সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘‘গত ১৭ বছরে দেশের ৯৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে আড়াই লাখ করা হয়েছে বলে মুক্তিযোদ্ধারা যথাযথ সম্মান পাননি। আড়াই লাখ মুক্তিযোদ্ধা যদি যুদ্ধ করত, তাহলে দেশ স্বাধীন করতে ৯ মাস সময় লাগত না।’’

১৯৭১ সালের ২০ নভেম্বর সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ, শ্যামনগর ও দেবহাটা অঞ্চল শত্রু মুক্ত হয়। এ মুক্তদিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকাল ১১টায় কালীগঞ্জ উপজেলা মাঠে এ মিলনমেলা হয়।

আরো পড়ুন:

বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নানা সাজিয়ে পুলিশে চাকরি

৭১-এর মতো ২৪-এ বুক পেতে দিয়েছেন বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী: হাফিজ

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। মিলনমেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ডা.

মো. শাহ জাহান।

৯নং সেক্টরের সহ-অধিনায়ক ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে মিলনমেলায় বক্তব্য রাখেন, ৯নং সেক্টরের কোম্পানী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. আহসান উল্যাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল এম এস একে আজাদ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সদস্য এবং খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল্লাহ হিল সাফি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাতক্ষীরা জেলা ইউনিট কমান্ডের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কালীগঞ্জ সার্কেল) মো. রাজীব, কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা মনোরঞ্জন মন্ডল প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শিক্ষক ও সাংবাদিক এসএম শহীদুল ইসলাম। 

এ সময় বক্তারা বলেন, ‘‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা যদি না থাকত তাহলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সোনার খাট উপহার দেওয়া যেত। আর তাই বর্তমান সরকার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়নে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।’’

বক্তারা আরো বলেন, ‘‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সূর্য সন্তানদের নিয়ে দলীয়করণ করার কারণে এবং ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকার কারণে সারা দেশে ৫৪টি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আক্রান্ত হয়েছে। সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ও মর্যাদা সমুন্নত করতে উদ্যোগ নিয়েছে।’’

অতিথিরা এ সময় একাত্তরের অগ্নিঝরা দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করেন। মিলনমেলায় পাঁচ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা অংশ নেন।

ঢাকা/শাহীন/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবসরপ র প ত ম লনম ল কম ন ড

এছাড়াও পড়ুন:

মিরসরাইয়ে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্টের ঘরে ডাকাতি

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মো. আবু সুফিয়ান নামে অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সার্জেন্টের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের মাছুমের তালুক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতেরা ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার, টাকা ও মুঠোফোন লুট করেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় সরেজমিনে দেখা যায়, মো. আবু সুফিয়ানের একতলা পাকা বাড়ির সদর দরজার তালা ভাঙা। এ তালা ভেঙেই ডাকাত দলের সদস্যরা ভেতরে প্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ করেন সুফিয়ান। ঘরের অন্তত চারটি কক্ষের আলমারিসহ বিভিন্ন আসবাব তছনছ হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

জানতে চাইলে মো. আবু সুফিয়ান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘরে দুই ছেলের স্ত্রী, তাঁদের দুই শিশুকন্যা এবং আমি ও আমার স্ত্রী ঘরে ছিলাম। দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঘরের সদর দরজার তালা ভেঙে দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ সাত ডাকাত ঘরে ঢোকে। তারা প্রথমেই আমার কক্ষে প্রবেশের পর গলায় ছুরি ধরে আমাকে জিম্মি করে রাখে। এরপর আমার হাত বেঁধে অন্যান্য কক্ষে প্রবেশের পর লুটপাট শুরু করে।’

স্বর্ণালংকার দেরিতে দেওয়ায় দুই পুত্রবধূকে মারধর করা হয়েছে জানিয়ে আবু সুফিয়ান বলেন, ‘ডাকাতেরা আমার দুই ছেলের স্ত্রীকে মারধর ও তাঁদের ছোট শিশুদের গলা টিপে ধরে। আধা ঘণ্টার মধ্যে তারা ঘরের বিভিন্ন কক্ষের আলমারি ভেঙে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার, ২৫ হাজার ৭০০ টাকা, চারটি মুঠোফোন ও একটি ঘড়ি নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করব।’

জানতে চাইলে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘খবর পেয়ে রাতেই আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অপরাধীদের ধরতে অভিযান চলছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মিরসরাইয়ে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্টের ঘরে ডাকাতি