কলেজজীবনে মেধাবী ও কৃতী ছাত্রী ছিলেন কৃতি শ্যানন। ইলেকট্রনিকস ও কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তাঁর স্নাতক ডিগ্রি আছে। ১২ থেকে ১৪ অক্টোবর বার্লিনে অনুষ্ঠিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনেও রাখলেন মেধার সুস্পষ্ট ছাপ। সম্মেলনের শেষ দিনের শেষ কি–নোট অধিবেশনে তিনি ছিলেন বিশেষ বক্তা। নারীস্বাস্থ্য নিয়ে তাঁর বক্তব্য, বিশ্লেষণ ছিল পেশাদার গবেষক বা স্বাস্থ্যচিন্তকের মতো। বলে না দিলে বোঝা মুশকিল ছিল, তিনি এই সময়ের বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা।

ভারতে লিঙ্গসমতা বিষয়ে প্রচারের জন্য কৃতি শ্যাননকে শুভেচ্ছাদূত করেছে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ)। এ সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবেই বার্লিন স্বাস্থ্য সম্মেলনে এসেছিলেন এই বলিউড তারকা। ‘ভারতীয় চলচ্চিত্রশিল্পে একজন অভিনেত্রী ও প্রযোজক হিসেবে আমি গল্প বলার মধ্য দিয়ে আমার কর্মজীবন তৈরি করেছি। এমন সব গল্প, যা মানুষকে হাসাতে, কাঁদাতে এবং কখনো কখনো পৃথিবীকে ভিন্নভাবে দেখতে সাহায্য করে,’ সম্মেলনের কেন্দ্রীয় মঞ্চে নারীস্বাস্থ্যবিষয়ক অধিবেশনে এভাবেই তাঁর বক্তব্য শুরু করেন কৃতি শ্যানন।

কৃতি শ্যানন। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ য নন

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি মানতে চাপ দিতে হবে

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশকে ইসরায়েলকে গাজায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন বন্ধে আরও কঠোরভাবে চাপ দিতে হবে। প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞা বা অস্ত্র বিক্রি বন্ধের মাধ্যমে এ পদক্ষেপ নিতে হবে।

গাজায় ইসরায়েলি হামলার সবচেয়ে তীব্র সমালোচক দেশের একটি হচ্ছে ন্যাটো সদস্য তুরস্ক। শুরুতে পরোক্ষভাবে জড়িত থাকলেও এখন তারা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় সরাসরি অংশ নিচ্ছে। গত মাসে হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে এরদোয়ানের বৈঠকের পর থেকে এই ভূমিকা আরও জোরদার হয়েছে।

এরদোয়ান সাংবাদিকদের বলেন, যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। হামাস পক্ষ যুদ্ধবিরতি মেনে চলছে, বরং তারা প্রকাশ্যেই তাদের অঙ্গীকার জানাচ্ছে। কিন্তু ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন অব্যাহত রেখেছে।

এরদোয়ান আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলকে সম্পূর্ণভাবে যুদ্ধবিরতি ও চুক্তি মেনে চলতে বাধ্য করার জন্য আরও পদক্ষেপ নিতে হবে। ইসরায়েলকে তার প্রতিশ্রুতি রাখতে বাধ্য করতে হবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও অস্ত্র বিক্রি বন্ধের মাধ্যমে।

তুরস্ক জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে নজরদারি করতে একটি টাস্কফোর্সে যোগ দেবে। প্রয়োজনে তুর্কি সেনারা সামরিক বা বেসামরিক উভয় ভূমিকায় কাজ করতে পারে। পাশাপাশি, গাজা পুনর্গঠনে তারা সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।

বুধবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইঙ্গিত দেন, গাজায় তুর্কি নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো ভূমিকাকে তিনি সমর্থন করেন না।

এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এরদোয়ান বলেন, ‘গাজায় কাজ করবে যে টাস্কফোর্স, তার বিষয়ে আলোচনা চলছে। এর কাঠামো এখনো স্পষ্ট নয়। এটি বহুমাত্রিক একটি ইস্যু, তাই ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। আমরা গাজাকে যেকোনোভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’

তিনি উপসাগরীয় দেশগুলোকে গাজা পুনর্গঠনে অর্থায়নের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এই বিশাল কাজটি কোনো একক দেশের পক্ষে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়।

গাজা যুদ্ধের সময় ইসরায়েল ও তুরস্কের দীর্ঘদিনের মিত্রতা নতুন নিম্নস্তরে নেমে এসেছে। আঙ্কারা অভিযোগ করেছে, নেতানিয়াহুর সরকার গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে—যা ইসরায়েল বারবার অস্বীকার করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ