দেশে এক দিনের ব্যবধানে সোনার দাম কমেছে। এ দফায় ভরিপ্রতি দাম কমেছে ১ হাজার ৩৫৩ টাকা। তাতে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে প্রায় ২ লাখ ৮ হাজার টাকা। কাল শুক্রবার থেকে সারা দেশে নতুন এ দর কার্যকর হবে।

জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) আজ বৃহস্পতিবার রাতে সোনার দাম কমানোর এ ঘোষণা দিয়েছে। সর্বশেষ আজ সকালে সোনার দাম বেড়েছিল সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬১২ টাকা। কয়েক দিন ধরে এভাবেই চলছে। এক দিন বাড়ছে তো আরেক দিন কমছে।

জুয়েলার্স সমিতি বলেছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (খাঁটি সোনা) মূল্য হ্রাস পেয়েছে। এ কারণে দাম সমন্বয় করা হয়েছে। মূলত বৈশ্বিক বাজারে সোনার দাম সামান্য কমায় দেশেও কমানো হয়েছে। যদিও বৈধভাবে সোনার আমদানি খুবই কম। ব্যাগেজ রুলসের আওতায় বিদেশ থেকে সোনা আসে।

কয়েক মাস ধরেই সোনার দাম উত্থান–পতনের মধ্যে রয়েছে। গত ১৭ অক্টোবর দেশে সোনার দাম বেড়ে ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকায় দাঁড়িয়েছিল, যা এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে সর্বোচ্চ দাম।

নতুন দাম অনুযায়ী, কাল থেকে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম কমে ২ লাখ ৮ হাজার ১৬৭ টাকা হবে। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনা ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৭০ হাজার ৩১৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪১ হাজার ৬৪৮ টাকা হবে।

আজ পর্যন্ত ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনা ২ লাখ ৯ হাজার ৫২০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ লাখ ৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৭১ হাজার ৪২৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৪২ হাজার ৫৯২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আজ থেকে ২২ ক্যারেটের ভরিতে সোনা ১ হাজার ৩৫৩ টাকা, ২১ ক্যারেটে ১ হাজার ৩০৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটে ১ হাজার ১০৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম কমছে ৯৪৪ টাকা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ২২ ক য র ট র স ন র দ ম কম

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান নাম নিয়ে যারা ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বদদ্বীনি, কুফরি ও ভ্রান্ততার বিরুদ্ধে উলামায়ে কেরামকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে যারা মুসলমান নাম নিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে হেফাজত আমির এ কথা বলেন। জাতীয় উলামা কাউন্সিল বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে ‘জাতীয় উলামা সম্মেলন-২০২৫’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।

জাতীয় উলামা কাউন্সিলের সভাপতি ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ‘অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে অনেক আলেম-উলামা অংশ নেবেন। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আগামী জাতীয় নির্বাচনে উলামায়ে কেরামের পরস্পরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কাম্য নয়।’

সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘ইসলামি রাজনীতিতে সব সময় প্রতিপক্ষের মুখোমুখি দাঁড়ানো যায় না। সঠিক সময়ের অপেক্ষা করে লক্ষ্য অর্জনের জন্য ভূমিকা রাখতে হয়। আজ ইসলামি রাজনীতির সোনালি সময় চলছে। আমরা যদি সুযোগ কাজে না লাগাই, তাহলে সামনে বড় ধরনের ভোগান্তি তৈরি হবে।’

মুন্সিগঞ্জের জামি’আ ইসলামিয়া হালীমিয়া মাদ্রাসার প্রধান ও মধুপুরের পীর মাওলানা আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমরা প্রয়োজনে বাতিলের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়তে লড়তে মরব, কিন্তু বিভক্ত হব না ইনশা আল্লাহ।’ তিনি বলেন, ১৬ নভেম্বরের কাদিয়ানিবিরোধী আন্দোলন শেষ হয়নি, শুরু হয়েছে মাত্র। সরকারকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, পরেরবার আর সুযোগ দেওয়া হবে না।

হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। যারা কাজ করতে চায়, তাদের বাধা দেব না। আমরা নিজেরা নিজেদের শত্রু হব না, ইনশা আল্লাহ।’

সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমাদ, জাতীয় উলামা কাউন্সিলের মহাসচিব মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাওলানা সালাহুদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা মুশতাক আহমদ প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ