলের সামনে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের ইমামগঞ্জ বাজারে এ মিছিল করেন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা।

এ ঘটনায় পুলিশের এক উপপরিদর্শককে (এসআই) প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাঁর নাম কামরুজ্জামান সিকদার। তাঁকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন জানান, সিরাজদিখান উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে আজ সকাল ৯টার দিকে ইমামগঞ্জ বাজারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলে কার্যক্রম-নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অর্ধশত নেতা-কর্মী অংশ নেন। মিছিলে গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের প্রতিবাদে স্লোগান দেওয়া হয়। মিছিলটি ইমামগঞ্জ বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করার সময় সেখানে টহলরত পুলিশের একটি গাড়ি ছিল। তবে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ ঘটনা জানাজানি হলে টহলের দায়িত্বে থাকা সিরাজদিখান থানার উপপরিদর্শক কামরুজ্জামান সিকদারকে প্রত্যাহার করা হয়।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, মিছিলটি তাৎক্ষণিক হয়ে যায়। তখন ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পুলিশের একটি টহল গাড়ি যাচ্ছিল। পুলিশ কর্মকর্তা কিছু বুঝে ওঠার আগেই মিছিলের লোকজন পালিয়ে যান। এ ঘটনার পর এসআই কামরুজ্জামানকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে নেওয়া হয়েছে। মিছিলে থাকা তিনজনকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্বীকারোক্তি দিতে চেয়েও খাসকামরায় গিয়ে মত পাল্টালেন তিন আসামি
  • রাজধানীতে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির দুই ভবনের মাঝ থেকে শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
  • ‘রাজসাক্ষী’ হিসেবে আরেক পুলিশ সদস্যের জবানবন্দি
  • পুলিশের সামনে ছাত্রলীগ-যুবলীগের মিছিল, এসআইসহ ক্লোজড ৩
  • সিরাজদিখানে পুলিশের সামনে ছাত্রলীগ-যুবলীগের মিছিল, এসআই প্রত্যাহার